বুধবার ১৫ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ দুপুর ২:২৮
শিরোনামঃ
Logo ফতুল্লায় কারখানার বন্ধের প্রতিবাদে ফারিহা গ্রুপের সেনসিবল ফ্যাশনের শ্রমিকরা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ-ঝানজটে ভোগান্তি জনগন Logo পুলিশ চেকপোস্টে তল্লাশির সময়ে পরিচয় জানতে চাওয়ায় পুলিশের ওপর হামলা-৫ পুলিশ সদস্য আহত-আটক ২ Logo জলঢাকায় কম্বল বিতরণ করতে গিয়ে নারীর সম্ভ্রমহানী,থানায় অভিযোগ করায়, ভুক্তভোগী পরিবার বাড়ি ছাড়া। Logo সাইবার অপরাধ রুখতে ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেট, একাধিক সচেতনতা শিবির গড়লেন Logo ৮০০ বছর আগে খোঁজ পাওয়া যায়, কপিলমুনি সিদ্ধিনাথ রূপে পাঁশকুড়া যেখানে গুপ্ত সাধনা করেছিলেন। Logo আন্দোলনে ছাত্রদের পাশে থেকে ত্বরান্বিত করে খুনী হাসিনার পতন ঘটিয়েছি: টিপু Logo নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা-ফুল দিয়ে বরণ করেন বিদায়ী জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মাহমুদুল হক। Logo কক্সবাজারে পৃথক স্থান থেকে দুটি মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ Logo ফ্যাসিবাদের পক্ষে যে কলম লিখবে আমরা সে কলম ভেঙে দেবো। ফ্যাসিবাদের পক্ষে যে মিডিয়া কথা বলবে সে মিডিয়ার বিপক্ষে আমাদের অবস্থান অব্যাহত থাকবে-আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ Logo ঠাকুরগাঁও পাসপোর্ট অফিসের সহকারী ৫০ হাজার টাকা ঘুষ সহ গ্রেফতার করে -দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

———–বীরত্বের রক্ত দান ——— ———মোঃনাফিউল্লাহ অন্ত—–

nagarsangbad24
  • প্রকাশিত: আগস্ট, ২৬, ২০২১, ১২:০৩ পূর্বাহ্ণ
  • ৩৩৪ ০৯ বার দেখা হয়েছে

       
 
  

———–বীরত্বের রক্ত দান ——— ———মোঃনাফিউল্লাহ অন্ত—–

 

আমি আজ ডোনার হয়ে ওঠার গল্পটা লিখতে বসেছি,, হ্যা – আমি একজন রক্ত দাতার মনে ইচ্ছে প্রকাশ করতে বসেছি ! আমি স্বেচ্ছাসেবী না,আমি একজন রক্তদাতা মো:নাফিউল্লাহ্ স্বেচ্ছাসেবী ও রক্তদানের কথা ছোটবেলা বিটিভিতে দেখতাম , তখন মাঝে মাঝেই রক্তের জন্য স্পেশাল বুলেটিন দেখাতো! ঐ সময়ই মনে মনে ভাবতাম আমিও রক্ত দিব। কিন্তু বিটিভির সব বুলেটিন এ ঢাকার জন্য ডোনার চাইত। আমি তখনো জানতাম না ১৮ না হলে রক্তদাতা হওয়া যায়না! যখন ৬ষ্ঠ বা ৭ম শ্রেণিতে পড়ি তখন ১ম জানি ১৮ হলেই রক্ত দান করা যায়। (বোধ করি তখন রক্তের জন্য বুলেটিন এই রক্তদানের যোগ্যতাও বলে দেয়া হয়।) তখন থেকে ১৮ হওয়ার অপেক্ষা করি। এক সময় ১৮ হই কিন্তু সুযোগ আর আসে না। প্রতিবেশী চাচার ২য় অপারেশন এর সময়ে একবার সুযোগ আসে কিন্তু ভাইয়া সেটা কাজে লাগাতে দিল না। তার কোন এক ফ্রেন্ড আর কয়েকজন মিলে রক্ত দিল। এরপর আবার অপেক্ষা! ০৪/০১ /২০২০ সালের জানুয়ারিতে ছোট ভাইয়ের বন্ধুর বোনের জন্য রক্ত দিতে যাই ওসমানী মেডিকেলে, ২ ব্যাগ লাগবে বলেছিল কিন্তু ২য় ব্যাগ আর লাগে নি তাই আমার আর রক্ত দেওয়া হলো না।

 

অবশেষে চূড়ান্ত সুযোগ এলো ২০২০ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারিতে ফেসবুকে কবির ভাইয়ের এর মাধ্যমে! এর আগে উনি আর পাপিয়া আপু দুইবার আমাকে কল করেন রক্তের জন্য কিন্তু আমি অসুস্থ থাকায় দিতে পারলাম না। ৩য় বারে গিয়ে দিলাম, সাথে একজন বন্ধু ছিলেন।সরকার মেমোরিয়াল হাসপাতা,ময়মনসিংহ, চরপাড়া, ডায়ালাইসিসের রুগি। রক্তের ব্যাগের সাথের সুই দেখে আমার আত্মা খাঁচাছাড়া। অনেক্ষণ অপেক্ষার পর পরীক্কার রেজাল্ট এলে রক্তদানের সময় হলো। শুয়ে পড়লাম বিছানায়, সুই ঢুকানোর সময় আমি তাকিয়ে দেখছি ডাক্তার আমাকে অন্যদিকে মুখ ফেরাতে বললে আমি বললাম অসুবিধা নেই। বন্ধু অামাকে সাহস দিয়ে যাচ্ছে । যখন সুই ঢুকানো হলো নার্স মেয়েটি ছোট্ট একটা চিৎকার দিল। সবাই মিলে হাসলাম। হাসি শেষ হতেই দেখি রক্তের ব্যাগ ভরে গেছে। রক্তদানের পর যে অনুভুতি হয়েছিল তা ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব না! খুব খুশি আর হালকা মনে হচ্ছিল। প্রতিবার রক্তদানের পর একই অনুভূতি হয় আর মনে হয় এই প্রথমবার দিচ্ছি।

