প্রিন্ট এর তারিখঃ ডিসেম্বর ২৩, ২০২৪, ৪:২৩ এ.এম || প্রকাশের তারিখঃ নভেম্বর ১৫, ২০২৩, ৩:৫৮ পূর্বাহ্ণ
ভারতের কলকাতা ৪৮ তম বর্ষে পদার্পন করল,,,,,, টালিগঞ্জ বয়েজ ক্লাব,,।
৪৮ তম বর্ষে পদার্পন করল,,,,,, টালিগঞ্জ বয়েজ ক্লাব,,।
শম্পা দাস,সম্পাদক,দৈনিক নগরসংবাদ,নগরসংবাদ ২৪ডটকম,,কলকাতা ব্যুরো
টালিগঞ্জ বয়েজ ক্লাব দেখতে দেখতে ৪৮ তম বর্ষে পদার্পণ করল,, কিন্তু তাদের প্রতিমার রূপ ও প্রতিমার আবরণ একই রকম,,,, উভয় সম্প্রদায় মিলে সহযোগিতায় এই এলাকায় এই পুজোটি বিশেষ ভাবে আকর্ষণ কেরেছে এলাকাবাসীদের।।উভয় সম্প্রদায়ের বন্ধুত্বের জন্য পুজো সুন্দর মনোরম মুখর জমজমাট আয়োজন করেন।
কারণ এখানে দুটি সম্প্রদায়ের মানুষ বাস করেন মুসলিম সম্প্রদায় ও গুটি কয়েক বাঙালি পরিবার, তাই পূজা উদ্যোক্তাদের পুজো করতে হিমশিম খেতে হয়,, কারণ প্রতি মুহূর্তেই আসে বাধা, পারে না ভালো কিছু অনুষ্ঠান করতে,,
তবুও তারা চেষ্টা করেন এলাকাবাসীকে কিছু অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে এবং দান ধানের মধ্য দিয়ে এই মাকে আস্তে আস্তে বড় করা, । তাই তারা হাজার বাধা সত্বেও চেষ্টা করেন কয়েকটি প্রোগ্রাম রাখতে ছোটদের উৎসাহিত করতে,
, আর এই পুজোর বিশেষত্ব প্রতিবারই কোন নেতা মন্ত্রী নয়,, ,,, উদ্বোধনে আসে প্রতিবছর নিত্যনতুন মানুষ,, তাদের হাত দিয়েই এই পুজোর উদ্বোধন করেন,,,, কখনো উদ্বোধন করেছেন বৃদ্ধ মানুষদের দিয়ে,,
কখনো উদ্বোধন করছেন প্রতিবন্ধীদের দিয়ে, আবার কখনো উদ্বোধন করছেন বৃদ্ধাশ্রমের বৃদ্ধা মহিলা ও পুরুষদের দিয়ে।। পুজোর উদ্যোক্তারা হলেন প্রেসিডেন্ট সমীর কুমার সাহা, ,, ভাইস প্রেসিডেন্ট শংকর ব্যানার্জী,,, জয়েন সেক্রেটারী সৌরভ পোদ্দার ও ছোট্টু লাল সাহা,,, এছাড়াও রয়েছেন পার্থ সাহা,, রাজীব চক্রবর্তী সহ এলাকার মহিলা বৃন্দরা এই পুজোর বিশেষত্ব যা পশ্চিমবঙ্গে কোথাও হয় না শ্যামা কালী পূজোয়,,,, মাকে বিভিন্ন ফলের মালা দিয়ে সাজানো হয়,
এটাই এখানকার পুজোর রীতি ৪৮ বছর ধরে হয়ে আসছে। ঠাকুরের সাথে সামঞ্জস্য রেখেই এই প্রতিমাকে সাজানো হয়,,, এছাড়াও প্রতিবছর ১০০ কেজি চালের ভোগ রান্না করে পুজোর দিনে মানুষের হাতে ভোগ বিতরণ করা হয়।
তাছাড়াও তাদের সাধ্যমত প্রতিবছরই আশি থেকে একশটি শাড়ি কম্বল ও পাঞ্জাবী মিলে মহিলা ও পুরুষদের হাতে তুলে দেওয়া হয়।। চলে সারা রাত্রি তরে মায়ের পুজো, এলাকার গুটিকয়েক বাঙালী পরিবার সারারাত জেগে মায়ের পুজোকে আলোকিত করে রাখেন। টালিগঞ্জ বয়েজ ক্লাবের প্রেসিডেন্ট সমীর কুমার সাহা বলেন,,
অনেক বাধা বিপত্তী থেকেও আমরা ৪৮ তম বর্ষে পদার্পণ করেছি,, , এই ছোট্ট গলির মধ্যে,, আমাদেরকে পুজো করতে হয়, আসে মুহূর্তে মুহূর্তে বাধা ,,সেগুলোকে সামলেই আমরা এই পুজো করে থাকি,,, আর আমাদের সাথে যারা সহযোগিতা করেন ,আমরা কৃতজ্ঞ জানাচ্ছি আমাদের পাশে থাকার জন্য,,,, বিশেষ করে কয়েকটি পরিবারের মহিলা বৃন্দকে যারা সারাক্ষণ এই পুজোকে আলোকিত করে রাখে।। আর এর মধ্য দিয়ে চেষ্টা করি কিছুটা আনন্দ এবং সাধ্যমত অসহায় মানুষের পাশে থাকা।
শম্পা দাস,সম্পাদক
দৈনিক নগরসংবাদ,নগরসংবাদ ২৪ডটকম,,কলকাতা ব্যুরো
Copyright © 2024 নগর সংবাদ. All rights reserved.