বিজেপি যাদবপুর সাংগঠনিক জেলার ডাকে-- কন্যা সুরক্ষা যাত্রা ও সমাবেশ।
””সম্পা দাস,–সম্পাদক,দৈনিক নগর সংবাদ,নগর সংবাদ ২৪ ডটকম,নগর টিভি,(ভারত) কলকাতা ব্যুরো””
৭ই আগস্ট বৃহস্পতিবার, ঠিক বিকেল সাড়ে তিনটায়, বিজেপি যাদবপুর সাংগঠনিক জেলার ডাকে, গড়িয়া মোড় থেকে রানীকুঠি মোড় পর্যন্ত শুভেন্দু অধিকারীর উপস্থিতিতে , কন্যা সুরক্ষা যাত্রা ও সমাবেশ করলেন। এই সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন প্রধান বক্তা ও বিজেপির বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, উপস্থিত ছিলেন উত্তম কর,
শর্বরী মুখার্জি, হরি কৃষ্ণ দত্ত, মিডিয়া ইনচার্জ প্রীতম দত্ত, জিএস এর শুভাশিস নস্কর, বিশ্বজিৎ পাল ,প্রদীপ, মোহন রাও রাজ্যনেতা, সংঘমিত্রা চ্যাটার্জি, শংকর সিকদার, সৈকত বক্সি, রবিন চ্যাটার্জী অ্যাডভোকেট মিস্টার অয়ন, এছাড়াও আজকের এই অনুষ্ঠানকে সুন্দরভাবে পরিচালনা করেছেন যারা,
দলের কর্মকর্তারা ,তারা হলেন সুদীপ্ত ,অর্জুন ,সোমা ঘোষ, দেবজ্যোতি মজুমদার ,তুষার মুখার্জি সহ অন্যান্যরা, ভারতীয় জনতা পার্টি সকল সদস্যকে এক ছাতির তলায় করে বিভিন্ন জেলা থেকে শুরু করে কলকাতার বিভিন্ন প্রান্তে কন্যা সুরক্ষা যাত্রা করার সংকল্প নেন,
আজ কন্যাদের সুরক্ষা ও নারীদের সম্মানের কথা রেখেই এই কন্যা সুরক্ষা যাত্রা করলেন টালিগঞ্জ এলাকার রানীকুঠি মোরে। অনুষ্ঠান শুরুর পূর্বে, টালিগঞ্জ মন্ডলী বিজেপি সদস্যরা বিজেপির বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী কে ফুলের মালা পরিয়ে, হাতে দুর্গা প্রতিমার একটি ছবি তুলে দেন।
এরপর মহিলা সদস্যরা একে একে সকল সদস্যদের উত্তরীয় পরিয়ে সম্মানিত করেন, পশ্চিমবঙ্গে শিশু কন্যা থেকে বৃদ্ধা ও প্রবীণরা সুরক্ষিত নয়, কামদুনি থেকে শুরু করে আর জি কর কান্ড কসবা লোকাল কলেজের কান্ড এমনকি পাক স্টিট থেকে শুরু করে টালিগঞ্জ পর্যন্ত যে নারকীয় ঘটনা ঘটেছে গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন,
তাহার প্রতিবাদে এবং নারীদের সুরক্ষা দেওয়ার জন্য বিভিন্ন জেলা জুড়ে এই প্রতিবাদ কন্যা সুরক্ষা যাত্রা। আমাদের দাবী এক দফা এক মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগ, যিনি একজন মহিলা মুখ্যমন্ত্রী হয়ে মহিলাদের সুরক্ষা দিতে পারেনা, যিনি সবকিছু জেনেও দোষীদের আড়াল করার চেষ্টা করেন,
১৫ টি উকিল দিয়ে ফাঁসির আসামীকে বাঁচিয়ে আনেন, তাহার মন্ত্রিত্ব থাকার কোন অধিকার নেই, আজ পশ্চিমবাংলায় মহিলা থেকে শিশুরা লাঞ্চিত, শিশুদের মায়ের চোখে জল, অভয়ার মা-বাবার আর্তনাদ আজও তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে, তাই যতদিন না পশ্চিমবাংলায় শিশু থেকে প্রবীণ বৃদ্ধারা সুরক্ষা না পাচ্ছে আমরা এই কন্যা সুরক্ষা যাত্রা চালিয়ে যাবো।
আজ অভয়ার মা-বাবাও মেয়ের সঠিক বিচার ও ন্যায়ের জন্য পথে নামছেন। শুধু তাই নয় আজ সমস্ত মহিলারা কন্যা সুরক্ষা যাত্রায় পা মিলিয়েছেন।, একটাই দাবী যেখানে পশ্চিম বাংলায় ছোট ছোট শিশু ও নারী ধর্ষণ হয়, সেখানে মুখ্যমন্ত্রীর ঠাঁই নাই। ১৪ বছর ধরে উন্নয়নের নামে শুধু ধর্ষণ অত্যাচার এবং মিথ্যা প্রতিশ্রুতি আমরা আর ভুলছি না। চাল চুরি থেকে চাকরি চুরি, আট হাজার স্কুল ,
