নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলায় ফিরোজা বেগম (৭৫) নামে এক বৃদ্ধার পা বাঁধা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তবে তাৎক্ষণিক পুলিশ হত্যাকাণ্ডের কোনো কারণ জানাতে পারেনি।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, ফিরোজা বেগম স্বামীর ঘরে একা থাকতেন। প্রতিদিনের মতো শুক্রবার (২৮ জুন) রাতে ফিরোজা নিজ কক্ষে একা ঘুমিয়ে পড়েন। সকালে তার বড় ছেলে রফিক উল্যাহ ঘুম থেকে উঠলে মায়ের ঘরের দুটি দরজা খোলা দেখেন। পরে তাকে তার এক ভাগিনা জানান তার মায়ের বসতঘরের সিঁধ কাটা রয়েছে। পরবর্তীতে বসতঘর সংলগ্ন পুকুর পাড়ে ভিকটিমের পা বাঁধা মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে ভিকটিমের এক নাতি তার বড় ছেলে রফিককে বিষয়টি জানান।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, নিহত বৃদ্ধা সব সময় হাতে দুটি স্বর্ণের বালা, গলায় হার, কানে দুল ও হাতে দুটি স্বর্ণের আংটি পরতেন। ধারণা করা হচ্ছে, ওই স্বর্ণালঙ্কার নেওয়ার জন্যই তাকে হত্যা করা হয়েছে। নিহতের স্বজনদের দাবি, একটি দুল নেওয়ার সময় ফিরোজার কানেও রক্তাক্ত জখমের চিহ্ন দেখে গেছে।
কবিরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ুন কবির জানান, বৃদ্ধার পা বাঁধা ও মুখে রক্ত ছিল। প্রাথমিকভাবে বিষয়টি একটি হত্যাকাণ্ড প্রতিয়মান হচ্ছে। রহস্য উদঘাটনে তদন্ত চালানো হচ্ছে। ঘটনাস্থলে মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।