২৫ সেপ্টেম্বর সোমবার, প্রায় এক হাজারেরও বেশি খেতমজুর, শিয়ালদা থেকে মিছিল করে রানী রাসমণি রোডে সভা করলেন বিভিন্ন দাবী নিয়ে, বিভিন্ন জেলা থেকে খেতমজুরেরা জমায়েত হন রানী রাসমণি রোডের সংযোগস্থলের সভায়, সবাই উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট আইনজীবী এবং প্রাক্তন সাংসদ বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য মহাশয়। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন তুষার ঘোষ ,অমিয় পাত্র ,নিরাপদ সরকার এবং অল ইন্ডিয়া সভাপতি বিজয় রাখবন।
আজকের এই জনসভা থেকে বেশ কয়েকটি দাবি নিয়ে গর্জে উঠলেন, এবং বললেন যদি সরকার মেনে না নেয় তাহলে পুনরায় কৃষকরা কিভাবে দিল্লি গিয়ে আদায় করতে হয় সেটা বুঝিয়ে দেবেন। সরকারের বোধ হয় জানা নেই যে ১০০ দিনের কাজের জন্য একটি লিখিত চুক্তি ছিল কিন্তু সেটা পুরোপুরি ভাবে কার্যকর হয়নি। তাই সরকারকে জানাতে চাই অবিলম্বে, ১০০ দিনের কাজ চালু করা হোক, শুধু দুই সরকারের মধ্যে টানবাহানা আর দোষারোপের ঝড়, এক সরকার বলে টাকা দিয়েছি, আরেক সরকার বলে টাকা পাওনা আছে কেন্দ্রীয় সরকার দেয়নি,, কিন্তু যারা রোদে জলে মাথার ঘাম পায়ে পেলে কাজ করেছেন, তাদের এখনো টাকা বাকী রয়েছে। অবিলম্বে তাদের টাকা মেটানোর ব্যবস্থা হোক, তাই কৃষকদের স্বার্থে এই সমাবেশ এই আন্দোলন, কৃষকদের দাবিগুলি হল,,,,, বছরে ২০০ দিন কাজ ও দৈনিক ৬০০ টাকা মজুরি দিতে হবে, ,,,
সমস্ত গরিবদের জন্য ছাদ মুক্ত পাকা বাড়ী চাই,,,, ষাট উদ্ধ বয়সের শ্রমজীবীদের জন্য মাসিক ৩০০০ টাকা পেনশন দিতে হবে।,,,,, নারী-পুরুষ সম কাজের সম মজুরী দিতে হবে।,,,, অবিলম্বে একশ দিনের কাজ চালু এবং বকেয়া মজুরি পরিষদ করতে হবে, কোনরকম টানবাহানা চলবে না, মাননীয় প্রাক্তন সাংসদ এবং আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য মহাশয় বলেন সরকার যদি মেনে না নেয় তাহলে বাধ্য হবো আইনের পথ নিতে, কৃষকদের হকের মূল্য কিভাবে আদায় করতে হয় আমাদের জানা আছে, যারা রোদে জলে কাজ করছেন তাদের টাকা পাওনা রয়েছে অথচ সরকার বিভিন্নভাবে দুর্নীতি করে চলেছে, শিক্ষকরা চাকরি পাচ্ছে না টাকার বিনিময়ে বিক্রি হচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার একের পর এক ধ্বংসলীলা চালিয়ে চলেছে।, ব্যাংক থেকে শুরু করে সমস্ত কিছু বিক্রি করে দিচ্ছে এবার কৃষকদের টাকা না দিয়ে চুপ করে মজা দেখছেন আমরা তা হতে দেব না। কেন আমাদের কৃষকদের দিল্লি ছুটতে হবে, কিসের জন্য, যেটা ন্যায্য পাওনা সরকারের উচিত মিটিয়ে দেওয়া, তাহলে আজ কৃষকরা এইভাবে সমাবেশে মুড়ি চানাচুর খেয়ে বসে থাকত না, অন্যান্য দলের মতো বিরিয়ানি খেতো ,আজ নিজেদের পয়সায় মুড়ি খেয়ে সমাবেশে যোগ দিয়েছেন। তাই খেতমজুরদের কষ্ট আমরা বুঝি আমরা জানি, তাই আমি সবার সামনে কথা দিলাম, আমি এই সকল খেতমোযুরদের পাশে আছি কিভাবে তাদের পাওনা আদায় করতে হয় জানি। আজ প্রায় হাজারেরও বেশি খেতমজুর বিভিন্ন জেলা থেকে এই বৃষ্টির মধ্যেও সমাবেশে যোগ দিয়েছেন, তাদের পাওনা বুঝে নিতে।