আজ ৯ই ডিসেম্বর শনিবার, ধর্মতলা গান্ধী মূর্তির পাদদেশে, এস এস সি যুব ছাত্র অধিকার মঞ্চের নবম_ দশম এবং একাদশ_ দ্বাদস্তরের বঞ্চিত চাকরি প্রার্থীরা, ধর্ণারত প্রার্থীদের ধরনার হাজার দিন পূর্ণ উপলক্ষে , মেধা বন্ধন কর্মসূচী ও গণকনভেনশন করবেন। সকাল সাড়ে এগারোটা থেকে এবং বিশেষ সম্বর্ধনা অনুষ্ঠান করলেন, বিভিন্ন দলের বিশিষ্ট নেতা নেতৃবৃন্দ উপস্থিত হন, ২০১৬ সালের শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির কারণে,
ন্যায্য চাকুরী থেকে বঞ্চিত নবম- দশম এবং একাদশ- দ্বাদশ স্তরের মেধাতালিকা যুক্ত সকল শিক্ষক শিক্ষিকা পদপ্রার্থীদের সুপার নিউমেরারি পোস্টে দ্রুত নিয়োগের দাবী নিয়ে এই ধর্না মঞ্চ এবং বিক্ষোভ,,দেখতে দেখতে হাজার দিন পূর্ণ হল,তবুও মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী একবার এই দিকে দেখেন নি এবং একবারও শিক্ষা মন্ত্রী এসে দেখাও করেনি। তারপর একটা প্রতিশ্রুতি দিয়ে যাচ্ছেন এবং আমাদের সাথে প্রতারণা করছেন, আর কতদিন এই ভাবে থাকতে পারেন ,
আমরা আর বেশি দিন চুপ করে থাকব না, আজকের এই বিক্ষোভ থেকে জানিয়ে দিলাম। হাজার দিন ধর্ণা মঞ্চের পূর্ণ দিন উপলক্ষে,, বিভিন্ন দল পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন, বিজেপি, সিপিআইএম, কংগ্রেস,এস ইউ সি আই, আরএস পি, ফরওয়ার্ড ব্লক,জয় প্রকাশ জনতা দল,
আইনজীবী সমাজসেবী, ও অন্যান্যরা, সকাল থেকে একে একে বিভিন্ন দলের নেতা নেতৃরা আসতে শুরু করেন শুরু এবং আমাদের পাশে এসে দাঁড়ান, উপস্থিত ছিলেন বামফ্রন্টের বিমান বসু, বিজেপির ইন্দ্রনীল খাঁ রুদ্রনীল ঘোষ, হিরণ মুখার্জি সহ অন্যান্যরা। সকলে সংক্ষিপ্ত বক্তৃতার মধ্য দিয়ে মাননীয় মুখ্যমন্ত্রীকে বিভিন্নভাবে আক্রমণ করলেন শুধু তাই নয়,চোর অপবাদও দিলেন,
এখনো মাননীয় মুখ্যমন্ত্রীর লজ্জা হয় না, সহানুভূতি বলে কিছু নাই,সারা রাজ্যে শুধু চোরেদেরকে পুষে রেখেছে, এবং টাকার বিনিময় চাকরী বিক্রি করছে,যোগ্য ছেলে মেয়েরা চাকরী পাচ্ছে না, যোগ্য শিক্ষিত ছেলে মেয়েরা আজ পথে বসে ধর্ণা দিচ্ছে, লক্ষ লক্ষ টাকা খরচা করে পড়াশোনা করে এবং চাকরি পরীক্ষায় পাশ করে গান্ধী মূর্তির পাশে হাজার দিন বসে, এর জন্য চোখের জল ফেলছে ,ঘর বাড়ী ছেড়ে পথে বসে আছে, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর লজ্জা হওয়া দরকার।,
লজ্জা হওয়া দরকার একবার এসে সহানুভূতি দেখানো পর্যন্ত মনে করেনি, এত গুলো বছর এই সকল ছেলে মেয়েদের স্বপ্ন নষ্ট করে দিয়েছে, আজ তাদের বাবা-মাকে দেখার কথা, বাবা মায়ের পাশে থাকার কথা,তবে এই সকল বেশি দিন হতে দেব না,এই সকল ছেলে মেয়েদের চাকুরী মুখ্যমন্ত্রীকে দিতে হবে, বেশি দিন মুখ বন্ধ করে থাকতে দেবো না। এই সকল ছেলেমেয়েদের চোখে জল বিফল হতে দেব না, মুখ্যমন্ত্রীর এখনো লজ্জা হয় না, একে একে মন্ত্রীরা জেলে ঢুকছে,
আর চুরির টাকায় খেলা মেলা করে বেড়াচ্ছেন,,আমরা এদের পাশে আছি ,আর যতদিন না চাকরি পাবে, আমরা পাশে থাকবো এই আশ্বাস আমরা দিলাম,, ধর্ণারত চাকুরী প্রার্থীদের একটাই দাবী, আমাদের চাকরি চাই, অবিলম্বে চাকরি দিতে হবে, মাননীয় মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি কেন এই ধরনের বঞ্চনা,কেন যোগ্য প্রার্থীরা চাকরী পাবে না
,কেন আমাদের এইভাবে পথে বসে থাকতে হবে,কেন আজ বাবা-মাকে ছেড়ে আমরা আজ পথে , চাকরী থেকে কেন বঞ্চিত, মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী বলতে পারছেন না, আর আমরা চুপ করে থাকব না, আরও জোরালো আন্দোলন করবো, এর সাথে সাথেই সকলকে তাদের কৃতজ্ঞতা জানালেন পাশে থাকার জন্য। আজকে আমাদের সাহস যোগানোর জন্য,