দেবী দুর্গার বোধনের মধ্য দিয়ে গতকাল শুরু হলো বাঙালি হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় পার্বণ শারদীয় দুর্গোৎসব। আজ থেকে সাড়ম্বরের মাত্রাটা বাড়বে। কারণ আজ (১২ অক্টোবর) মহাসপ্তমী।
আজ শুরু হচ্ছে দেবী-দর্শন, দেবীর পায়ে ভক্তদের অঞ্জলি প্রদান ও প্রসাদ গ্রহণ। মূলত দুর্গোৎসবের মূল পর্বও শুরু হচ্ছে আজ। মহাসপ্তমীতে ষোড়শ উপাচারে অর্থাৎ ষোলটি উপাদানে দেবীর পূজা হবে।
সকালে ত্রিনয়নী দেবী দুর্গার চক্ষুদান করা হবে। দেবীকে আসন, বস্ত্র, নৈবেদ্য, স্নানীয়, পুষ্পমাল্য, চন্দন, ধূপ ও দীপ দিয়ে পূজা করবেন ভক্তরা। সপ্তমী পূজা উপলক্ষ্যে সন্ধ্যায় বিভিন্ন পূজামণ্ডপে ভক্তিমূলক সংগীত, রামায়ণ পালা, আরতিসহ নানা অনুষ্ঠান হবে। বিশুদ্ধ পঞ্জিকা মতে সপ্তমীতে পূর্বাহ্ন ৯-৫৭ মধ্যে নবপত্রিকা প্রবেশ, স্থাপন ও সপ্তাদি কল্পারম্ভ এবং সপ্তমী বিহিত পূজা প্রশস্ত। এক সময় নারায়ণগঞ্জে দুর্গাপূজা সীমাবদ্ধ ছিলো নারায়ণগঞ্জের সদর এলাকাতে।
তবে বিগত কয়েক বছর ধরে পুরো নারায়ণগঞ্জে পূজা আয়োজন হচ্ছে মহা সমারোহে। টানবাজার, মীনাবাজার, নন্দীপাড়া মন্দির, পালপাড়া, নতুন পালপড়া, নয়ামাটি, লক্ষী নারায়ণ রামকৃষ্ণ মিশন আশ্রম ইত্যাদি মন্দিরে হরিজন সমাজ সেবা সংঘসহ বিভিন্ন সংগঠনের ব্যানারে ও ব্যক্তিগতভাবে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে উৎসবমুখর পরিবেশে।
তবে করোনার কারণে আলোকসজ্জা সীমিত করা হয়েছে। এদিকে, নারায়ণগঞ্জসহ সারা দেশের প্রতিটি পূজামণ্ডপের নিরাপত্তা রক্ষায় পুলিশ, আনসার, র্যাবসহ অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছে। এছাড়া, সম্প্রতি মহামারি করোনার প্রভাব কমে আসায় এবং পূজা উপলক্ষ্যে বেশ জমে উঠেছে শপিং মল, মার্কেট ও রাস্তার পাশের দোকানগুলো। ক্রেতারা ভিড় জমাচ্ছেন কাপড়, জুতা, ইলেকট্রনিক পণ্যসহ নানান জিনিস কিনতে।