ভারত অলরাউন্ডার রাজেশ বানিক এক মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত-ক্রিকেট অঙ্গনেশোকের ছায়া।
প্রদীপ চক্রবর্তী (ভারত)
ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের ক্রিকেট অঙ্গনে নেমে এসেছে গভীর শোকের ছায়া। রাজ্যের প্রাক্তন রঞ্জি ট্রফি খেলোয়াড় এবং ভারতীয় অনূর্ধ্ব-১৯ দলের সাবেক অলরাউন্ডার রাজেশ বানিক এক মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন।
শুক্রবার পশ্চিম ত্রিপুরার আনন্দনগরে এই দুর্ঘটনা ঘটে বলে পুলিশ জানিয়েছে। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল মাত্র ৪০ বছর।
১৯৮৪ সালের ১২ ডিসেম্বর আগরতলায় জন্মগ্রহণ করা রাজেশ বানিক ২০০২-০৩ মৌসুমে ত্রিপুরার হয়ে রঞ্জি ট্রফিতে অভিষেক করেন। তিনি একাধারে ছিলেন ডানহাতি ব্যাটার এবং লেগ-ব্রেক বোলার। বর্ণাঢ্য কেরিয়ারে তিনি ৪২টি ফার্স্ট ক্লাস ম্যাচে ১ হাজার ৪৬৯ রান করেন, যার মধ্যে ছয়টি অর্ধশতক ও সর্বোচ্চ ৯৩ রানের ইনিংস রয়েছে।
ত্রিপুরা রাজ্য দলের সাবেক এই অধিনায়ক লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে ২৪টি ম্যাচে তার সংগ্রহ ৩৭৮ রান, যেখানে একটি অপরাজিত ১০১ রানের অনবদ্য সেঞ্চুরিও রয়েছে। ২০০০ সালে কুয়ালালামপুরে এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল অনূর্ধ্ব-১৫ টুর্নামেন্টে তিনি ইরফান পাঠান ও আম্বাতি রায়ডুর মতো ভারতীয় ক্রিকেটারদের সঙ্গে ড্রেসিং রুম শেয়ার করেন।
একই বছর রাজেশ ভারত অনূর্ধ্ব-১৫ দলের সঙ্গে ইংল্যান্ড সফরেও যান। এছাড়া রাজ্যের হয়ে তিনি ১৮টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন। ২০১৮ সালের নভেম্বরে ওড়িশার বিপক্ষে তিনি শেষবার ফার্স্ট ক্লাস ম্যাচ খেলতে নামেন।
ক্রিকেট ব্যাট-প্যাড তুলে রাখার পর রাজেশ কোচিং এবং নির্বাচকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হন। মৃত্যুর সময় তিনি ত্রিপুরার অনূর্ধ্ব-১৬ দলের নির্বাচক হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করছিলেন।
তার জহুরির চোখের প্রশংসা করে ত্রিপুরা স্পোর্টস জার্নালিস্টস ক্লাবের সম্পাদক অনির্বাণ দেব বলেন, ‘তিনি শুধু একজন ভালো অলরাউন্ডারই নন, তরুণ প্রতিভা খুঁজে বের করার অসাধারণ ক্ষমতাও ছিল তার। এজন্যই তাকে অনূর্ধ্ব-১৬ নির্বাচক হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল।’
শনিবার ত্রিপুরা ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন প্রয়াত এই ক্রিকেটারের স্মরণে শ্রদ্ধা নিবেদন করে। এক বিবৃতিতে সংগঠনটি জানায়, ‘তিনি ছিলেন নিবেদিতপ্রাণ খেলোয়াড় ও মেন্টর। তার অবদান ত্রিপুরার ক্রিকেট কাঠামোয় দীর্ঘদিন মনে রাখবে সবাই।’