আজ ৮ই আগস্ট বৃহস্পতিবার, ঠিক সকাল ৮.৩০মিনিটে, দক্ষিণ কলকাতার পাম এ্যাভুনিউ নিজও বাসভবনের প্রয়াত হয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ও পলিব্যুরোর সদস্য কমরেড বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। বার্ধক্যজনিত এবং স্বাসজনিত অসুস্থতার জন্য বেশ কিছুদিন ধরেই ভুগছিলেন ,মাঝে মধ্যেই চিকিৎসার জন্য তাকে হাসপাতালে যেতে হতো।
মন্ত্রী ফিরাদ হাকিম, কমরেড বিমান বসু, মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। উপস্থিত ছিলেন সুভাষ চক্রবর্তীর পত্নী ও অন্যান্যরা। তৎকালীন ব্রিটিশ অধিকৃত বেঙ্গল প্রেসিডেন্সির উত্তর কলকাতার পয়লা মার্চ ১৯৪৪ এর জন্ম কবি সুকান্ত ভট্টাচার্যের ভাইপো বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য।। নেপাল চন্দ্র ভট্টাচার্যের পুত্র বুদ্ধদেব পাটি সদস্য গ্রহণ করেন ১৯৬৬ তে, ১৯৬৮ তে ডি ওয়াই এফ আই রাজ্য সম্পাদক নির্বাচন হন, ৭২ নির্বাচিত রাজ্য কমিটিতে , ৮২তে রাজ্য সেক্রেটারিয়েটের অন্তর্ভুক্ত হন।
২০১৫ তে পলিবু্রো থেকে পদত্যাগ করেন, ২০১৮ তেই রাজ্য সেক্রেটারির সদস্যপথ ছেড়ে দেন। ১৯৮৭ তে যাদবপুর বিধানসভা কেন্দ্র থেকে নির্বাচিত হয়ে 2011 পর্যন্ত তিনি মন্ত্রিতে ছিলেন। সকাল থেকেই তাহার মরদেহ পাম এভ্যিনিউয়ের বাসভবনে রাখা ছিল ,বারোটা ত্রিশ নাগাদ পিস ওয়ার্ল্ডে তার মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয়। আগামীকাল পিস ওয়ার্ল্ড থেকে বিধানসভার উদ্দেশ্যে রওনা দেবেন সকাল 10:30 মিনিট। বিধানসভা ভবনের সকাল ১১ টা থেকে ১১ঃ৩০ মিনিট।
মুজফরপুর আহমেদ ভবন ,দুপুর বারোটা থেকে তিনটে ১৫ মিনিট, দীনেশ মজুমদার ভবন ৩:৩০ থেকে ৩৪৫ মিনিট, দীনেশ মজুমদার ভবন থেকে তিনটে পঁয়তাল্লিশে দেহ দানের জন্য, নীলরতন সরকার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উদ্দেশ্যে শেষ যাত্রা। দেহদান বিকেল চারটে। ঠিক এক বছর আগে , নয় আগস্ট ২০২৩-এ হাসপাতাল থেকে মৃত্যুকে পর্যাদস্তু করে যে বাড়িতে প্রবেশ করেছিলেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য, ৮ই আগস্ট ২০২৪, সেই পাম এ্যাভুনিউ এর বাড়িতে পঞ্চত্ব প্রাপ্তি করে চিরতরে বাড়ি থেকে প্রস্তান করলেন। সবাইকে ছেড়ে চিরতরে বিদায় নিলেন, অগণিত ভক্ত ও পার্টির সদস্য শেষ বারের মতো শ্রদ্ধা ও লাল সেলাম জানালেন। কমরেড বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য অমর রহে।