বুধবার ৫ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ রাত ৮:৪৯
শিরোনামঃ
Logo রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা নিয়ে কর্মশালা যাত্রাবাড়ী থানা বিএনপির Logo কানাডার সহায়তা চাইলেন প্রধান উপদেষ্টা- দেশ থেকে পাচার হওয়া অর্থ উদ্ধারে। Logo জাতীয় পরিচয়পত্র, জন্ম নিবন্ধনকে পাসপোর্টের মূল ভিত্তি ধরে -পাসপোর্ট ইস্যু ও নবায়নের ক্ষেত্রে পুলিশ ভেরিফিকেশন থাকছে না Logo আওয়ামী লীগের লিফলেট বিতরণের অভিযোগে কর্মীকে আটক Logo যশোরের শার্শা উপজেলায় পাওনা টাকা চাওয়ায় বৃদ্ধাকে পিটিয়ে হত্যা Logo কৃষি জমির মাটি কাটার দায়ে ইট ভাটার মালিক পক্ষের ব্যক্তিকে লাখ টাকা জরিমানা Logo রাজধানীর ঢাকাসহ সারা দেশে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের জ্ঞান ও বিদ্যার দেবী অন্যতম ধর্মীয় উৎসব সরস্বতী পূজা অনুষ্ঠিত Logo “অবকাঠামো সংকটে আরপিএন উচ্চ বিদ্যালয়”  দ্রুত ভবন নির্মাণের দাবি  শিক্ষার্থীদের Logo লক্ষ্মীপুরে ওয়ার্ড কমিটি দ্বন্দ্বে ছাত্রদলের দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ১২ Logo দেশজুড়ে অনলাইনে মামলা দায়েরের ব্যবস্থা চালুর নির্দেশ- প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস পুলিশকে।

বুকে ব্যথাজনিত কারণে ভুল চিকিৎসায় ব্যবসায়ীর মৃত্যু

nagarsangbad24
  • প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি, ১৪, ২০২৪, ৯:৫৮ অপরাহ্ণ
  • ১১৯ ০৯ বার দেখা হয়েছে

       
 
  

 

 

 

বুকে ব্যথাজনিত কারণে ভুল চিকিৎসায় ব্যবসায়ীর মৃত্যু

পাবনা সদর উপজেলার দোগাছি ইউনিয়নে ভুল চিকিৎসায় হাসমত আলী শেখ (৪০) নামে এক ব্যবসায়ীর মৃত্যু হয়েছে।

বুকে ব্যথাজনিত কারণে পরপর চারটি ইনজেকশন পুশ করতেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন বলে অভিযোগ স্বজনদের।

 

মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারকে মরদেহ বুঝিয়ে দেওয়া হয়। এর আগে সকাল ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত হাসমত প্রামাণিক দোগাছি ইউনিয়নের মধ্যপাড়া গ্রামের মৃত আবুল মজিদ প্রামাণিকের ছেলে। তিনি স্থানীয় ব্যবসায়ী ছিলেন।

অভিযুক্ত পল্লী চিকিৎসক দোগাছির চিথুলিয়া গ্রামের আব্দুল জব্বার শেখের ছেলে আতিকুজ্জামান ওরফে সুমন মহুরি।

জানা গেছে, গত তিনদিন ধরে বুকে জ্বালাপোড়া ও যন্ত্রণায় ভুগছিলেন হাসমত প্রামাণিক। ১২ ফেব্রুয়ারি রাতে দুইটা গ্যাসের ওষুধ দিলে খাওয়ার পরেও তার বুকে ব্যথা ও যন্ত্রণা কমে না। মঙ্গলবার সকালে বুকের যন্ত্রণা বেশি হলে এই পল্লী চিকিৎসক সুমনকে বাড়িতে ডেকে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর তিনি গিয়ে পরপর ৪টি ইনজেকশন পুশ করেন। ইনজেকশন পুশ করার সঙ্গে সঙ্গে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন হাসমত।

এদিকে মৃত্যর পরপরই অভিযুক্ত চিকিৎসকের ফার্মেসির ভাঙচুর করে ও ওষুধ পুড়িয়ে দেয় স্থানীয়রা। এ ঘটনায় এলাকায় থমধমে অবস্থা বিরাজ করছে।

