ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলায় এক ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে নারী ইউপি সদস্যকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। সোমবার (২৯ মে) রাতে বিষয়টি ৬ লাখ টাকায় রফাদফা হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, একটি জন্মনিবন্ধনে চেয়ারম্যান মো. সোলমান সিকান্দার সই প্রয়োজন পড়ে। ১৮ মে জোহরের নামাজের পর ওই নারী ইউপি সদস্য ফোন দিলে চেয়ারম্যান তাকে বাসায় যেতে বলেন। চেয়ারম্যান বাসায় একা ছিলেন। ওই নারী ইউপি সদস্য তার বাসায় গেলে দরজা বন্ধ করেন দেন। একপর্যায়ে তাকে ধর্ষণ করেন চেয়ারম্যান।
ওই নারী ঘটনা প্রকাশ করে দিতে চাইলে চেয়ারম্যান বিয়ের আশ্বাস দেন। কয়েকদিন পর বিয়ে করতে অস্বীকার যান চেয়ারম্যান। একপর্যায়ে ওই নারীর পরিবারের সদস্য ও তার স্বামী ঘটনাটি জেনে ফেলেন। ২৫ মে ওই নারীর স্বামী তালাক দেন। নিরুপায় হয়ে ইউপি সদস্য আশুগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হাজি মো. ছফিউল্লাহ মিয়ার কাছে বিচার চান এবং বিয়ের দাবি করেন।
সোমবার (২৯ মে) বিকেলে হাজি ছফিউল্লাহ মিয়ার অফিসে এ বিষয় নিয়ে বৈঠক হলে সমাধান না করেই সবাই চলে যায়। ওইদিন রাতেই তালশহর ইউনিয়নের মৈশাইর গ্রামের সাবিনা মেম্বারের বাড়িতে উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক কামাল হোসেন জয়, তালশহর ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য রশিদ মেম্বার, অভিযুক্ত চেয়ারম্যান মো. সোলমান সিকান্দার ও ভুক্তভোগী ওই নারী উপস্থিত ছিলেন। এ সময় ছয় লাখ টাকা লেনদেনের মাধ্যমে বিষয়টি জোরপূর্বক আপস মীমাংসা করা হয়। ঘটনার পর থেকে ওই নারীর মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে জানতে আরেক নারী সদস্যের মোবাইল নম্বরে কল দিলে তার স্বামী নূরুল আমিন সরকার রিসিভ করেন। তিনি বলেন, রাতে ভুক্তভোগী ওই নারী আমাদের বাসায় এসেছিলেন। সবাই বসে কথা বলেছে। তবে টাকা দিয়ে সমাধানের বিষয়টি আমার জানা নাই।
উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক কামাল হোসেন জয়ের মোবাইল নম্বরে কল দিলে তিনি বিষয়টি জানেন না বলে জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে তালশহর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. সোলমান সিকান্দার বলেন, ইউনিয়নের বরাদ্দ নিয়ে মেম্বারদের সঙ্গে অনেক সময় ঝামেলা হয়। কেউ হয়তো ষড়যন্ত্র করে আমার বিরুদ্ধে এমন কথা বলছে। এসব তথ্য মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।
এ বিষয়ে জানতে আশুগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হাজি মো. ছফিউল্লাহ মিয়ার মোবাইল নম্বরে একাধিকবার কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।