জুলাই গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হয়ে পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নেওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেখানে বসে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির চেষ্টা করছেন উল্লেখ করে এতে বাংলাদেশ সরকারের আপত্তির বিষয় তুলে ধরেছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা এম তৌহিদ হোসেন।
তিনি বলেছেন, আদালতের মাধ্যমে শেখ হাসিনা সাজা পেয়েছেন। আমাদের পাশের দেশে বসে এখানে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির চেষ্টা করছেন, এতে আমরা আপত্তি করবো কিংবা তাকে ফেরত পাঠাতে সহায়তা চাইব, এটা খুব অস্বাভাবিক কিছু না। কিন্তু তারা (ভারত) সেদিকে যায়নি।
ঢাকায় ভারতের হাইকমিশনারকে তলব প্রসঙ্গে তৌহিদ হোসেন বলেন, আমরা তাদের (ভারতের) হাইকমিশনারকে ডেকেছি। সেখানে আমরা যা বলেছি, সবকিছু তারা গ্রহণ করেনি, তাদের কিছু দ্বিমত আছে। একইভাবে আমাদের হাইকমিশনারকেও তারা ডেকেছে। এমনটা সাধারণত ঘটে।
‘ভারতের সঙ্গে টানাপোড়েন ছিল—এটা মেনে নিয়েই আমরা সবসময় বলে এসেছি—আমরা একটি গুড ওয়ার্কিং রিলেশন চাই। আমরা চাইলেই সেটা হবে, এমন কোনো কথা নেই।’
‘ভারতে বসে শেখ হাসিনা আগে বক্তব্য দিতেন সামাজিক মাধ্যমে। সাম্প্রতিক দেখলাম, মূলধারার সংবাদমাধ্যমেও তার বক্তব্য এসেছে। সেই বক্তব্যের মধ্যে প্রচুর উসকানি রয়েছে। যা আমরা দেখেছি।’
ভারতে বাংলাদেশের কূটনৈতিক মিশন ছোট করা হবে কিনা, এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘যখন মনে করবো আমাদের কর্মকর্তাদের পর্যাপ্ত কাজ নেই, তখন আমরা সেই চেষ্টা করবো। কিন্তু এই মুহূর্তে মনে করি না, সেই প্রয়োজন আছে।’
তিনি বলেন, ‘ভারত যদি শেখ হাসিনাকে থামাতে না চায়, তাহলে আমরা সেটা থামাতে পারবো না। আমরা চাই, শেখ হাসিনাকে ভারত থামাক। যাতে তার উসকানিমূলক বক্তব্য আমাদের নির্বাচনী পরিবেশকে উত্তপ্ত করতে না পারে। তারা এটা করলে সেটাকে ইতিবাচক পদক্ষেপ হিসেবে নেব।’