আজ ২৮শে আগস্ট বুধবার, সকাল থেকেই কলকাতা সহ জেলায় জেলায় বাংলা বনধ সফল করলেন, গতকাল নবান্ন অভিযান কে কেন্দ্র করে যেভাবে পুলিশি অত্যাচার নেমে এসেছিল সাধারণ মানুষের উপরে , তারি প্রতিবাদে আজকের বাংলা বনধ, বিজেপি কর্মীরা, সকাল থেকেই পথে নামেন। তমলুক হাসপাতাল মোড়ে সমর্থকরা পথ অবরোধ করেন, নন্দীগ্রামের ভেটুরিয়া বাসস্ট্যান্ডে টায়ার জ্বালিয়ে অবরোধ করেন। ময়নার কৃপা সিন্ধু মোরে দোকান খোলা রেখেছিলেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা,
সেই দোকান খুলে রাখাকে কেন্দ্র করে বিজেপি কর্মী সমর্থকদের সাথে রীতিমতো ধস্তাধস্তি শুরু হয়। কলকাতার এক নম্বর দমদম এলাকায়, নাগেরবাজার তার প্রভাব খুব একটা না পড়লেও, যানবাহন সাময়িক চলছে , তবে রাস্তায় গাড়ি চোখে না পড়ার মতো।। পুরোনো দিনের তুলনায় গাড়িতে যাত্রী সংখ্যাও কম। গতকাল পুলিশ অত্যাচারের প্রতিবাদে, বাংলায় বনধ সফল করার জন্য, রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী পদযাত্রায় পা মেলান। নন্দীগ্রাম বাস স্ট্যান্ড থেকে বিডিও অফিস পর্যন্ত পদযাত্রা করেন ও স্লোগান দেন দোষীদের শাস্তি চাই, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগ চান। মেদনীপুর সেন্ট্রাল বাসস্ট্যান্ডে টায়ার জেলে বিক্ষোভ ,বের হলো না বেসরকারি বাস, এই আতঙ্কে সরকারি বাসের চালক ও বেসরকারি বাসের মালিকেরা বের হলেন না রাস্তায়। মেদিনীপুর সেন্ট্রাল বাস স্ট্যান্ড থেকে প্রতিদিন গড়ে ৭০০ বাস যাতায়াত করে ,যার বেশিরভাগটাই বাসস্ট্যান্ডে আটকে রয়ে যায়। ফলে বেশি চাপ তৈরি হয় সরকারি বাসে। বাস অনার্স অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে মৃগাঙ্ক মাইতি জানিয়েছেন, জঙ্গলমহলের বেশ কিছু রুটে বাস অস্বাভাবিক রয়েছে, বেশিরভাগ জায়গাতেই বেসরকারি বাস বন্ধ রয়েছে, যেকোনো রকম গন্ডগোলের আশঙ্কায় তারা বাস বার করছেন না, বেশ কিছু বাস চালকরা বলেছেন বাস নিয়ে বের হলেও যাত্রী পাওয়া যাচ্ছে না, ফলে বাস বের করে ফেরত নিয়ে আসতে হয়েছে, সকাল থেকে কোতোয়ালি থানার পুলিশ মেদিনীপুর সেন্ট্রাল বাসস্ট্যান্ডে পাহাড়ায় রয়েছে। তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের পক্ষ থেকেও মিছিল করে স্বাভাবিক রাখার আহ্বান জানানো হয়েছে, কিন্তু তা হলো নিরাপত্তা জনিত কারণে মেদিনীপুর সেন্ট্রাল বাসস্ট্যান্ড থেকে বেশিরভাগ বেসরকারি বাস বের হলো না রাস্তায়। কলকাতায় খুব একটা বন্ধের আজ না পড়লেও বিজেপির তরফ থেকে জানিয়েছেন আজকের বনধ সফল , এই বনধ নিরীহ জনসাধারণের জন্য বনধ, যাহারা নবান্ন অভিযান কে ঘিরে মার খেয়েছেন এবং পুলিশি অত্যাচারের সম্মুখীন হয়েছেন, তাহার প্রতিবাদেই আজকের বনধ। পূর্ব-পশ্চিম মেদিনীপুর জুড়ে বন্ধের প্রভাব বেশি পড়েছে।