রবিবার ২২শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ সকাল ৯:৩০
শিরোনামঃ
Logo ক্রন্দসী ডান্স একাডেমীর ২তম বাৎসরিক অনুষ্ঠান ২০২৪, রোটারী সদনে অনুষ্ঠিত Logo মঞ্চে পারফর্ম শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত প্রাণ মিশিয়ে বাজিয়ে চলে গেলেন না ফেরার দেশে গিটারিস্ট মিনহাজ আহমেদ পিকলু Logo কলমাকান্দায় অভিযান চালিয়ে সাড়ে ৩৪ লাখ টাকার সুপারী জব্দ Logo থানা থেকে লুট হওয়া বিদেশি রিভলভার (নাইন এমএম পিস্তল) পরিত্যক্ত অবস্থায় উদ্ধার Logo গাইবান্ধায় ইসলামি জলসাকে কেন্দ্র করে বিএনপি ও জামায়াতের নেতাকর্মীদের মধ্যে ভয়াবহ সংঘর্ষ-আহত ১০ Logo মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে পুলিশ সংস্কার কমিশন গঠন করা হয়েছে,১৫ বছরে এমন কোনো অন্যায় কাজ নেই, যা পুলিশকে দিয়ে করানো হয়নি-(আইজিপি) Logo টাঙ্গাইল মধুপুরে দুই মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে বাবা-ছেলে নিহত Logo সুন্দর সমাজ বিনির্মাণে তাফসীরুল কোরআন মাহফিলে বিকল্প নেই Logo বিজয়ের মাসে রাঙ্গুনিয়া কর্ণফুলী ক্রীড়া পরিষদের ফুটবল টুর্নামেন্ট অনুষ্টিত Logo নারায়নগন্জ ক্যান্সারে আক্রান্ত শিশু রূপকথা বাঁচতে চায়-রূপকথার জন্য সহযোগিতা পাঠাতে আল-আরাফাহ ইসলামি ব্যাংক লি. বন্দর এসএমই শাখার হিসাব নং- ০৭২১১২০০৮১১৬১ অথবা ০১৯৮৫ ৯২৮৭৯৫ (বিকাশ

ভালোবাসার অপরাধে ২৫ বছর গৃহবন্দি নিজের মেয়ের

nagarsangbad24
  • প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর, ২৯, ২০২২, ১০:০৫ অপরাহ্ণ
  • ৩২১ ০৯ বার দেখা হয়েছে

       
 
  

ভালোবাসার অপরাধে একটানা ২৫ বছর গৃহবন্দি করে রাখেন নিজের মেয়েকে..

এক ধনী ও সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্ম নেয় ফুটফুটে এক মেয়ে। পরিবারের পদবী অনুসারে মেয়ের নাম রাখা হয় ব্ল্যাঞ্চ মনিয়ের। ১৮৪৯ সালের ১লা মার্চ। ফরাসী ম্যাডাম মনিয়েরের দানশীলতার জন্য এলাকায় বেশ নাম-ডাক ছিল মনিয়ের পরিবারের।

এমনকি তার উদারতার জন্য সে একটি কম্যিউনিটি অ্যাওয়ার্ড পর্যন্ত পেয়েছিল স্বীকৃতিস্বরুপ। মেয়ে ব্ল্যাঞ্চ মনিয়ের ছাড়াও এক ছেলে ছিল তার। নাম- মারসেল মনিয়ের, পেশায় একজন স্বনামধন্য উকিল। এক ছেলে-এক মেয়ে নিয়ে সুখের পরিবার মনিয়েরদের। ছোটবেলায় যত না সুন্দর ছিল ব্ল্যাঞ্চ, বড় হবার সঙ্গে রুপ যেন সমানুপাতিক হারে বাড়তে থাকে তার।

মেয়ের রুপ নিয়ে অহংকারের শেষ নেই মায়ের। মেয়ে তখন পূর্ণ যুবতী। ২৫ বছর বয়স। মা তার পছন্দ করা অভিজাত পরিবারের এক পাত্রের সঙ্গে বিয়ে ঠিক করলো ব্ল্যাঞ্চের। কিন্তু ততদিনে ব্ল্যাঞ্চ মন দিয়ে বসে আছে অন্য একজনকে। পেশায় সে সাধারণ একজন উকিল। পরিবারও সাদামাটা একদম। ব্ল্যাঞ্চ তার পছন্দের মানুষটিকে মায়ের সামনে নিয়ে আসে।

কিন্তু পারিবারিকভাবে অভিজাত ও স্বনামধন্য না হওয়ায় তার সঙ্গে বিয়ে দিতে অস্বীকৃতি জানায় মা। তার পছন্দ করা পাত্রকেই বিয়ে করতে হবে ব্ল্যাঞ্চকে- এ কথা জানিয়ে দেয় সে। কিন্তু এই সিদ্ধান্ত মানতে রাজি না হলে ব্ল্যাঞ্চকে একটি ছোট রুমে আটকে রাখে তার মা।

