নারায়ণগঞ্জ বন্দর উপজেলায় মিশুকচালক কায়েসকে (১৬) গলা কেটে হত্যার ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মিশুক ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যেই মদপান করিয়ে তাকে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন তারা।
রোববার (২ অক্টোবর) দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেল। গ্রেফতাররা হলেন- বন্দর পদুঘর এলাকার মুক্তার হোসেনের ছেলে কাউছার (২০), একই এলাকার মো. সেলিমের ছেলে কামরুজ্জামান শিমুল ওরফে শ্যামল (২৫) ও দক্ষিণ কুলচরিত্র এলাকার রাজা গাজীর ছেলে ফাহিম ওরফে জিকো (২০)। এ ঘটনায় অভিযুক্ত আরও দুজন পলাতক রয়েছেন।
তারা হলেন- তিনগাঁও ভদ্রভাসন এলাকার বাসিন্দা নাছির উদ্দিন বিটলের ছেলে লিমন ওরফে রিমন (২০) ও পদুঘর এলাকার মো. মনিরের ছেলে হানিফ (১৯)। তাদেরও গ্রেফতারের চেষ্টা চলমান রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা বলেন, কায়েস ২৮ সেপ্টেম্বর ভোরে গ্যারেজ থেকে মিশুক নিয়ে বের হয়।
এরপর থেকে সে নিখোঁজ ছিল। ২৯ সেপ্টেম্বর তার মা শারমিন বেগম বাদী হয়ে বন্দর থানায় একটি জিডি করেন। শনিবার সকালে কলাগাছিয়া ইউনিয়নের কান্দিপাড়া নরপদি এলাকায় একটি ঝোপ থেকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় কায়েসের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় ওইদিন রাতেই বন্দর থানায় একটি হত্যা মামলা হয়।
অভিযান চালিয়ে হত্যাকাণ্ডের মূল রহস্য উদঘাটনসহ ছিনতাইকৃত মিশুক গাড়ি উদ্ধার ও ঘটনার সঙ্গে জড়িত তিন ছিনতাইকারীকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশের এক কর্মকর্তা আরও বলেন, হত্যাকাণ্ডে ও মিশুক বিক্রির কাজে মোট পাঁচজন জড়িত ছিল। পদুঘর এলাকা থেকে কায়েসের মিশুকটি ভাড়া করেন লিমন ওরফে রিমন, কামরুজ্জামান শিমুল ওরফে শ্যামল, ফাহিম ওরফে জিকো ও হানিফ। সাবদী ব্রিজের কাছে গিয়ে তারা মদপান করেন।
কয়েসকেও মদপান করানো হয়। পরে তাকে মিশুক নিয়ে কলাগাছিয়া কান্দিপাড়া নরপদি এলাকায় যেতে বলে। সেখানে গেলে কায়েসকে গলা কেটে হত্যার পর মরদেহ একটি ঝোপের মধ্যে ফেলে মিশুকটি নিয়ে চলে যায় তারা। মিশুক বিক্রিতে তাদের সহযোগিতা করে কাউছার।