সোমবার ২২শে ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ রাত ১:৪৫
শিরোনামঃ
শরিফ ওসমান হাদি হত্যাকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত শুটার ফয়সাল করিম মাসুদ সহ সংশ্লিষ্টদের ব্যাংক হিসাবে ১২৭ কোটি টাকার ‘লেনদেন’ ঢাকা প্রতিনিধি।। ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত ফয়সাল করিম মাসুদ ও তার স্বার্থ সংশ্লিষ্টদের ব্যাংক হিসাব লেনদেন বিশ্লেষণে ১২৭ কোটি টাকার বেশি অস্বাভাবিক লেনদেনের তথ্য পেয়েছে সিআইডি। বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থা থেকে প্রাপ্ত তথ্য পর্যালোচনা ও বিশ্লেষণ করে প্রাথমিকভাবে সিআইডি এই অস্বাভাবিক লেনদেনের তথ্য পেয়েছে। এ ঘটনায় মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে অর্থ পাচার সংক্রান্ত অনুসন্ধান কার্যক্রম শুরু করেছে সংস্থাটি। ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত ফয়সাল করিম মাসুদ ও তার স্বার্থ সংশ্লিষ্টদের ব্যাংক হিসাব লেনদেন বিশ্লেষণে ১২৭ কোটি টাকার বেশি অস্বাভাবিক লেনদেনের তথ্য পেয়েছে সিআইডি। বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থা থেকে প্রাপ্ত তথ্য পর্যালোচনা ও বিশ্লেষণ করে প্রাথমিকভাবে সিআইডি এই অস্বাভাবিক লেনদেনের তথ্য পেয়েছে। এ ঘটনায় মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে অর্থ পাচার সংক্রান্ত অনুসন্ধান কার্যক্রম শুরু করেছে সংস্থাটি। রোববার (২১ ডিসেম্বর) রাতে সিআইডির অতিরিক্ত বিশেষ পুলিশ সুপার (মিডিয়া) আবু তালেব এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, ওসমান হাদি হত্যাকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে দাউদ খান ওরফে রাহুল এখনো গ্রেফতার না হলেও মামলার আলামত গোপন ও অভিযুক্তকে পালাতে সহায়তার অভিযোগে তার পরিবারের সদস্যসহ একাধিক সহযোগীকে গ্রেফতার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। গ্রেফতার অভিযানের সময় উদ্ধার বিভিন্ন ব্যাংকের চেকবইয়ের তথ্য সিআইডি গুরুত্ব নিয়ে পর্যালোচনা ও বিশ্লেষণ শুরু করে। এতে দেখা যায়, অভিযুক্ত ও তার স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বেশকিছু চেক বইয়ে বিভিন্ন পরিমাণ অর্থের কথা উল্লেখ রয়েছে। চূড়ান্ত লেনদেন সম্পন্ন না হওয়া এসব রেকর্ডের সমষ্টিগত মূল্য প্রায় ২১৮ কোটি টাকা। তবে সিআইডির প্রাথমিক বিশ্লেষণে দেখা যায়, অভিযুক্ত এবং তার সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন ব্যাংক হিসাবে ১২৭ কোটি টাকার বেশি অস্বাভাবিক লেনদেন সংঘটিত হয়েছে, যা মানি লন্ডারিং, সংঘবদ্ধ অপরাধ এবং সন্ত্রাসী কার্যক্রম সংক্রান্ত অর্থায়নের সঙ্গে সম্পৃক্ত হতে পারে। অতিরিক্ত বিশেষ পুলিশ সুপার আবু তালেব আরও জানান, বিষয়টি আমলে নিয়ে সিআইডি মানি লন্ডারিং বিষয়ে পৃথক অনুসন্ধান কার্যক্রম শুরু করেছে। মূল অভিযুক্ত ও তার স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি এবং প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন ব্যাংক অ্যাকাউন্টে থাকা প্রায় ৬৫ লাখ টাকা রাষ্ট্রের অনুকূলে দ্রুততম সময়ে যেনো বাজেয়াপ্ত করা যায় সেজন্যও যথাযথ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করছে সিআইডি। পাশাপাশি এসব অর্থের মূল সরবরাহকারী ব্যক্তি/প্রতিষ্ঠান চিহ্নিত করার জন্য সিআইডির অনুসন্ধান অব্যাহত রয়েছে। হত্যাকাণ্ডের পেছনে পরিকল্পনা, অর্থায়ন ও অস্ত্র সরবরাহে কোনো সংঘবদ্ধ এবং শক্তিশালী নেটওয়ার্ক সক্রিয় ছিল কি না সে বিষয়েও সিআইডির একাধিক টিম কাজ করছে। অন্যান্য সংস্থার পাশাপাশি মূলহোতাকে গ্রেফতার এবং পুরো অপরাধচক্র উন্মোচনে সিআইডির তদন্ত ও অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলেও জানিয়েছেন সিআইডির এই কর্মকর্তা। ফ্যাসিস্ট তাড়িয়ে ফ্যাস্টি বসানো ২৪শের আকাঙক্ষা নয়-নারায়ণগঞ্জে সংস্কৃতি সংগঠন।। ফতুল্লার বক্তাবলী ফেরিঘাটে ট্রাকের ধাক্কায় নদীতে ৫ যান, তিন জনের মরদেহ উদ্ধার। সোনারগাঁওয়ে মিথ্যা ও হয়রানি মূলক ধর্ষণ চেষ্টা মামলার প্রতিবাদে গ্রাম পঞ্চায়েতের সংবাদ সম্মেলন বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের পাশে সমাহিত হলেন বিপ্লবী শরিফ ওসমান বিন হাদি। শহীদ শরিফ ওসমান বিন হাদির মন্ত্রে আমাদের শির কখনো নত হবে না-অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। শরিফ ওসমান বিন হাদির জানাজায় জনতার ঢল- ‘আমরা সবাই হাদি হব যুগে যুগে লড়ে যাব’স্লোগানে। সীমান্ত সুরক্ষা, চোরাচালান রোধ, মাদক ও নারী-শিশু পাচার রোধে বিজিবি ‘সীমান্তের অতন্দ্র প্রহরী’-প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদির হত্যাকাণ্ডে-নিরপেক্ষ-স্বচ্ছ তদন্ত চাইলেন জাতিসংঘ। নারায়ণগঞ্জের রুপগঞ্জে ২ শীর্ষ সন্ত্রাসী গ্রেফতার।।