 

আমাদের পরিবারের ৪ সদস্যদে মধ্যে বাবা আগে শুধু রেগুলার ডোনার ছিল। এখন আমিও। (আমার বাবা একটা সরকারি স্কুলে চাকরির করতেন , আমরা বড় হয়েছি যৌতপরিবারে তাই আম্মুকে দাদু ভাই কিছু না বলে দিলে করতে সাহস পেতেন না। তাই সহজে কিছু করতে দিতে সাহস পেতেন না, সব কিছুতেই বাধা দিতেন কিন্তু এই কাজে তিনি বাধা দেন নি।) আর ছোট ভাই রক্তদানের অযোগ্য, তবে ওর অনেক আগ্রহ,। তাছাড়া আম্মুও বিয়ের পূর্বে রেগুলার ডোনার ডোনার ছিলেন,,। তবে এখন বেশী জরুরি ও মুমূর্ষু রোগী হলে আমি আম্মুকে সাথে নিয়ে যাই,, মাঝে মধ্যে বাবা ফ্রি তাকলে উনাকেও নিয়ে যাই। by the way— আমি রক্ত দেওয়ার পরপরই এরপর ৩’মাস শুধু এমনিতেই কেটে যায়! মাঝে মাঝে ১/২ টা পোস্ট শেয়ার করতাম! তখন ১ম বার নেএকোনার স্বেচ্ছাসেবী সৈকত ভাই আমাকে না জানিয়ে তার দুইটা গ্রুপে + ১ টা পেজে এডমিন করে দেন।

 

এর মধ্যে ফেসবুকে পরিচয় হয়, আবির, কবির, হোসেন ভাইদের সাথে। ওরা আমাকে উৎসাহ দিতে থাকে। তিনজনই আমাকে নেএকোনা ব্লাড ফাউন্ডেশনের সাথে কাজ করার জন্য প্রেরণা দিতে থাকে। প্রায় একই সময় পরিচয় হয় মদন রক্তদান সমাজ কল্যাণ সংস্থার পলাশ ভাইয়ের সাথে এবং স্বেচ্ছাসেবী কামরুল দেওয়ানী ভাইর সাথে কামরুল দেওয়ানী আমাকে শিখায় কিভাবে কাজ করতে হবে এবং কামরুল দেওয়ানী ভাই বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবকের গল্পের মাধ্যমে উৎসাহ দিতে থাকেন। ২০২০ সালের জুনের শেষের দিকে আমার পিত্তথলির পাথরের অপারেশন হয়। এর কিছুদিন পরই মদন রক্তদান সমাজ কল্যান সংস্থার সজীব খান , কল করে আমার বিবরণ নিয়ে নেএকোনা ব্লাড ফান্ডেশনের ফরম পুরণ করে দেয়।

 

মদন রক্তদান সমাজ কল্যাণ সংস্থা জাকির রহমান বিভিন্ন থ্রেডে এড করে কাজের ধরণ বুঝে নিতে সহযোগিতা করে। প্রায় একই সময় কাজ শুরু করি BHA এবং NAFA সোশ্যিয়াল অর্গানাইজেশন এর সাথে। কিন্তু নতুন অবস্থায় খুব বেশি চাপ পরে যায় বলে BHA এবং NAFA সাথে কাজ করাটা বন্ধ করে দেই। চলতে থাকি স্বপ্নের সাথে, আবার এর মধ্যে আমার কিছু বন্ধুদের সাথে নিয়ে আমি কলমাকান্দা উপজেলায় একটা ডোনার ফাউন্ডেশন খুলেছি ( যদিও আমার বাসা সেখান থেকে প্রায় “১২০”কিলোমিটার দূরে),যাইহোক শুনে ভালো লাগে যে,সেই আমার ডোনার ফান্ডেশন এখনো কলমাকান্দা উপজেলায় বিধ্যমান রয়েছে, এবং সারা উপজেলার পক্ষ থেকে সম্মাননা দেওয়া হয়। এখনো আছি আর থাকবো ইনশাআল্লাহ। ২রা নভেম্বর 2020 “জাতীয় রক্তদাতা দিবসে প্রথমবারের মতো ক্যাম্পেইন এ অংশ নেই। সেই থেকে শুরু, এখনো সাধ্যমতো চেষ্টা করি সহযোগিতা করার কিন্তু সেভাবে পারিনা। অনেক কিছু শিখার রয়ে গেছে। অনেকেই আমাকে স্বেচ্ছাসেবক বলেন কিন্তু আমি তা মনে করিনা, এখনো স্বেচ্ছাসেবী হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করে উঠতে পারিনি। নিজেকে আমি একজন সাধারণ রক্তদাতা বলি। ইতি নয় ইহা — সংক্ষিপ্ত লিখা

এ বিভাগের আরও খবর...

পুরাতন খবর

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১
১৩১৫১৬১৯
২০২১২২২৩২৪২৫২৬
২৭৩০৩১  

Archive Calendar

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১
১৩১৫১৬১৯
২০২১২২২৩২৪২৫২৬
২৭৩০৩১  
© ২০২১ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | নগর সংবাদ
Design & Developed BY:
ThemesCell