মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ দিয়েছিলেন রবিবারের মধ্যে সমস্ত প্রতিমা ফেলে দিতে হবে। এই মতন ক্লাবের উদ্যোক্তারা প্রতিমা নিয়ে সারিবদ্ধভাবে ঘাটে ভিড় জমিয়েছেন আবার কেউ কেউ প্রতি সামনে বাজনার সাথে তাল মিলিয়ে নাচছেন, বলছেন বলো দুর্গা মাইকি, প্রতিমা নিয়ে আনন্দ করে ঘাটে আসলেও, এবারে প্রতিমা নিরঞ্জনে খুশি নয় ক্লাবের উদ্যোক্তা থেকে শুরু করে বাড়ির পুজোর উদ্যোক্তারা। এই বিসর্জন কে কেন্দ্র করে আমরা পঞ্চানন সরকার রোড দক্ষিণ দমদম গঙ্গার ঘাটে উপস্থিত ওখানে সাক্ষাৎকার নিলাম রূপালী দাস মহাশয়া । গরুই মধ্যে পশ্চিমপাড়া মহিলা দুর্গাপুজো কমিটি, এবং মহিলা দ্বারা পরিচালিত পুজোয় ।পুজোর প্রধান কর্ণধর ও সাধারণ সম্পাদক এবং কোষাধ্যক্ষ শ্রীমতি রুপালি দাস, যুব সাংস্কৃতিক প্রধান ও ব্যবস্থাপনা শায়ন্তন দাস, প্রধান পৃষ্ঠপোষক ও সংগঠক শ্রী উৎপল দাস, সহকারী সম্পাদক গীতা কর, সহ সম্পাদিকা বুলু দাস, সভাপতি লীলা কুন্ডু, সহ সভাপতি করবী দাস এবং আল্পনা দাস। এছাড়াও মুনমুন চন্দ, রাই দে, সঙ্গীতা বিশ্বাস, শম্পা কুন্ডু, দেবাশীষ কুন্ডু, কৌস্তব বিশ্বাস, চন্দন দে ,রঞ্জিত শর্মা ,ফুলে ব্যবস্থাপনা সুব্রত দাস এবং সকল সদস্যবৃন্দ। এই পুজোর যিনি কর্ণধর শ্রীমতি রুপালি দাস এর বক্তব্যে বললেন এই পুজো ১৯ বছরে পদার্পণ করলেন । এ বছরের ভাবনা মহাকালের অন্তরালে। প্রতিমা সাবেকিয়ানা, শিব ও নারী শক্তির মিলন। ২৬ শে আগস্ট শুক্রবার, ঠিক সন্ধে সাড়ে সাতটায় ,২০২৫। এই পুজো শুভ উদ্বোধন করলেন ফিতে কেটে শ্রী প্রদীপ মজুমদার। আমন্ত্রিত ছিলেন শ্রী ব্রাত্য বসু, বিধায়ক দমদম ও শিক্ষামন্ত্রী উপস্থিত ছিলেন ৪ নংওয়ার্ডের পৌর প্রধান শ্রী প্রদীপ মজুমদার, এছাড়া দক্ষিণ দমদম এর পৌরসভা সকল সদস্যগণ। শ্রীমতী রুপালি দাস এর থেকে জেনে নিলাম এই পুজো ছাড়া কালী পুজো হয়। এবং সারা বছর ধরে অসহায় মানুষদের পাশে থাকেন ও সাহায্যে হাত বারিয়ে দেন, বিভিন্ন সমাজ সেবা কাজ করে থাকেন। এছাড়াও শায়ন্তন দাস বক্তব্যে বললেন যে রাক্সাদা সুন্দরী একটি প্রাইমারি স্কুল আন্ডার স্টেট গভারমেন্টের সাথে যুক্ত , এই স্কুলটি তার দিদা তৈরি করেছিলেন, যে সকল অসহায় শিশুরা টাকা পয়সার অভাবে পড়তে পারেন না তাদের কথা ভেবেই এই স্কুল তৈরি করেছিলেন। এই স্কুলটি বর্তমানে শ্রীমতী রুপালী দাস এবং তার স্বামী উৎপল দাস মিলেই দেখাশোনা করেন। এবং ৪০ কাটা জমির ওপরে এই স্কুলটি তৈরি হয়েছিল , এবং সারা বছর ধরে স্কুলের শিশুদের স্কুলব্যাগ, বই খাতা ,বক্স ,পেন্সিল স্কুলে ড্রেস , জামা কাপড়, এবং চকলেট উপহার হিসেবে দিয়ে থাকেন। সমাজের এই ধরনের মানুষ যদি সামনের দিকে এগিয়ে এসে অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়াতেন । তাহলে আমাদের সমাজের আরো উন্নত এবং পরিবর্তন শীল হতো। আগামী দিনের অসহায় শিশুরাই আমাদের ভবিষ্যত। তাই আমরা সকলেই যদি রুপালিদির মতন মানুষের পাশে থাকি, তাহলে একটা মুক্ত সমাজ গড়ে উঠবে। শ্রী উৎপল দাস মহাশয় বক্তব্যে বললেন সবাই যেন ভালো ও সুস্থ থাকেন এবং বিজয় দশমীর প্রীতি ও শুভেচ্ছা সকল দর্শকদের জন্য। আমাদের প্রতিটি চ্যানেলে তরফ থেকে রইল বিজয় দশমীর প্রীতি ও শুভেচ্ছা। সবাই ভালো ও সুস্থ থাকবেন । এইভাবেই সমাজের জন্য আরো বেশি বেশি ভালো কাজ করেন।