কড়াভাবে তাকে জানিয়ে দেয়া হয়- সেদিনই এ ঘর থেকে মুক্তি পাবে ব্ল্যাঞ্চ, যেদিন তার মায়ের সিদ্ধান্ত মেনে নিবে সে। কিন্তু মায়ের মতো মেয়েও তার সিদ্ধান্তে অটল। বিয়ে যদি করতেই হয়, ভালোবাসার মানুষটিকেই করবে সে, অন্য কাউকে নয়। বছরের পর বছর চলে যায়, ব্ল্যাঞ্চ তার সিদ্ধান্তে থাকে অনড়। মায়ের অহংকারী-জেদী মনও গলে না। ফলে মুক্তিও আর মেলে না।

১৮৮৫ সালে, ব্ল্যাঞ্চের ভালোবাসার মানুষটি মারা যাওয়ার পরও তাকে তালাবদ্ধ করে রাখা হয়! এদিকে ব্ল্যাঞ্চের মা আর ভাই সমাজে এমন ভান করে থাকে যে ব্ল্যাঞ্চকে হারিয়ে তারা শোকে কাতর! বাড়ির কাজের লোকেরা এই ব্যাপারে জানলেও কাউকে জানাতে ভয় পেত মনিয়েরদের সামাজিক প্রভাবের কারণে। এইভাবে কেটে যায় পঁচিশটি বছর! অতঃপর, ২৫ বছর পর, ১৯০১ সালে, প্যারিসের এটর্নি জেনারেলের কাছে বেনামে একটি চিঠি পৌছে।

কে বা কারা চিঠিটি পাঠিয়েছে, কখনোই তা জানা যায়নি। সেখানে লেখা থাকে- মনিয়ের পরিবার বহু বছর ধরে তাদের বাড়িতে আটকে রেখেছে এক ব্যক্তিকে। মনিয়ের পরিবারের সামাজিক অবস্থানের কথা চিন্তা করে প্রথমে না চাইলেও পরে তদন্ত চালাতে নির্দেশ দেন জেনারেল। বাড়িতে তল্লাসি চালিয়ে কিছুই খুঁজে না পেয়ে যখন ফিরে যাবে সৈন্যরা, তখনই একজন সেনার নাকে আসে বোটকা এক পঁচা গন্ধ।

সেই গন্ধ অনুসরণ করে চিলেকোঠায় পৌঁছালে সেখানে একটি অন্ধকার তালাবদ্ধ রুম দেখতে পায় তারা। রুমটিতে কেবলমাত্র একটি বন্ধ ছোট জানালা ছিল, তাও মোটা পর্দা দেয়া। কিছুই দেখা যাচ্ছিলো না বাইরে থেকে। সন্দেহ হওয়ায় জানালার কাচ ভেঙে ফেলে এক সেনা। ভাঙা কাচের ভেতর দিয়ে তারা দেখতে পায় রুমের এক কোনায় শেকলাবদ্ধ এক নারী! তাকে দেখে সেনারা দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করলে দেখতে পায় বিভৎস এক দৃশ্য।

ছোট একটি বিছানায় পঁচা খাবার আর কোটি কোটি কীটের মধ্যে শুয়ে আছে মনিয়ের ব্ল্যাঞ্চ। এই ২৫ বছরে বাইরের আলো-বাতাস থেকে পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন ছিল সে। চেহারাও বিদঘুটে হয়ে গেছে। তৎক্ষণাৎ হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে। সে সময় তার ওজন ছিল মাত্র ২২ কেজি! কিন্তু বিগত ২৫বছরের ভয়াবহ স্মৃতি মাথা থেকে কিছুতেই মুছে ফেলতে পারেনি মনিয়ের ব্ল্যাঞ্চ।

ফলে, গুরুতর মানসিক সমস্যা দেখা দেয় তার। তাকে ভর্তি করা হয় ফ্রান্সের এক সাইকিয়াট্রিক হাসপাতালে। ১৯১৩ সালে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত, জীবনের বাকিটা সময় এখানেই কাটায় সে। ভালোবাসার মানুষকে বিয়ে করতে চাওয়ার ‘অপরাধে’ এই শাস্তি পেতে হলো তাকে। আর ব্ল্যাঞ্চের মা আর তার ভাই-এর পরিণাম? ব্ল্যাঞ্চকে উদ্ধারের পর এরেস্ট করা হয় তার মা ও ভাইকে।

মা অসুস্থ হয়ে গেলে জামিন পেয়ে বাসায় যায়। কিন্তু ততদিনে সবাই কাহিনী জেনে গেছে। ব্ল্যাঞ্চ উদ্ধার হওয়ার ১৫দিনের মাথায় বিক্ষুব্ধ জনতা ভিড় করে তাদের বাসার সামনে। আতঙ্কিত হয়ে হার্ট এটাক করে সেদিনই মারা যায় মিসেস মনিয়ের। অতিরিক্ত অহংকার আর ইগো এভাবেই শেষ করে দেয় একটি সাজানো গোছানো সংসারকে।

সংগ্রহন- ফেসবুক

এ বিভাগের আরও খবর...

পুরাতন খবর

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১৩১৫
১৬১৯২০২১২২
২৩২৪২৫২৬২৭
৩০৩১  

Archive Calendar

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১৩১৫
১৬১৯২০২১২২
২৩২৪২৫২৬২৭
৩০৩১  
© ২০২১ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | নগর সংবাদ
Design & Developed BY:
ThemesCell