শিপন মিয়া (১৬)। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার ছোটহরণ গ্রামের বাসিন্দা।বাড়ির পাশেই রয়েছে রেললাইন। তখন ঢাকাগামী চলন্ত তিতাস কমিউটার ট্রেন থেকে ছিটকে পড়ে যায় এক ব্যক্তি। তার কান্নার শব্দ শুনে ছুটে যান শিপন। যানতে চান কিভাবে ছিটকে পড়লেন।
সেসময় ওই ব্যক্তি জানান ট্রেনটি হঠাৎ ঝাঁকুনি দিলে আমি পড়ে যায়। বিষয়টি সন্দেহ হলে রেললাইনের স্লিপারে দিকে তাকান শিপন। এই সময় তিনি দেখতে পান রেললাইন অনেকটা বেঁকে গেছে। পরে জানতে পারেন তীব্র গরমেই এই ঘটনা ঘটে।
এটা জানার পর শিপন পরবর্তীতে আসা ট্রেনগুলোকে দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা করতে রেললাইনের পাশে এক বাড়ি থেকে লাল কাপড় আনেন। সে কাপড়ের সাথে দুইটি গাছের ঢাল দিয়ে একজনকে সাথে নিয়ে রেল লাইনের উপর দাঁড়ান। এ সময় ঢাকাগামী চট্টলা এক্সপ্রেস বিপদ সংকেত বুঝতে পেরে থেমে যায়।
শিপনের এই সাহসিকতা নানা মহলে আলোচনা চলছে। বিষয়টি নিয়ে শিপনের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, যখন দেখতে পাই রেল-লাইন বেঁকে গেছে। তখন ট্রেন দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি এড়াতে তাৎক্ষনিকভাবে এই পথে ট্রেন চলাচল বন্ধ করার চিন্তা করি। সেসময় একটি বাড়ি থেকে লাল কাপড় এনে দিয়ে রেল লাইনের উপর দাঁড়িয়ে যাই।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশন মাষ্টার সাকির জাহান জানান, অতিরিক্ত গরমের জন্য রেললাইন বেঁকে গিয়েছিল। দুই ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে আপলাইন ঠিক করা হয়। পরে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।