শনিবার ২১শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ রাত ১০:১২
শিরোনামঃ
Logo মঞ্চে পারফর্ম শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত প্রাণ মিশিয়ে বাজিয়ে চলে গেলেন না ফেরার দেশে গিটারিস্ট মিনহাজ আহমেদ পিকলু Logo কলমাকান্দায় অভিযান চালিয়ে সাড়ে ৩৪ লাখ টাকার সুপারী জব্দ Logo থানা থেকে লুট হওয়া বিদেশি রিভলভার (নাইন এমএম পিস্তল) পরিত্যক্ত অবস্থায় উদ্ধার Logo গাইবান্ধায় ইসলামি জলসাকে কেন্দ্র করে বিএনপি ও জামায়াতের নেতাকর্মীদের মধ্যে ভয়াবহ সংঘর্ষ-আহত ১০ Logo মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে পুলিশ সংস্কার কমিশন গঠন করা হয়েছে,১৫ বছরে এমন কোনো অন্যায় কাজ নেই, যা পুলিশকে দিয়ে করানো হয়নি-(আইজিপি) Logo টাঙ্গাইল মধুপুরে দুই মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে বাবা-ছেলে নিহত Logo সুন্দর সমাজ বিনির্মাণে তাফসীরুল কোরআন মাহফিলে বিকল্প নেই Logo বিজয়ের মাসে রাঙ্গুনিয়া কর্ণফুলী ক্রীড়া পরিষদের ফুটবল টুর্নামেন্ট অনুষ্টিত Logo নারায়নগন্জ ক্যান্সারে আক্রান্ত শিশু রূপকথা বাঁচতে চায়-রূপকথার জন্য সহযোগিতা পাঠাতে আল-আরাফাহ ইসলামি ব্যাংক লি. বন্দর এসএমই শাখার হিসাব নং- ০৭২১১২০০৮১১৬১ অথবা ০১৯৮৫ ৯২৮৭৯৫ (বিকাশ Logo বিজয়ের মাসে রাঙ্গুনিয়া কর্ণফুলী ক্রীড়া পরিষদের ফুটবল টুর্নামেন্ট অনুষ্টিত

মুনতাহার মুখের মধ্যে ওড়না ঢুকিয়ে এবং গলায় রশি পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা

nagarsangbad24
  • প্রকাশিত: নভেম্বর, ১০, ২০২৪, ১০:১০ অপরাহ্ণ
  • ৩৪ ০৯ বার দেখা হয়েছে

       
 
  

 

 

 

মুনতাহার মুখের মধ্যে ওড়না ঢুকিয়ে এবং গলায় রশি পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা

ছোট্ট শিশু মুনতাহা আক্তার জেরিন। বয়স মাত্র পাঁচ বছর। মিষ্টি হাসি দিয়ে ভুলিয়ে রাখতো পরিবারের সবাইকে। আপন করে নিয়েছিলেন প্রতিবেশীরাও। সেই মিষ্টি-চঞ্চল মেয়েটিকে হত্যা করা হয় নির্মমভাবে। এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত শিশুটির সাবেক গৃহশিক্ষক।

পুলিশের একটি সূত্র জানায়, মুনতাহা আক্তার জেরিনকে পড়াতেন শামীমা বেগম মার্জিয়া (২৫)। তবে খারাপ আচরণের কারণে মুনতাহার বাবা তাকে পড়াতে নিষেধ করেন। এতে প্রতিহিংসা পরায়ণ হয়ে ওঠেন মার্জিয়া। শিশুটির বাবা-মায়ের ওপর প্রতিশোধ নিতে গত ৩ নভেম্বর মুনতাহাকে কৌশলে তিনি এবং তার মা আলিফজান বিবি তাদের বসতঘরে নিয়ে যান।

ঘরের ভেতর মুনতাহার মুখের মধ্যে ওড়না ঢুকিয়ে এবং গলায় রশি পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়। পরে মরদেহ বস্তাবন্দি করে ঘরের মধ্যে রেখে দেন। এরপর গভীর রাতে মরদেহ পলিথিনে মুড়িয়ে বসতঘরের পাশে একটি নালায় পুঁতে রাখেন। আজ ভোরের দিকে নিজ বাড়ির পাশে নালা থেকে পুকুরে ফেলার সময় শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এসময় মার্জিয়ার মা আলিফজান বিবিকে আটক করে স্থানীয় জনতা।

এ ঘটনায় চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তারা হলেন কানাইঘাট সদর ইউনিয়নের বীরদল ভাড়ারিফৌদ গ্রামের মৃত ময়না মিয়ার ছেলে শিশু মুনতাহার সাবেক গৃহশিক্ষক শামীমা বেগম মার্জিয়া (২৫), তার মা আলিফজান বিবি (৫৫), পাশের বাড়ির মৃত ছইদুর রহমানের ছেলে ইসলাম উদ্দিন (৪০) ও মামুনুর রশিদের স্ত্রী নাজমা বেগম (৩৫)।

মুনতাহা সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার সদর ইউনিয়নের বীরদল ভাড়ারিফৌদ গ্রামের শামীম আহমদের মেয়ে। রোববার বাদ আসর বীরদল পুরানফৌদ জামে মসজিদে জানাজা শেষে গ্রামের পঞ্চায়েত কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়েছে। জানাজায় শত শত মানুষ অংশ নেন।

গত ৩ নভেম্বর দুপুরে শিশু মুনতাহা পার্শ্ববর্তী আব্দুল ওয়াহিদের বাড়ির শিশুদের সঙ্গে খেলতে যায়। ওইদিন বিকেল পর্যন্ত সে বাড়িতে না ফেরায় খোঁজাখুঁজি করেন পরিবারের লোকজন। সন্ধান না পেয়ে বাবা শামীম আহমদ কানাইঘাট থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।

মুনতাহা নিখোঁজের পর থেকে থানা পুলিশসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং তার আত্মীয়-স্বজন সম্ভাব্য সব জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেন। কিন্তু কোনো সন্ধান পাননি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে মুনতাহা নিখোঁজের বিষয়টি। সারাদেশের মানুষ নিখোঁজ মুনতাহাকে ফিরে পেতে ফেসবুকে আবেগঘন পোস্ট দেন। অনেকে স্বেচ্ছায় খোঁজাখুঁজি করতে থাকেন।

মুনতাহার পরিবার, পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রোববার রাতে সন্দেহজনকভাবে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য শিশু মুনতাহার গৃহশিক্ষক মার্জিয়াকে থানায় নেয় পুলিশ। এসময় আচরণ সন্দেহজনক মনে হলে মার্জিয়ার বাড়িতে মুনতাহার সন্ধানে তল্লাশি চালান স্থানীয়রা। রাত সাড়ে ৩টার দিকে বাড়ির আশপাশে তল্লাশি চালানোর একপর্যায়ে মার্জিয়ার মা আলিফজান বিবিকে অন্ধকারের মধ্যে রাস্তা পার হতে দেখা যায়।

তাকে আটকাতে চাইলে তিনি দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করেন। এসময় স্থানীয়রা গিয়ে তার কোলে কাদামাটি মাখা মুনতাহার মরদেহ দেখতে পান। পরে মার্জিয়ার মাকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন স্থানীয়রা।

এ বিভাগের আরও খবর...

পুরাতন খবর

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১৩১৫
১৬১৯২০২১২২
২৩২৪২৫২৬২৭
৩০৩১  

Archive Calendar

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১৩১৫
১৬১৯২০২১২২
২৩২৪২৫২৬২৭
৩০৩১  
© ২০২১ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | নগর সংবাদ
Design & Developed BY:
ThemesCell