নগর সংবাদ।। শিপন উদ্দিন,কেরানীগঞ্জঃ ঢাকার বুড়িগঙ্গায় নৌকাডুবিতে একই পরিবারের তিন জনের লাশ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল। আজ সকাল সাড়ে নয়টায় এম ডি প্যারাডাইস নামে একটি কার্গোর ধাক্কায় ঢাকার কামরাঙিচর খাগাইন ঘাট থেকে কেরানীগঞ্জ যাওয়ার পথে একই পরিবারের ৭ জনসহ মোট ১০ জন যাত্রী নিয়ে বুড়িগঙ্গার মাঝ নদীতে ডুবে যায় একটি যাত্রীবাহী নৌকা। এর মাঝে নৌকার মাঝি হানিফসহ ৩ জন সাঁতরে কুলে উঠে এবং আশেপাশের লোকজন ফাহিমা(৫০) ও তার নাতনী দেড় বছরের শিশু সানজিদাকে উদ্ধার করলেও তার দুই মেয়ে রেখা (২৮), শীতল(২৫), শীতলের ছেলে শফিকুল(৮) এবং রেখার মেয়ে সানজিদা(৮) পানিতে তলিয়ে যায়। খবর শুনে সদরঘাট নদী ফায়ার স্টেশন ও বরিশুর নৌ পুলিশের যৌথ অভিযানে বেলা সাড়ে এগারটায় ফাহিমার মেয়ে রেখা(২৯) ও নাতনী (রেখার মেয়ে)সানজিদা(৯) এর লাশ উদ্ধার করে। এবং বেলা সাড়ে তিনটার দিকে শীতলের ছেলে শফিকুল ইসলাম (৮) এর লাশ উদ্ধার করা হয়। এখনো পর্যন্ত পরিবারের অপর সদস্য শীতল নিখোঁজ রয়েছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত উদ্ধার তৎপরতা অব্যাহত আছে। সদরঘাট নদী ফায়ার স্টেশনের স্টেশন ম্যানেজার মালেক মোল্লাহ জানান, খবর পাওয়ার সাথে সাথেই আমরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে তিনজনে লাশ উদ্ধার করতে সক্ষম হই। ১০ যাত্রীর মাঝে ৩ জন সাঁতরে এবং দুইজনকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে। এখনো পর্যন্ত শীতল নামে এক নারী নিখোঁজ রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে সেও হয়তো বেঁচে নেই। উদ্ধার হওয়া তিনজনের লাশ পরিবারের আবেদনের প্রেক্ষিতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে। উল্লেখ ফাহিমা বেগমের দুই মেয়ের একজন(রেখা) কামরাঙিচরের আবু সাঈদের ভিটা এলাকায় এবং শীতল কেরানীগঞ্জের জিয়া নগর এলাকায় ভাড়া থাকতো। ফাহিমার স্বামীর নাম মজিবুর রহমান। তারা শরীয়তপুর জেলার জাজিরা থানার বড়কান্দী ইউনিয়নের মৃধাকান্দী এলাকার বাসিন্দা। তারা কামরাঙির থেকে ছোট মেয়ে শীতলের কেরানীগঞ্জের বাসায় যাচ্ছিলো। ঘাতক বাল্কহেড এবং চালকসহ ৬ জনকে আটক করেছে বরিশুর নৌ ফাঁড়ি পুলিশ।