রিপোর্টার কলকাতা থেকে শম্পা দাস ও সমরেশ রায়।।ভারতীয় জনতা পার্টি, তফসিলি মোর্চা ও দলিতদের নিয়ে ধর্মতলায় সভা করলেন।
আজ ধর্মতলার ডরিনা ক্রসিংয়ে বেলা দুটোই,। ডা: সুদীপ আদিত্য দাসের নেতৃত্বে ধর্মতলায় বিশাল সমাবেশ করেন ,ভারতীয় জনতা পার্টির তফসিলি মোর্চার রাজ্য সভাপতি , দলিত বিরোধী মমতা ব্যানার্জীর দ্বারা শ্রী শ্রী হরিচাঁদ ও গুরুচাঁদ ঠাকুরকে অশালীন মন্তব্য করার প্রতিবাদে আজকের এই সমাবেশ। এই মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন অন্যান্য জেলার সভাপতি এবং বিধায়ক গণেরা, শুধু তাই নয় বিভিন্ন জেলা থেকে আগত মতুয়া সম্প্রদায়ের মানুষেরা, যাহারা এই হরিচাঁদ গুরুচাঁদকে প্রতিদিন স্মরণ করে নিজেদের কর্মস্থলে বেরোন এবং কর্ম করে খান ,সেই সম্প্রদায়ের গুরু কে অবমাননা কর কথাবার্তা বলার জন্য আজ এই প্রতিবাদ এবং গর্জে উঠলেন। শুধু তাই নয়, মঞ্চ থেকে ঘোষণা করলেন যাদের দ্বারা মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী আজ আসনে বসে আছেন ,যাদের ভোটে মুখ্যমন্ত্রী গদি পেয়েছেন, সেই দলিত সম্প্রদায়ের মানুষকে তিনি অপমান করেছেন ,শুধু তাই নয় তাদের গুরুদেবকে নিয়ে অশালীন মন্তব্য করেছেন, তাহার জানা উচিত ছিল ,এই দলিত সম্প্রদায়ের তফসিলি জাতি মানুসেরা না থাকলে কোনদিন তিনি সিংহাসনে বসতে পারতেন না, পশ্চিমবঙ্গে যাদের ভোট দুই কোটিরও বেশি ,
আমরা ভুল করেছি সেই গদির অধিকার দেওয়াটা, শুধু তফসিলি মোর্চা ও দলিত সম্প্রদায়ের মানুষকেই তিনি অপমান করেননি ,মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষকেও দিনের পর দিন তিনি হেনস্থা করে যাচ্ছেন এবং নিজের স্বার্থ ফুরিয়ে গেলে তাদের উপর জুলুম নামিয়ে আনছেন।, এটা বেশিদিন ধরে চলবে না ,সবাই বুঝতে শিখেছে, তাই আগামী দিনের ভোটে তারাই জবাব দেবেন ,এইটুকুনি হুঁশিয়ারি দিলাম। আর একটা কথাই বলবো, আজ এই সমাবেশে যারা এসেছেন তাদেরকে আমরা জোর করে ডেকে আনি না বা ভয় দেখিয়ে ডেকে আনি না ,তারা সব সেচ্ছায় এখানে এসেছে,
আর তারাই জবাব দেবে আগামী দিনে আমরা আশা রাখি ,এবারে দু কোটি মানুষের মধ্যেই এক কোটি ৯০ লক্ষ মানুষ আমাদেরকে ভোট দেবে, আজ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এই দলিয সম্প্রদায়ের মানুষদের জন্য বিভিন্ন রকম যোজনা এনেছেন, প্রকল্প এনেছেন, কিন্তু মাননীয় মুখ্যমন্ত্রীর সেখানেও বাধা, তিনি কোনদিন চান না এই দলিত সম্প্রদায়ের মানুষের ভালো কিছু হোক ,তাই তিনি সবসময় তফসিল জাতির উপর নামিয়ে আনছেন এই অত্যাচার, তবে সেটা বেশিদিন আমরা হতে দেব না। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দলিত সম্প্রদায়ের জন্য ঘরে ঘরে শৌচালয় তৈরি করেছেন, কারণ তিনি মহিলাদের সম্মান বাঁচাতে এই কর্মকাণ্ডে মেতে ছিলেন,
আজ সারা ভারতবর্ষে কোটিরও বেশি শৌচালয় তৈরি হয়েছে এবং মহিলারা সম্মান ফিরে পেয়েছেন ,আর তাদের মাঠের মধ্যে ,কোন রাস্তার ধারে যেতে হয় না বা অন্য কোন জায়গায়, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যে কাজটা আনেন ,সেটা সুবিচার করেই আনেন, কিন্তু আমাদের মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী কিভাবে সাধারণ মানুষকে কাজে লাগিয়ে দলিত সম্প্রদায়কে কাজে লাগিয়ে নিজের অধিকার জয় করবেন এবং জয় করার পর তাদেরকে দূরে সরিয়ে দেবেন ও হেনস্থা করবেন ,কিভাবে প্রশাসন দিয়ে শায়েস্তা করবেন, তাদের উপর জুলুমে আনবেন ,এটাই তাহার পরিচয়, নাকি গরিবের দিদি ,গরিবের মনোবল, তাহলে কেন দলিল বিরোধী কথাবার্তা , কেন তফসিলি জাতিকে তুচ্ছ করা হচ্ছে , কেন,ঠাকুর হরিচাঁদ ও গুরুচাঁদের উপর নামিয়ে আনলেন অশালীন মন্তব্য ,এর জবাব জনগণ দেবে..। আজ প্রায় ছয় থেকে 800 বিভিন্ন জেলা থেকে মতুয়া সম্প্রদায়ের মানুষেরা, বাজনা বাজাতে বাজাতে মঞ্চে প্রবেশ করেন........।