নগর সংবাদ।।নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত সম্মিলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদ নিরঙ্কুশ জয় লাভ করেছে। এ পরিষদের মনোনীত হাসান ফেরদৌস জুয়েল ও রবিউল আমীন রনি প্যানেল সমিতির ১৭টি পদের সবকটিতে জয়লাভ করেছে।
মঙ্গলবার (১৮ জানুয়ারি) আইনজীবী সমিতির ভোটগ্রহণ শেষে এ ফলাফল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার এড. সামছুল ইসলাম ভুইয়া।
নির্বাচিতরা হলেন-সভাপতি এড. হাসান ফেরদৌস জুয়েল, সিনিয়র সহসভাপতি এড. আলাউদ্দিন আহমেদ, সহসভাপতি এড. সুবাস বিশ্বাস, সাধারণ সম্পাদক এড. রবিউল আমীন রনি, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক এড. মাহমুদুল হক মমিন, কোষাধ্যক্ষ এড. আবুল বাশার রুবেল, আপ্যায়ন সম্পাদক এড. মোহাম্মদ স্বপন ভুইয়া, লাইব্রেরী সম্পাদক এড. হাছিব উল হাছান রনি, ক্রীড়া সম্পাদক এড. সোহেল আজাদ, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক এড. রাজিয়া আমিন কানচি, সমাজসেবা সম্পাদক এড. মোহাম্মদ রাশেদ ভুইয়া, আইন ও মানবাধিকার সম্পাদক এড. আব্দুল মান্নান।
কার্যকরী সদস্য পদে নির্বাচিতরা হলেন-এড. এরশাদুজ্জামান ইমন, এড. হালিমা আক্তার, এড. হোসেন আহম্মদ রুবেল, এড. মেরাজ সরকার ও এড. অঞ্জন দাস।
নির্বাচন কমিশন জানায়, আইনজীবী সমিতির ১০৩৮টি ভোটের মধ্যে ৯৯২ জন তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন।
হাসান ফেরদৌস জুয়েল ও রবিউল আমীন রনি প্যানেলের বিপরীতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন বিএনপিপন্থি জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য পরিষদ মনোনীত মনিরুল আলম চৌধুরী রতন ও এইচএম আনোয়ার প্রধান প্যানেল।
সমিতির নির্বাচনে বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ মনোনীত আরও একটি প্যানেল নির্বাচন করলেও ওই প্যানেল থেকে কেউ নির্বাচিত হননি। ওই প্যানেলের সভাপতি প্রার্থী ছিলেন এড. আনোয়ার হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক ছিলেন এড. মোঃ জসিম উদ্দিন।
প্যানেলটি মাত্র ৬ জনের একটি প্যানেল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে। প্যানেলের সহসভাপতি প্রার্থী ছিলেন এমদাদ হোসেন সোহেল, যুগ্ম-সম্পাদক প্রার্থী ছিলেন এড. মামুন সিরাজুল মজিদ, কোষাধ্যক্ষ প্রার্থী ছিলেন এড. রোবেল মোল্লা ও সমাজসেবা সম্পাদক প্রার্থী ইখতিয়ার হাবীব সাগর। সব মিলিয়ে এ নির্বাচনে ১৭ পদের জন্য তিন প্যানেল থেকে লড়েছেন মোট ৪০ জন প্রার্থী।
এদিকে সকাল থেকে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোটগ্রহণ চলে। সাধারণ আইনজীবী ছাড়াও সরকারি দলের নেতা-কর্মীরা আদালতপাড়ায় থাকলেও কোনো বিশৃঙ্খলার খবর পাওয়া যায়নি।
দুপুর তিনটার দিকে আদালতপাড়ায় আসেন নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে সরকারি দল আওয়ামী লীগের সাংসদ এ কে এম শামীম ওসমান। তিনি কিছুক্ষণ আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের প্যান্ডেলে বসেন। পরে সার্কিট হাউজের ভেতরে যান। সন্ধ্যা পর্যন্ত সেখান থেকে বের হননি তিনি।
এছাড়া আদালতপাড়ায় দেখা যায়, নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনে জাতীয় পার্টির সাংসদ লিয়াকত হোসেন খোকা, মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক শাহ নিজাম, মহানগর যুবলীগের সভাপতি শাহাদাত হোসেন সাজনু, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মীর সোহেল, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা এহসানুল হাসান নিপুসহ বেশ কয়েকজনকে।
তবে এইবার আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রে সাংবাদিকদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা ছিল। লিখিত ঘোষণা দিয়েই এই নিষেধাজ্ঞা জানায় নির্বাচন কমিশন। সাধারণ আইনজীবী ও আওয়ামী লীগের বাইরে থাকা দুই প্যানেলের প্রার্থীরা এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।