বুদ্ধিজীবীদের শ্রদ্ধা জ্ঞাপনে বাধার সৃষ্টি এবং মহান বিজয় দিবসের বিজয় র্যালি করার অনুমতি দিতেও সরকার টালবাহানার মাধ্যমে একাত্তরের হানাদার বাহিনীর ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে। তিনি বলেন, স্বাধীনতাযুদ্ধের চূড়ান্ত ক্ষণে জাতির শ্রেষ্ঠসন্তান শহীদ বুদ্ধিজীবীদের নৃশংসভাবে হত্যা করেও মহান মুক্তিযুদ্ধের বিজয় ঠেকানো যায়নি, বর্তমান স্বৈরাচারী সরকার গুম, খুন ও সন্ত্রাসের মাধ্যমে পাতানো প্রহসনের নির্বাচনের পাঁয়তারা করলেও নিজেদের পতন ঠেকাতে পারবে না। বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, পাক হানাদাররা যখন দেখলো তাদের পরাজয় অবধারিত তখন তারা কাপুরুষোচিত কায়দায় রাতের অন্ধকারে জাতির শ্রেষ্ঠসন্তান বুদ্ধিজীবীদের হ্ত্যা করে আমাদের মনোবল ভেঙে দিতে চেয়েছিল। সেদিনের বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ড বাংলার মানুষকে আরও বেশি সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়তে উদ্বুদ্ধ করেছিল। একই পদ্ধতিতে গুম, খুন, গ্রেফতার ও ভয়-ভীতি দেখিয়ে গণতন্ত্রকামী মানুষকে দমন করতে চায় সরকার। তারা মনে করেছে তাদের দুর্নীতি, লুটপাট ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে সব আওয়াজকে তারা থামিয়ে দেবে। এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে বিএনপি ও এর অঙ্গসহযোগী সংগঠনের ১২৫ নেতাকর্মী গ্রেফতার হয়েছেন বলে দাবি করেন রিজভী। এ সময়ের মধ্যে ছয় মামলায় ৬২৫ নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে এবং আহত হয়েছেন ৩০ জন।