ভূমিদস্যু খোরশেদ গংদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসীভাবে দেয়াল ভাংচুর, লুটপাট ও মারধরের অভিযোগ
নিজস্ব প্রতিনিধি- নারায়ণগঞ্জ জেলার ফতুল্লা থানাধীন হাজীগঞ্জ এলাকার মৃত রুস্তম আলীর ছেলে খোরশেদ আলম (৫৫) সঙ্গীয় ১০/১২ জন সন্ত্রাসী নিয়ে বেআইনি ভাবে দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হইয়া পশ্চিম হাজীগঞ্জ এলাকার মৃত মনির উদ্দিন মিয়ার ছেলে মোঃ নজরুল ইসলাম (৪৮) এর সিদ্ধিরগঞ্জ থানাধীন গোদনাইল মৌজা স্থিত দক্ষিণ এনায়েত নগরের ১২.৫০ শতাংশ জমিতে বে আইনীভাবে প্রবেশ করে বাউন্ডারির সীমানার প্রাচীর ভেঙে ফেলে। সেই সাথে দোকানঘর ভাংচুর করে দোকানের ক্যাশে হতে ২২ হাজার টাকা ও ৭৫ হাজার টাকার মুদি মালামাল লুটপাট করেন। এ খবর পেয়ে নজরুল ইসলাম জমির কাছে আসলে খোরশেদ আলম সহ সঙ্গীরা নজরুল ইসলামকে মারধোর করে রক্তাক্ত জখম করে ১টি মোবাইল ফোন, নগদ ১৫ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এমনটাই অভিযোগ উঠে এসেছে। ১৬ জুলাই রবিবার সকাল আনুমানিক ৭.৩০ মিনিটে এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানা যায়। ঘটনার বিষয়ে
মোঃ নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে খোরশেদ আলম, জনি,রনি,আলী আজগর, ফয়সাল ও তানবিরসহ অজ্ঞাত নামা আরো ১০/১২ জনের বিরুদ্ধে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন
ঘটনার বিবরনে নজরুল ইসলাম বলেন, আমি গোদনাইল মৌজা স্থিত দক্ষিণ এনায়েত নগরে সি, এস ও এস, এ দাগ নং- ১৬৬৮,আর, এস দাগ নং- ৩২৬০। যাহার খতিয়ান সি,এস ৩৪৬,এস,এ ৬৮৬, আর, এস ১০৯২। জমির পরিমাণ ১২.৫০ শতাংশ । জমিটি ক্রয় করে ভরাট করিয়া বাউন্ডারি দেয়াল নির্মাণ করি এবং রাস্তার সন্মুখে একটি টিনের দোকান তুলিয়া ব্যবসা পরিচালনা করে শান্তি পূর্ণ ভাবে ভোগদখল করিয়া আসিতেছিলাম ।
এ জমির কিছু অংশ দি সিটি ব্যংকের কাছে মর্গেজ রাখিয়া টাকা লোন নিয়ে বসতবাড়ি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এ পরিকল্পনা অনুযায়ী জমিতে কাজ শুরু করতে গেলেই ভূমিদস্যু খোরশেদ তার সন্ত্রাসী দলবল লইয়া দফায় দফায় আমার উপর আক্রমণ করিতে থাকে। তার বিরুদ্ধে ইতোপূর্বে আমি থানায় বেশ কয়েকটি অভিযোগ ও আদালতে মামলা করিলেও সে মামলার তোয়াক্কা না করিয়া বরং খোরশেদ আরো বেপরোয়া হয়ে আজ আমার জমিতে আবারও ভাংচুর করে এবং আমাকে মারধোর করে রক্তাক্ত জখম করে। সে যাবার সময় আমাকে হুমকি দিয়ে যায় যে কোন সময় আমাকে প্রাণে মেরে ফেলে খোরশেদ এই সম্পত্তি আত্মসাৎ করে নিবে। আমি এখন তাদের ভয়ে আতঙ্কে আছি। অভিযোগের বিষয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার মামলার তদন্তকারী অফিসার এস আই ছালেক এর সাথে কথা বললে তিনি বলেন, অভিযোগ পেয়েছি তবে বিষয়টি নিয়ে ওসি স্যারের সাথে কথা বলুন। সিদ্ধিরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ এর মুঠোফোনে ফোন করলে কলটি রিসিভ হয়নি।
স্হানীয় এলাকাবাসীর মতে খোরশেদ একজন চিহ্নিত ভূমিদস্যু। সে মানুষকে জমির কাগজের মারপ্যাচে ফেলে নানা ভাবে হয়রানি করে থাকে। তার একটি সংঘবদ্ধ চক্র রয়েছে। সে সেই সন্ত্রাসী দলদের দিয়ে মানুষকে হুমকি ধামকি ও মারধোর করে মানুষকে জিম্মি করে অবৈধ ভাবে মোটা অংকের টাকা আদায় করে থাকে। তার বিরুদ্ধে জবর দখলের অনেক অভিযোগ রয়েছে। আমরা এলাকাবাসী বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।