২০ এপ্রিল রবিবার, ঠিক দুপুর তিনটায়, কলকাতার ব্রিগেড মাঠে, কৃষক শ্রমিক ও বস্তি উন্নয়নের ডাকে এবং সি আই টি ইউ, এ আই কে এস, এ আই এ ডব্লিউ ইউ, পি বি ইউ এস একত্রিত হয়ে, মহা মিছিলের মধ্য দিয়ে ব্রিগেড সমাবেশ করলেন, বিভিন্ন দাবী নিয়ে, বক্তা হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, কমরেড মোঃ সেলিম, কমরেড অনাদি সাহু, কমরেড বন্যা টুডু,
কমরেড সৃজন চক্রবর্তী, কমরেড অমল হালদার কমরেড নিরাপদ সরদার, কমরেড সুভাষ মুখোপাধ্যায় সহ বিভিন্ন দলের নেতৃবৃন্দ। দুপুর থেকেই ভরে উঠে এই ব্রিগেড সমাবেশের মাঠ, হাজার হাজার কৃষক শ্রমিক ও বস্তি উন্নয়ন সমিতির সদস্যরা মাঠ ভরিয়ে তুলেন।, প্রচন্ড রৌদ্রতাপেও তাদের আটকে রাখতে পারেনি কেউ, সমাবেশ শেষ ওয়া পর্যন্ত তারা বিগেট মাঠ ভরিয়ে রেখেছিলেন। তাহারা বুঝিয়ে দিয়েছেন আগামী ২৬ এর ভোট তারা পাবে, কেন্দ্রীয় সরকার ও রাজ্য সরকারের বিভিন্ন চক্রান্ত, কৃষক শ্রমিক ও বস্তিবাসীদের উন্নয়নের নামে যে ঠকানোর কাজ চলছে, আমরা তা হতে দেব না, মেহনতী মানুষের পাশে আমরা ছিলাম আজও আছি। যাহারা রৌদ্র জল ঝড় বৃষ্টির মধ্যে এবং কল কারখানায় কাজ করে ন্যায্য পাওনা পায়না, চাষিরা ন্যায্য ফসলের দাম পায় না, তাই আজকের এই সমাবেশ থেকে জেলায় জেলায় আন্দোলন গড়ে উঠবে,
সংগঠন আরো তীব্র হয়ে উঠবে। মঞ্চে একের পর এক কমরেড নেতারা গর্জে উঠলেন কেন্দ্র সরকার ও রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে, শুধু তাই নয় শিয়ালদা ও হাওড়া থেকে যখন মহা মিছিল একের পর এক ধর্ম তোলা হয়ে ব্রিগেডের দিকে যাচ্ছিলেন, প্রশাসনের পুলিশ অফিসারদের দেখে তারা স্লোগান দিতে থাকেন চোর চোর বলে, মঞ্চে একের পর এক নেত্রীরা বলেন আর ভাঁওতা না, অবিলম্বে কৃষকের ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের আইনি কৃষি ঋণ মুকুব করতে হবে।, আর জি কর কাণ্ডে অবয় ন্যায্য বিচার চাই, বস্তি উচ্ছেদ বন্ধ করতে হবে পাট্টা প্রদান করতে হবে। শ্রম কোড বাতিল করতে হবে, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি হ্রাস করতে হবে, একশ দিনের কাজ চালু করতে হবে ন্যূনতম ৬০০ টাকা মজুরি দিতে হবে এবং দুশো দিন কাজ দিতে হবে ।
