হরতাল-অবরোধে আতঙ্কিত পরিবহন শ্রমিকরা বিএনপি ও সমমনা বিরোধীদলের ডাকা হরতাল চলছে। হরতালের মধ্যেও রাজধানীতে চলাচল করছে গণপরিবহন। যাত্রীরাও সহজে যাতায়াত করতে পারছেন। গণপরিবহন চললেও আতঙ্কে রয়েছেন চালকরা। একই কথা যাত্রীদের। তাদের অভিযোগ, ২৮ অক্টোবরের পর থেকে টানা হরতাল-অবরোধে গণপরিবহন ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হচ্ছে। কখন যে কোন বাস ভাঙচুর করা হয়, এ আতঙ্ক কাজ করে। এতে করে সাধারণ মানুষের ক্ষতি হয়। রাজনৈতিক দলগুলোর এ ধরনের কর্মসূচি থেকে বিরত থাকা উচিৎ। বুধবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সারাদেশে হরতাল চলছে। এদিন সকাল সাড়ে ৯টায় মহাখালীর ওয়ারল্যাসে কথা হয় এনামুল হকের সঙ্গে। তিনি মিরপুরের বাসের জন্য অপেক্ষা করছিলেন। পাঁচ মিনিটের মধ্যেই পেয়ে যান বিআরটিসি বাস। বাসে উঠার আগে এবায়দুল বলেন, প্রয়োজনে হরতাল-অবরোধে ঘরে বসে থাকা যায় না। ঝুঁকি নিয়ে হলেও বের হতে হয়। তবে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে ঢাকায় হরতাল-অবরোধ চলে বলে মনে হয় না। রাস্তায় আগের মতোই যান চলাচল করছে। তিনি বলেন, যে হরতাল-অবরোধ সাধারণ মানুষের জন্য ভোগান্তি সৃষ্টি করে, এ ধরনের কর্মসূচি থেকে রাজনৈতিক দলগুলোকে বিরত থাকা উচিৎ। তাদের দাবি আদায়ে বিকল্প কিছু চিন্তা করতে হবে। আব্দুল্লাহপুর থেকে মহাখালী বাস টার্মিনাল হয়ে সদরঘাট রুটে যাতায়াত করে আজমির পরিবহনের বাস। সকাল পৌনে ১০টায় সব আসনে যাত্রী নিয়ে মহাখালী অতিক্রম করে বাসটি। এরমধ্যে আমতলী এলাকায় অন্যান্য গণপরিবহনের জটলায় কিছুক্ষণ আটকে থাকে। এসময় বাসটির চালক জুয়েল হোসেন বলেন, হরতাল-অবরোধ রাস্তায় গাড়ির চাপ কম থাকে। গাড়ি চালাতে ভালোই লাগে। সব আসনে যাত্রী পাওয়া যায়। তবে আগে যেমন দাঁড়িয়ে যাত্রী নেওয়া যেতো। এখন সেই পরিমাণ যাত্রী হয় না। গাড়ি চালাতে আতঙ্কও লাগে। এদিকে মহাখালী থেকে বিজয় সরণি যেতে জাহাঙ্গীর গেটে যানবাহনের চাপ দেখা গেছে। আবার প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের সামনে থেকে বিজয় সরণি পর্যন্ত সিগনালে আটকে থাকতে দেখা গেছে যানবাহন। বিজয় সরণিতে ফার্মগেটগামী ট্রাস্ট পরিবহনের একটি বাস থেকে নামেন নাছিমা তিনি বলেন, বিজয় সরণিতে এলে বুঝা যায় না, ঢাকায় হরতাল আছে কি না। সারাদিনই গাড়ির চাপ থাকে। তবে হরতাল-অবরোধে গণপরিবহনে চলতে আতঙ্ক লাগে।