মাধ্যমিককে পাস করা ছাত্র-ছাত্রীরা এখনো ভর্তি হতে পেল না, ১৪ বছরে কয়েক হাজার কলকারখানা বন্ধ হয়ে গেছে।, অথচ পিসি ভাইপো চুপ করে দেখছেন, কিভাবে চোরদের বাঁচাবেন, বাঁচার পথ আর নাই, ২৬ শে দিন শেষ, জনগণ বিচার দেবে। তৈরি থাকুন, আর এই কয়েকটা মাস মিথ্যা প্রচার চালিয়ে যান,
তাতেও রেহাই পাবেন না। আপনাকে আমি ভবানীপুর থেকে হারিয়েছি, এবারও আমার প্রতিনিধি আপনাকে হারাবে চ্যালেঞ্জ চালিয়ে গেলাম। তিনি বিভিন্ন দেশের কথা উল্লেখ করে বলেন , অন্যান্য দেশে কিভাবে নারীরা সুরক্ষা পাচ্ছে, সেখানে আইন কানুন কেমন, উদাহরণ স্বরূপ হেমন্ত বিশ্ব শর্মা পুলিশের কথা উল্লেখ করেন।
বলেন ধর্ষণ খুন তো দূরের কথা, দল আর ধর্ম না দেখে, কোর্ট পর্যন্ত আসামীকে পাঠাতে হয় না, ২৪ ঘন্টায় জমাও হয় ও খরচও করে দেয়। পশ্চিমবাংলায় কোন কিছু ঘটলে দোষীদের আদর করে ছাড়িয়ে আনেন, এইরকম নির্লজ্জ মন্ত্রী হচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।, যিনি নারী হয়ে নারীদের সম্মান রক্ষা করতে পারে না,
আবার লজ্জাহীনভাবে বলেন, পুরো গণধর্ষণের শিকার হলে কুড়ি হাজার টাকা, হাফ ধর্ষণ হলে ১০০০০ টাকা। একইভাবে অভয়ার মা-বাবাকে টাকার অফার দিয়েছিলেন কিন্তু অভয়ার মা-বাবা মুখ ফিরিয়ে নেন, টাকা চাইনা সত্যিকারের বিচার চাই, তার মেয়ের দোষীদের শাস্তি চাই।
তাই সত্যি কারের বিচারের আশায় মাঠে নামতে বাধ্য হয়েছেন অভয়ার মা বাবা, আর একটা কথা কান খুলে শুনে রাখুন, আমরা শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের উত্তরাধিকারী, আমরা বনমানন্দ মহারাজের অনুসরণকারী, যিনি বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর অত্যাচার থেকে রক্ষা করেছিলেন এবং সেখানে একটি ভারত সেবাশ্রম সংঘ গড়ে তুলেছিলেন।
আমরা তাদেরই পথ অনুসরণ করে এগিয়ে চলেছি।, এবং তাদেরই প্রচেষ্টায় ও পথ ধরে পশ্চিমবঙ্গের সৃষ্টি হয়েছে, তাই তাহাদেরকে অনুসরণ করেই কন্যা সুরক্ষা যাত্রা শুরু করেছি। আজকের দিনে ভারত মাতা কে স্মরণ করে, জয় ভারত মাতার জয়, জয় শ্রী রাম এর জয়, জয় শ্রাবণ মাসের জয়, হর হর মহাদেব এর জয়, তাহার সাথে সাথেই বিশ্বকবি কে প্রণাম জানাই, সবার শেষে তিনি জানান,
দীর্ঘদিন ধরে টালিগঞ্জের মন্ডল পরিবারের সদস্যরা অত্যাচারিত নিপীড়িত হয়েছেন, তাহাদের দাবি, ভারতীয় জনতা পার্টি নেতা নেতৃত্বরা, যাদবপুর বারুইপুর ও বিভিন্ন জায়গায় মিছিল মিটিং সভা করে থাকেন, তো আমরা যে অত্যাচারিত হচ্ছি একবারও আমাদের এলাকায় কেউ আসেন না, আমরা চাই, টালিগঞ্জ এলাকায় এরকম একটি প্রতিবাদ ও কন্যা সুরক্ষার ঝড় উঠুক, তাই আমাদের মণ্ডলীদের কথা মনে রেখে, তাদের বিভিন্ন দাবী নিয়ে,
আজকের এই টালিগঞ্জ রানিকুঠি মোড়ে প্রতিবাদ সভা, এই প্রতিবাদ সভায় সরাসরি আক্রমণ করলেন, চাচা ফিরাদা হাকিম আর তলাবাজ অরূপ বিশ্বাসকে সামনে রেখে, আর ভাইপো তো এদের মালিক, তাই আজকের এই সভায় জানিয়ে দিয়ে গেলাম, সময় শেষ, ২৬ শে পতন, তারপর দেখতে থাকবেন, আপনাদের জায়গা কোথায়। এর সাথে সাথে আগামী কয়েকদিনের কর্মসূচির বার্তা দিয়ে গেলেন, এবং একটি সুখবর বার্তা পাবেন ১৫ই আগস্ট স্বাধীনতা দিবসের পরে। সাধারণ মানুষ অনেক সহ্য করেছে, অনেক পরিবার চোখের জল ফেলেছে, মেয়ের আর্তনাদে বুক ফাটিয়েছেন, তাহার সমস্ত হিসাব দিতে হবে।
””সম্পা দাস,–সম্পাদক,দৈনিক নগর সংবাদ,নগর সংবাদ ২৪ ডটকম,নগর টিভি,(ভারত) কলকাতা ব্যুরো””