ফতুল্লার কুতুবপুর ভুইগড়ে যৌতুকের দাবীতে স্ত্রী রিতা আক্তার (২৫)কে পিটিয়ে ও ছুরিকাঘাত করে রক্তাক্ত জখম করার অভিযোগে তার শ্বাশুড়ী ও খালা শ্বাশুড়ীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতরা হলো-শ্বাশুড়ি তাহমিনা ইসলাম সেলি(৫৫) ও খালা শ্বাশুড়ি সুব্রা (৪০)। মঙ্গলবার (৫ অক্টোবর) দিবাগত রাতে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
আহত গৃহবধূ রিতা আক্তার মুন্সিগঞ্জ জেলার টঙ্গীবাড়ী থানার পাঁচ গাও গ্রামের আব্দুল গফুর মোল্লার মেয়ে।
মামলার তথ্যমতে, ২০১৫ সালের ২৯ এপ্রিল পারিবারিক সম্মতিক্রমে ফতুল্লা থানার ভুইঘর সরদারবাড়ীর মোঃ তোফায়েল আহম্মেদ লিটনের পুত্র রাফসান সাদের সঙ্গে রিতা আক্তারের বিয়ে হয়। বিয়ের সময় নগদ ৫০ হাজার টাকা স্বর্নালংকার সহ প্রায় আড়াই লক্ষাধিক টাকার আসবাব পত্র প্রদান করা হয়। তাদের সংসারে সাবাব (৬) ও আব্দুল্লা (১) নামক দুটি সন্তান রয়েছে। বিয়ের পর থেকে যৌতুকের দাবীতে রিতা আক্তারকে শারীরক ও মানসিক ভাবে নির্যাতন করে আসছিলো স্বামী সহ শ্বশুর বাড়ির লোকজন। তাদের দাবীর পরিপ্রেক্ষিতে এবং নিজের সুখের কথা চিন্তা করে রিতা আক্তার তার পিত্রালয় হতে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা এনে দেয়। পরবর্তীতে আরো ৩ লক্ষাধিক টাকা বাবার বাড়ি থেকে নিয়ে আসার জন্য রিতাকে চাপ প্রয়োগ করে। রিতা আক্তার তাদের দাবীকৃত টাকা এনে দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে সোমবার (৪ অক্টোবর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে রিতাতে তার স্বামী বেদম প্রহারসহ হাতে থাকা ছুরি দিয়ে চোখের উপরি ভাগে আঘাত করে। এবং গালমন্দ করে।
এ বিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ফতুল্লা মডেল থানার উপ-পরিদর্শক তরিকুল জানান, মঙ্গলবার দিবাগত রাত দুইটার দিকে শ্বাশুড়ি তাহমিনা ইসলাম সেলি ও খালা শ্বাশুড়ি সুব্রাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মামলার অপর আসামীকে গ্রেপ্তারের চেস্টা চলছে।