ভারতের গরিব খেটে খাওয়া মানুষের অধিকারের দাবীতে INTUC সেবাদলের প্রতিবাদ।
””সম্পা দাস,–সম্পাদক,দৈনিক নগর সংবাদ,নগর সংবাদ ২৪ ডটকম,নগর টিভি,(ভারত) কলকাতা ব্যুরো”
উনিশে ডিসেম্বর শুক্রবার, ঠিক দুপুর দুটোয়, এক নম্বর কিরণ শঙ্কর রায় রোডের সংযোগস্থলে জমায়েত হয়ে, রাজ্য সভাপতি প্রমোদ পান্ডের উদ্যোগে, ভারতের খেটে খাওয়া গরীব মানুষের অধিকারের দাবীতে INTUC সেবাদল গান্ধীকে সঙ্গে নিয়ে, বিবাদী বাগের নিউ সেক্রেটারিয়েট বিল্ডিং এর সামনে প্রতিবাদ জানান।

প্রত্যেকে পোস্টার হাতে গান্ধীর আদর্শকে তুলে ধরেন, প্রতিবাদের সাথে সাথে, সেবা দলের পক্ষ থেকে একটি ট্রাগলাইন ব্যবহার করা হয়,—–ভাগো রাম ভাগো, ভাগো বিজেপি ভাগো, গ্রামে রাজ আসছে মহাত্মা গান্ধীর। কিছুতেই আমরা MGNREGA বন্ধ করার চেষ্টা রুকবো, বন্ধ করার বিরুদ্ধে আমাদের প্রতিবাদ গর্জে উঠবে।

তাহারা বলেন , প্রান্তিক ভারতবাসীর উন্নতিকল্পে জাতির পিতা মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী গ্রাম উন্নয়নের লক্ষ্য সামনে রেখেছিলেন , কিন্তু বাজপেয়ী সরকারের সময় দেখা গিয়েছিল যে বিজেপি গ্রামের উন্নয়নে চেয়েও পেটুয়া ব্যবসায়ীদের উন্নয়নে বেশি আগ্রহী, তাই ২০০৪ সালে ইউপিএ গঠনের সঙ্গে সঙ্গে গান্ধীজীর নামে গ্রামীণ রোজগার গ্যারান্টি স্কিম তৈরি করেছিলেন, সেই সময় ১০ বছরে ২৬ কোটি মানুষ দারিদ্র সীমার উপরে উঠে আসেন,

কিন্তু নরেন্দ্র মোদীর মুখ্যমন্ত্রী হিসাবেও ১০০ দিনের কাজ পছন্দ ছিল না ছিলেন, উন্নতম মজুরি ঘোষণা করার ফলে নরেন্দ্র মোদির সহায়ক শিল্পপতিরা বিনামূল্যে রেশনের উপর ভিত্তি করে শ্রমিক পাচ্ছিলেন না, ফলে চরম বেকারত্ব সত্বেও ১০০ দিনের কাজে কর্মদিবস তৈরিতে গুজরাট এবং সেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ব্যর্থ ছিলেন।

২০১৪ সালে ক্ষমতায় এসে নরেন্দ্র মোদী বুঝেছিলেন ভারতের জন্য প্রয়োজনীয় কাজ ও কর্পোরেট তৈরি করতে পারছেন না, ফলে ১০০ দিনের কাজের আশ্রয় নিয়ে, গ্রামীণ রাস্তা, আবাসন শৌচালয় তৈরি করলেন এবং সেগুলি নিজের কৃতিত্ব বলে জাহির করেছিলেন।
তিনি আরো বলেন, বর্তমানে পরিবর্তিত রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে ওর শিল্পপতি বন্ধুরা হয়তো বলছে তাদের ক্রীতদাস শ্রমিক চাই, যাহারা মজুরির বদলে শুধু এক বেলা খাওয়া নিয়ে সন্তুষ্ট থাকবে , সেই জন্য MGNREGA নাম পরিবর্তন করে ভাগো VB-G RAM -G ,(বিকশিত ভারত গ্যারান্টী রোজগার এবং আজীবিকা মিশন )নামে আশ্রয় নিচ্ছেন, জাতে ভেতরে রাম শব্দটি থাকে, আসলে ফাইজাবাদ লোকসভা আসনে শ্রী রামের হাতে থাপ্পড় খেয়েও এদের লজ্জা নাই।

যে কেন্দ্রীয় সরকার তিন বছর ধরে ১০০ দিনের টাকাই দিতে পারেনা ,তাহারা ১২৫ দিনের টাকা দেবে কিভাবে, যেখানে ন্যূনতম মজুরী হিসেবে বলা হচ্ছে ,দৈনিক তাদের ২৪০ টাকা, তাহার চেয়ে রাজ্য গুলির বেঁধে দেওয়া ন্যূনতম দৈনিক মজুরি অনেক বেশি। শুধু তাই নয় MGNREGA তে কেন্দ্রীয় সরকারের ১০০% টাকা দেওয়ার নিয়ম ছিল, কিন্তু নরেন্দ্র মোদি ৬০% কেন্দ্রীয় সরকারের হাতে রেখে 40% মমতা ব্যানার্জির দেউলিয়া সরকারের উপরে চাপিয়ে দিতে চাইছেন। এইরকম কর্মকাণ্ড করতে গিয়ে আমরা দেখেছি, ,” আয়ুষ্মান ভারত” এবং “স্বাস্থ্য সাথী” দুই স্বাস্থ্য গ্যারান্টী স্কিম টাকার অভাবে শুয়ে পড়তে বসেছে, সাধারণ খেটে খাওয়া গরীব মানুষেরা স্বাস্থ্য সাথী কার্ড থেকেও সময়ে চিকিৎসা পাচ্ছে না, চিকিৎসা ও টাকার অভাবে মৃত্যু ঘটছে।
এদিকে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ তত্ত্বেও, তিন বছরে ১০০ দিনের কাজের টাকা না দিয়ে, নরেন্দ্র মোদী সরকার নতুন জুমলা আনতে চলেছে, এবং এর ফলে আদৌ ১০০ দিনের কাজ পাওয়া যাবে কিনা সকলের মনে প্রশ্ন উঠেছে, এবং তাদের পাওনা টাকা পাওয়া নিয়ে নিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।
আমরা এরই প্রতিবাদে, এবং গরিব কেটে খাওয়া মানুষের ন্যায্য অধিকারের দাবী নিয়ে , গান্ধী সহ বেশ কিছু খেটে খাওয়া শ্রমিকদের সঙ্গে নিয়ে সেবা দলের তরফ থেকে প্রতিবাদে নেমেছি। গরিব মানুষদের ন্যায্য অধিকার ফিরিয়ে দিতে। আই এন টি ইউ সি সেবাদল সবসময় মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করেন।
