পদ্মা নদীর বুকে নির্মিত সেতুর ১৬ নম্বর পিলারের কাছে ঘুরতে গিয়ে রাজধানীর একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্র নিখোঁজ হওয়ার পর একজনের মরদেহ পাওয়া গেছে।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের ডুবুরি দল ওই একজনের মরদেহ খুঁজে পায়।
অপরজন এখনও নিখোঁজ।
যার মরদেহ পাওয়া গেছে, সেই শিক্ষার্থীর নাম সব্যসাচী সৌম্য দাস (২৯), নিখোঁজ আছেন নুরুল হক নাফি (২৪)। তারা ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী।
শুক্রবার (২ জুন) বিকেলে এ তথ্য জানান ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের দায়িত্বরত কর্মকর্তা পরিদর্শক লিমা খানম।
তিনি বলেন, শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে সংবাদ পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের লৌহজং স্টেশনের কর্মীরা ঘটনাস্থলে ছুটে যায়। পরে সদর দপ্তরের বিষয়টি জানানো হলে ঘটনাস্থলে যায় ডুবুরি ইউনিট। তারা তাৎক্ষণিক উদ্ধার কাজ শুরু করে। নদীতে তল্লাশি চালিয়ে বিকেল ৪টা ২০ মিনিটে তারা একজনের মরদেহ উদ্ধার করে; অপরজন এখনও নিখোঁজ। ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে কাজ করছে।
ঘটনাস্থলে থাকা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের এক কর্মকর্তা বলেন, পদ্মায় একটি স্পিডবোটে করে চার বন্ধু ঘুরতে আসেন। বোটটিতে চালকসহ ৫ জন ছিলেন। বোটে করে বন্ধুরা পদ্মা সেতুর ১৬ নম্বর পিলারে কাছে আসেন। সেখানে একটি উঁচু জায়গা আছে, যেখানে তারা প্যান্ট-শার্ট খুলে নদীতে গোসলে নামেন। ওই অবস্থা থেকে তিনজন ফিসে আসেন, কিন্তু দুজন নিখোঁজ হন।
ফিরে আসারা বিষয়টি ফায়ার সার্ভিসকে জানান। পরে ফায়ার সার্ভিসের লৌহজং স্টেশনের একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে ছুটে যায়। তারা সদর দপ্তরে বিষয়টি জানালে ডুবুরি গিয়ে তল্লাশি চালিয়ে একজনের মরদেহ উদ্ধার করে। উদ্ধার অভিযানে ঘটনাস্থলে নৌ-পুলিশ, কোস্টগার্ড, বিডব্লিউটিএ টিম রয়েছে বলেও জানান তিনি।