এছাড়াও তারা বন্ধের ডাকও দিলেন। কমরেড বন্যা টুডু মঞ্চে দাঁড়িয়ে জোর গোলায় ঘোষনা করেন, আর আমরা চুপ থাকবো না, প্রশাসন কি বুঝিয়ে দিয়েছি, হুগলীর ঘটনায়, মারতে আসলে, মার খেতে হবে।, যারা ভেবেছিলেন লাল পার্টি মুছে গেছে, আজ একবার দেখে যান, লাল মরেনা, লাল চিটিংবাজী করে না, লাল পরের টাকা লুট করে খায় না।, লাল বেকার তৈরি করেনা, লাল পার্টির লোকেরা বিরিয়ানী খায় না। আমরা কাউকে কিছু খাওয়াতে পারি না। বিভিন্ন জেলা থেকে যাহারা এসেছেন তাদেরকে আমরা কুর্নিশ জানাই এই ব্রিগেডকে ভরিয়ে তোলার জন্য, নিজেদের পয়সায় খাওয়ার জন্য। তারা বলেছিলেন এই প্রখর ও তাপে ব্রিগেডে লোক হবে কিনা, আমরা বলেছিলাম ওইদিনের জন্য অপেক্ষা করুন।, তাই আবারও বলি যদি ব্রিগেড মাঠ ভরাতে হয় তবে সেটা লাল পাটি ভরাবে, নো কারো ক্ষমতা হবে না ভরাতে, আর কৃষক শ্রমিক ও বস্তিবাসীদের উদ্দেশ্যে আমরা জানাই, পরচনায় কান দেবেন না, আপনাদের ন্যায্য দাবী আদায় করে নেবেন, আজকের সমাবেশ থেকে প্রতিজ্ঞা করুন, জেলায় জেলায় ও পাড়ায় পাড়ায় গিয়ে মানুষকে বোঝান, দলকে আরো শক্ত করুন, আগামী ২৬ এর ভোট লালের দখলে আসবে, আজকের এই ব্রিগেড সমাবেশে থেকে বুঝিয়ে দিয়েছে, কমরেড বন্যা টুডু সবার সামনে একটি কথা তুলে ধরলেন, তাদের লোকেরা কাজের বিনিময়ে কতটুকু পায়, তিনি বলেন একটি মজুর সারাদিন কাজ করে মাত্র দু কেজি চাল ও দেড়শ টাকা পায়। অথচ কেন্দ্র সরকার ও রাজ্য সরকার বড় বড় কথা বলেন, নাকি কৃষক শ্রমিক ও বস্তিবাসীদের পাশে রয়েছেন, মিথ্যাচারে ভরিয়ে তুলেছেন রাজনীতির মঞ্চ, এমনকি প্রশাসন পর্যন্ত সরকারের কথায় উঠে বসে, আমাদের কাজ শান্তি-শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা, কমরেড মোঃ সেলিম তীব্র ভাষায় একটা বার্তা সকলের উদ্দেশ্যে দিলেন, আপনারা জানেন, সরকারের চিন্তা বেড়ে গিয়েছে, দিদি তার দলের লোকেদের জানিয়েছেন, আপনারা খোঁজ নিন কোন জেলা থেকে কারা গেছে, কারা বাস দিয়েছে, এত বাস কারা দিল, আমি ওনাদের উদ্দেশ্যে জানাই, সবে বাস দিয়েছে এবার বাঁশ দেবে, আপনারা তৈরি থাকুন, যাহারা ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করে, ধর্মে আঘাত আনে, তাদের ঠাঁই এ রাজ্যে হবে না আগামী ২৬ শে দূর হটবে, কৃষক শ্রমিক বস্তিবাসী এবং চাকুরী প্রার্থী, শিক্ষক-শিক্ষিকারা জবাব দেবে। আপনারা তৈরি থাকুন। এবার দেখতে চাই কাকদ্বীপ থেকে নামখানা, নামখানা থেকে ডায়মন্ড হারবার কার ক্ষমতা আছে লাল পার্টির লোকেদের গায়ে হাত তোলে, আমরাও তৈরি হচ্ছি জেলায় জেলায় ২৬ এর ভোটে। কিভাবে চোর গুন্ডাদের শায়েস্তা করতে হয় আমরাও জানি। মারতে আসলে মাথা ফাটিয়ে দেবো। কৃষক শ্রমজীবীর আন্দোলন হবে না ব্যর্থ