আজ ১২ই আগস্ট সোমবার, সকাল থেকে আন্দোলন চললেও দুপুরের পর উত্তাল হয়ে পড়ে আরজি কর এর এমার্জেন্সি গেট, হাজারে হাজারে বিভিন্ন মেডিকেল কলেজের ডক্টর থেকে শুরু করে ,জুনিয়র ডাক্তার ও সিনিয়র ডাক্তাররা, ট্রেনি নার্সরা মিছিল করে জরো হতে থাকেন এবং বিক্ষোভে ফেটে পড়েন,
একটাই দাবী অবিলম্বে দোষীদের শাস্তি চাই এবং ন্যায্য তদন্ত চাই। সন্ধ্যার পর বিক্ষোভ আরো হয়ে ওঠে, আন্দোলনকারীরা খবর পান আর জি কর মেডিকেল কলেজের যিনি দায়ীত্বে ছিলেন তিনি এখান থেকে পদত্যাগের ষ এর করে অন্য হসপিটালে দায়িত্ব পেয়েছেন, যার ফলে সমস্ত ডাক্তার অ্যাসোসিয়েশন আরও জোর বিক্ষোভ দেখান,
এমনকি কুসপুতন পোড়ান, শুধু তাই নয় কেন তদন্ত রিপোর্ট দিতে দেরি হচ্ছে তার জবাব দিতে হবে, এবং কেন আত্মহত্যা বলে চালানো হচ্ছে, একজন ডাক্তারকে যেভাবে নিসংস ভাবে ধর্ষণ করে খুন করেছে, সেই সকল দোষীদের অবিলম্বে শাস্তি চাই। যতদিন না শাস্তি হবে আমরা এই আন্দোলন চালিয়ে যাব, আজকের এই মিছিলে যোগ দেন,
নাগরিক সমাজ প্রায় ১০ থেকে ১৫ হাজার মানুষ মিছিল করে আর জি কর থেকে শ্যামবাজার স্তব্ধ করে দেন, যোগদান করেন বিভিন্ন ডক্টর ফোরাম, যোগদেন ছাত্রছাত্রী মায়েরা, যোগদান আরএসএফ, এসএফআই, সহ অন্যান্য দল। যোগদান করেন কলেজের প্রফেসাররাও, সবার মুখে একটাই কথা, ঘটনাকে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে কিন্তু সেটা হতে দেব না। আর সাত দিন নয় এক মাস নয় তদন্ত রিপোর্ট তাড়াতাড়ি চাই।
এই অবস্থার ফলে ইমার্জেন্সি গেটে সামনে ব্যারিকেট পড়ে যায়, শুধু তাই নয় ইমারজেন্সিতে রোগী দেখাতে এসে রোগীর বাড়ির লোকেরাও বিপদে পড়ছেন, কিন্তু জুনিয়র থেকে সিনিয়ার সকল ডাক্তারদের একটাই দাবি যদি সঠিক বিচার ও সঠিক তদন্ত না হওয়ায় তাহলে আমরা এমার্জেন্সি স্তব্দ করে দেব কাজ বন্ধ করে।
এর সাথে সাথে আরো বিভিন্ন দাবি উঠে আসছে। উঠে আসছে নিরাপত্তা নিয়ে, সিসিটিভি নিয়ে, এমনকি পুলিশের ভূমিকা নিয়ে, যেখানে ছেলেমেয়েরা নিরাপদে নাই। আজকের মঞ্চে দাঁড়িয়ে তীব্র নিন্দা ভৎসনার মধ্য দিয়ে বক্তব্য রাখলেন লেডি ব্রাবন কলেজের প্রফেসর কেয়া বসু, ডক্টর দীপঙ্কর ঘোষ,
হোমিওপ্যাথির ডক্টর ছোটন দাস, আর জি কর হসপিটাল এর স্টুডেন্ট আসিফ ইকবাল সহ বিভিন্ন ডক্টর, স্টুডেন্ট ও টেনিনার্সরা।। তারা আজকে গান, কবিতা ও মোবাইলের আলোয় এই তীব্র নিন্দা কে তুলে ধরলেন।