এই সুন্দর পৃথিবী মানুষকে আঁকড়ে রাখে দারুণ মায়াজালে। সবাই বেঁচে থাকতে চায়।
মাঝে কিছুদিন খানিকটা ভালোবোধ করলেও সম্প্রতি তিনি আবারও শারীরিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়ছেন। চিকিৎসকরা তাকে বাঁচাতে দ্রুত কিডনি প্রতিস্থাপনের পরামর্শ দিয়েছেন। আর এজন্য প্রয়োজন প্রায় ২৫-৩০ লাখ টাকা। বিপুল পরিমাণ এ অর্থ তার একার পক্ষে বহন করা সম্ভব নয়।
ছোটবেলা থেকেই কারও বিপদ দেখলে নিজের সাধ্যমতো করার চেষ্টা করতেন পরোপকারী মেহেদী। অথচ আজ তার নিজেরই সাহায্য প্রয়োজন। নিজ গ্রামে শিশুদের মাঝে আলো ছড়িয়ে দিতে দায়িত্ব নিয়েছিলেন একটি অটিজম স্কুলের। সুবিধাবঞ্চিত এসব শিশুদের মধ্যে নিজেকে খুঁজেও নিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু মরণঘাতী কিডনি রোগ তার পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। যে বয়সে একজন তরুণের চোখে মুখে স্বপ্ন থাকে, সেই বয়সে বেঁচে থাকার চিকিৎসার জন্য বাংলাদেশ-ভারতের হাসপাতালগুলোতে ছোটাছুটি করছেন তিনি। গত কয়েক বছরে এমন দৌঁড়ঝাপ করতে করতে খুইয়েছেন নিজের সহায়-সম্বল সবটুকু।
এর আগে ঢাকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ৪০ বার ডায়ালাইসিস করতে হয়েছে তাকে। ডায়ালাইসিসের শারীরিক ধকল তিনি আর নিতে পারছিলেন না। তাই বাধ্য হয়ে শরণাপন্ন হন ভারতের চেন্নাইয়ে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের। সেখানে ডাক্তাররা সবকিছু দেখে শুনে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ছয় মাসের ওষুধ দেন। এভাবে ওষুধে ওষুধে কেটে যায় আরও দুই বছর। এই সময়টাতে অবস্থার কিছুটা উন্নতি হলেও বর্তমানে উচ্চরক্তচাপজনিত কারণে রক্তের ক্রিয়েটিনিন বিপদজনক মাত্রায় উঠেছে। ফলে বিপদ আসন্ন এটা বোঝা যাচ্ছে।
তারপর হাল ছেড়ে দিতে চান না তিনি। সংগ্রামটা চালিয়ে যেতে চান। তার এই সংগ্রামের সঙ্গে এবার অন্যরাও এগিয়ে এসেছেন। যে যার সামর্থ্য অনুযায়ী করার চেষ্টা করেছেন।
মেহেদীর পাশে দাঁড়াতে অনুরোধ জানিয়েছেন তার বন্ধু-সহপাঠীরা।