মোঃ শাকিল হাসান :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আইনজীবী সমিতির এডভোকেট রাকেশ চন্দ্র সরকার। ছাত্র জীবন থেকেই প্রতারণার অভিযোগ আছে তার বিরুদ্ধে। এবার এই রাকেশ এর বিরুদ্ধে প্রতারণার শিকার হয়েছে এক বিধবা নারী রাশমনি ভৌমিক। রাশমিন ভৌমিক এর স্বামীর বাড়ি সরাইল উপজেলার শাহজাদাপুর গ্রামের বড় বাড়ি। মৃত পান্ডব ভৌমিক এর দ্বিতীয় স্ত্রী রাশমিন ভৌমিক। পান্ডব ভৌমিক এর প্রথম স্ত্রীর এক ছেলে মৃত হরলাল ভৌমিক ও পাঁচ মেয়ে আর দ্বিতীয় স্ত্রী রাশমিন ভৌমিক এর এক ছেলে মৃত ভুবন রঞ্জন ভৌমিক ও তিন মেয়ে। ভুবন রঞ্জন ভৌমিক প্রাপ্ত বয়সে অবিবাহিত অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুকালে তার মা ও তিন বোন রেখে যান।
মৃত পান্ডব ভৌমিক এর ওয়ারিশ প্রাপ্ত হিসেবে ভুবন রঞ্জন ভৌমিক তার শাহজাদপুর মৌজার জে এল নং ৭১ খতিয়ান ১৭৫৬ নিজ নামে বিএস রেকর্ড করে সরকারি খাজনাদি পরিশোধ করে ভোগ দখল করে আসা অবস্থায় মৃত্যুবরণ করলে তার মা রাশমিন ভৌমিক আইনগত ভাবে মালিক হয়ে নিজ নামে জমা খারিজ করে সরকারি খাজনাদি পরিশোধ করেন। পরবর্তীতে ভুবন রঞ্জন ভৌমিক এর সৎ ভাইয়ের ছেলে স্বপন লাল ভৌমিক প্রতারণা করে নিজ নামে জমা খারিজ করে নেয়। আর এই অবৈধ কাজের সহযোগিতা করে স্বপন এর আপন বোন জামাই এডভোকেট রাকেশ চন্দ্র সরকার। জানা যায়, স্বপন রাকেশকে আমমোক্তার নামা দলিল করে দেয়। এর পর থেকে শুরু করে এডভোকেট রাকেশ তার প্রতারণা। রাকেশ বাহিনী প্রথমে রাশমিন ভৌমিক এর কাছ থেকে জোরে টিপ সহি নেয়। বিধবা নারী রাশমিন ভৌমিক এর জীবন চলাচলের এক মাত্র আয়ের উৎস মৃত ভুবন রঞ্জন ভৌমিক এর রেখে যাওয়া জায়গা গুলো দিয়ে ফসল উৎপাদন করে জীবন-যাপন করতো। এই রাকেশ বাহিনী রাশমিন ভৌমিককে জোর পূর্বক বাড়ি থেকে বের করে দিয়ে সব জায়গা অবৈধভাবে দখল করে নেয় বিধবা নারীর শেষ আশ্রয় স্হল। রাশমনির ঘরের সব মালামাল নিয়ে যায় রাকেশ বাহিনী। এই বিষয়ে জানতে চাইলে এলাকার সাধারণ মানুষ বলেন, রাশমিন ভৌমিক এর উপর যে নির্যাতন করেছে স্বপন রাকেশ রাহুল, এই বিধবা বৃদ্ধ নারীকে তার বাড়ি থেকে বের করে দিছে, ঘরের সব মালামাল নিয়ে গেছে এরা। পরে এই বিধবা নারী তার বড় মেয়ের বাড়িতে আশ্রয় নেন। আর এই মেয়ের বাড়িতে আশ্রয় নেওয়ায় তার বড় মেয়ে রীতন রানী সরকার এর পরিবারের জন্য কাল হয়ে আসে। রাশমিন তার বড় মেয়ের জামাইকে জায়গার মামলা মোকদ্দমা পরিচালনা করার জন্য আম মোক্তারনামা করে দেয়, কারণ রাশমিনর বয়স প্রায় ৮৫ বছর বয়স সে চলাফেরা করতে পারে না ঠিকমতো। তার মেয়ের জামাই রসরাজ চন্দ্র সরকার সহ তার পরিবারের সবাই সহ বিধবা নারী রাশমনিকেও রাকেশ বাহিনী মিথ্যা হয়রানি মূলক মামলা দেয়, আর এই মামলায় রসরাজ একাধিক বার জেল খেটেছে। রসরাজ বলেন, আমার শাশুড়ীকে রাকেশ ও রাহুল বাহিনী জোর করে বাড়ি থেকে বের করে দিছে, এখন আমার শাশুড়ী আমার বাড়িতে থাকে। উনার সব জায়গা জমি রাকেশ বাহিনী অবৈধভাবে দখল করে নিছে। আমার শাশুড়ী চলাচল করতে পারে না তাই আমাকে আম মোক্তারনামা দলিল করে দিছে। আমি জায়গা জমির মামলা পরিচালনা করি তাই আমাকে ও পরিবারকে মিথ্যা হয়রানি মূলক মামলা দিয়েছে, আমি একাধিক বার জেল খেটেছি। রাকেশ এডভোকেট তাই যে কোন মিথ্যা মামলা দিলেও আদালত জামিন দেয়না। রাকেশ ভারতের ‘র’ এর এজেন্ট তাই আগে সব অফিসাররা তাকে ভয় করতো। জানা গেছে, রাকেশ বর্তমানে পলাতক আছে, তার নামে একাধিক হত্যা মামলা আছে। আওয়ামী লীগের দোসর, ভারত দোসর ও ভারতের ‘র’ এর এজেন্ট রাকেশ বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় হত্যার সাথে জড়িত ছিল। রাকেশ বাহিনী এর সহযোগী রাহুল ও একাধিক হত্যা মামলার পলাতক আসামি। রসরাজ বলেন, বর্তমানে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক এর কার্যালয়ে মিস কেস আপিল মামলার শুনানী চলতেছে। আমি এদের বিচার দাবি জানাচ্ছি। এই বিষয়ে জানতে চাইলে রাশমনি বলেন, আমি এই বৃদ্ধ বয়সে আমার স্বামীর ভিটাতে মরতে চাই। রাকেশ, স্বপন ও রাহুলদের কঠিন শাস্তি দিতে হবে, যাতে করে কেহ আমার মতো বৃদ্ধ বয়সে স্বামীর ভিটা থেকে উচ্ছেদ করতে না পারে।