পিরোজপুরের নাজিরপুরে লক্ষ্মীরানী ভক্ত (৭৫) নামে এক বৃদ্ধাকে হাত-পা বেঁধে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের দুই ছেলে থানায় পৃথক অভিযোগ দায়ের করেছেন।
নাজিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহমুদ আল ফরিদ ভুঁইয়া নিহতের দুই ছেলের পৃথক অভিযোগ দায়েরের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, নিহতের বড় ছেলে পিরোজপুরের আইনজীবী তাপস কুমার ভক্তর অভিযোগটি আমলে নেওয়া হয়েছে। আর ছোট ছেলের অভিযোগটিও তদন্তের স্বার্থে গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে।
জানা গেছে, নিহতের বড় ছেলে পিরোজপুরের আইনজীবী তাপস কুমার ভক্ত স্থানীয় কয়েকজনের নাম উল্লেখ করে তাদের সঙ্গে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে তার মাকে হত্যার সন্দেহ করে একটি অজ্ঞাত মামলা দায়ের করেন।
অপরদিকে নিহতের ছোট ছেলে স্কুল শিক্ষক সৌরভ কুমার ভক্ত পৃথক কয়েকজনের নাম উল্লেখ করে মাকে হত্যার সন্দেহে আরেকটি অভিযোগ দেন।
দুই ভাইয়ের সঙ্গে মোবাইল ফোনে পৃথক কথা হলে তারা মায়ের হত্যার বিষয়ে একে অপরকে জড়িত থাকার সন্দেহ করেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে গোয়েন্দা সংস্থার একটি সূত্র জানান, পৈত্রিক সম্পত্তি নিয়ে দুই ভাইয়ের মধ্যে বিরোধের জেরে বা তৃতীয় পক্ষ সুবিধা নিতে ওই বৃদ্ধাকে হত্যা করে থাকতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
জানা গেছে, গত শুক্রবার (০৭ ফেব্রুয়ারি) ভোরে উপজেলার শেখমাটিয়া ইউনিয়নের মৌখালি গ্রামের নিজ ঘরে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় এক বৃদ্ধার মরদেহ উদ্ধার করে থানা পুলিশ। নিহত বৃদ্ধাওই গ্রামের মৃত সুমন্ত কুমার ভক্তর স্ত্রী। তার বড় ছেলে তাপস কুমার ভক্ত পেশার কাজে পিরোজপুরে এবং ছোট ছেলে স্বরূপ কুমার ভক্ত ঢাকায় থাকেন।