নিহতের চাচা মো. ইসরাইল বলেন, সুমন নামের পল্লী চিকিৎসক ইনজেকশন পুশ করার সঙ্গে সঙ্গে হাসমত মারা যান। আমরা মনকে বুঝ দেওয়ার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছিলাম। কিন্তু দোগাছী বাজার পার হতেই মরদেহ বাড়িতে নিয়ে আসছি। কোনো প্রকার অনুমতি না থাকলেও তিনি এলাকায় দোকানের মধ্যে চেম্বার বসিয়ে শতশত রোগী দেখেন। একটা রোগী গেলেই তাকে ইনজেকশন পুশ করার অভ্যাস রয়েছে তার।   গ্রামের সাধারণ রোগীদের তিনি খাওয়ার ওষুধের সঙ্গে ইনজেকশন দিয়ে থাকেন। এর আগেও তুলি আক্তার ও মর্জিনা খাতুন নামের দুইজন নারীকে ভুল চিকিৎসা দিয়ে মেরে ফেলেছেন তিনি। কেউ কখনো তার অনিয়ম নিয়ে কথা বলেনি বিচার করেনি তাই এখনো অনিয়ম করেই যাচ্ছে। আমরা তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।

নিহতের স্ত্রী ঈশিতা খাতুন অভিযোগ করে বলেন, বিভিন্ন সময়ে ছোটখাটো অসুখ হলে আমার স্বামী সুমন ডাক্তারের কাছ থেকেই চিকিৎসা নিয়ে থাকেন। গত তিনদিন ধরে বুকে ব্যথা ও যন্ত্রণায় ভুগতেছিলেন। গতকাল রাতে তার থেকে গ্যাসের ট্যাবলেট নিয়ে খান। সকালে অসুস্থ বেশি হলে ওই ডাক্তারকে আমার স্বামী ফোন করে ডাকেন। স্বামীকে বারবার বলি যে পাবনায় যেতে হবে। তিনি এ কথা না শুনে ওই ডাক্তারকেই ডাকেন। এরপর তিনি আমার বাড়িতে এসে পরপর ৪টি ইনজেকশন পুশ করেন। এক মিনিটের মধ্যেই স্বামী আমার হাতের ওপর মারা যান। এ ঘটনায় আমি সুষ্ঠু বিচার ও অভিযুক্তের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান।

এ বিষয়ে পল্লী চিকিৎসক আতিকুজ্জামান ওরফে সুমন মহুরি বলেন, হাসমত আমার ঘনিষ্ঠ বন্ধু। আমরা সব সময় একসঙ্গে চলাচল করেছি। সকালে তার বুকে ব্যথা বেশি হলে আমি গিয়ে প্রথমে হাসপাতালে নেওয়ার কথা বলেছি। এরপর একটা সার্জেল গ্যাসের ইনজেকশন পুশ করি। হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যায় সে। তার মৃত্যুর জন্য আমি কোনোভাবেই দায়ি নই। অযথা আমার ফার্মেসি ভাঙচুর করে প্রায় ১৫ লাখ টাকার ওষুধ পুড়িয়ে দিয়েছে।

এর আগে তার ভুল চিকিৎসায় আরও দুইজনের মৃত্যুর বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, এসব সম্পর্কে আমি জানি না।

পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ আলম বলেন, ঘটনার পর আমরা নিহতের বাড়িতে গিয়েছিলাম। পরিবার ও এলাকাবাসীদের থেকে শুনেছি যে বুকে ব্যথা ও যন্ত্রণা বেশি হলে নিহতের বন্ধু পল্লী চিকিৎসক সুমনকে মোবাইলে ডেকে আনলে তিনি ইনজেকশন পুশ করেন। এরপর তিনি মারা যান। এরপর বিক্ষুব্ধ জনগণ তার দোকানের সব ওষুধ পুড়িয়ে দেন। পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। এরপর হাসপাতালে ময়নাতদন্ত করা হয়। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট না পাওয়া পর্যন্ত সঠিত তথ্য বলা অসম্ভব। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে যদি দোষী সাব্যস্ত হয় তাহলে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

পাবনার সিভিল সার্জন শহিদুল্লাহ দেওয়ান বলেন, এ বিষয়ে এখনো আমরা কোনো অভিযোগ পাইনি। পল্লী চিকিৎসকদের সেবা দেওয়ার কোনো অনুমতি থাকে না। সেজন্য ওইভাবে রোগীর রেজিস্ট্রারও থাকে না। যদি কোনো ক্লিনিক বা হাসপাতাল হতো তাহলে রেজিস্ট্রার থাকত।   তখন আমরা প্রয়োজনীয় তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করে তদন্ত করতে পারতাম। যদি কেউ অভিযোগ দেয় তাহলে খতিয়ে দেখা হবে।

এ বিভাগের আরও খবর...

পুরাতন খবর

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১৩১৫১৬
১৯২০২১২২২৩
২৪২৫২৬২৭  

Archive Calendar

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১৩১৫১৬
১৯২০২১২২২৩
২৪২৫২৬২৭  
© ২০২১ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | নগর সংবাদ
Design & Developed BY:
ThemesCell