মুন্সিগঞ্জে তুচ্ছ ঘটনায়- রান্নাঘরের ধোঁয়া যাওয়া নিয়ে গৃহবধূ হত্যা-চার আসামির রিমান্ড।

nagarsangbad24
  • প্রকাশিত: আগস্ট, ৩১, ২০২১, ১২:৪৪ পূর্বাহ্ণ
  • ২৯৬ ০৯ বার দেখা হয়েছে

নগর সংবাদ।।মুন্সিগঞ্জে তুচ্ছ ঘটনায়- রান্নাঘরের ধোঁয়া যাওয়া নিয়ে গৃহবধূ হত্যা – চার আসামির রিমান্ড ।

 

মুন্সিগঞ্জের টঙ্গীবাড়ী উপজেলায় প্রতিবেশীর বাড়িতে রান্নাঘরের ধোঁয়া যাওয়া নিয়ে গৃহবধূ হত্যার ঘটনায় চার আসামির রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। সোমবার (৩০ আগস্ট) বিকেলে জেলার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক জশিতা ইসলাম এই রিমান্ডের আদেশ দেন।

মুন্সিগঞ্জ কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক জামাল উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, রোববার (২৯ আগস্ট) রাতে টঙ্গীবাড়ী ভিটি মালদা গ্রামে খাদিজা বেগম (৫০) নামে সোমবার দুপুরে পাঁচ আসামিকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর চার আসামির সাতদিন করে রিমান্ড আবেদন করা হয়। বিকেলে শুনানি শেষে বিচারক তাদের মধ্যে রমজান বেপারী (৪৮) ও আল ইসলামের (৩৫) দুইদিন করে এবং বকুল বেগম (৪০) ও আনোয়ার ছৈয়ালের (৪৩) একদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। অপর আসামি প্রাপ্তবয়স্ক না হওয়ায় তাকে গাজীপুর কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ভিটি মালদা গ্রামের মুক্তার বেপারীর সঙ্গে প্রতিবেশী রমজান বেপারীদের দীর্ঘদিন ধরে জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছে। এই বিরোধের মধ্যেই রান্নাঘরের ধোঁয়া যাওয়া নিয়ে রোববার সন্ধ্যায় মুক্তারের বাড়িতে হামলা চালান রমজানসহ কয়েকজন। এ সময় রমজান প্রথমে মুক্তারের স্ত্রী খাদিজাকে বাঁশ দিয়ে পেটান। পরে খাদিজার পেটে লাথি মারলে তিনি গুরুতর আহত হন। পরে তাকে উদ্ধার করে টঙ্গিবাড়ী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় নিহতের স্বামী বাদী হয়ে মামলা করলে রোববার রাতেই পাঁচজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

এ বিষয়ে সহকারী পুলিশ সুপার (সিরাজদিখান সার্কেল) রাসেদুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় নিহতের স্বামী বাদী হয়েছে ছয়জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন। এ ঘটনায় পাঁচ আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অপর আসামিকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

তিনি আরও বলেন, গ্রেফতারদের আদালতে নিয়ে রিমান্ড চাওয়া হয়েছে। মূলত পূর্ব শত্রুতার জের ধরেই কথা কাটাকাটি ও একপর্যায়ে হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।

এ বিভাগের আরও খবর...

শরিফ ওসমান হাদি হত্যাকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত শুটার ফয়সাল করিম মাসুদ সহ সংশ্লিষ্টদের ব্যাংক হিসাবে ১২৭ কোটি টাকার ‘লেনদেন’ ঢাকা প্রতিনিধি।। ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত ফয়সাল করিম মাসুদ ও তার স্বার্থ সংশ্লিষ্টদের ব্যাংক হিসাব লেনদেন বিশ্লেষণে ১২৭ কোটি টাকার বেশি অস্বাভাবিক লেনদেনের তথ্য পেয়েছে সিআইডি। বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থা থেকে প্রাপ্ত তথ্য পর্যালোচনা ও বিশ্লেষণ করে প্রাথমিকভাবে সিআইডি এই অস্বাভাবিক লেনদেনের তথ্য পেয়েছে। এ ঘটনায় মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে অর্থ পাচার সংক্রান্ত অনুসন্ধান কার্যক্রম শুরু করেছে সংস্থাটি। ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত ফয়সাল করিম মাসুদ ও তার স্বার্থ সংশ্লিষ্টদের ব্যাংক হিসাব লেনদেন বিশ্লেষণে ১২৭ কোটি টাকার বেশি অস্বাভাবিক লেনদেনের তথ্য পেয়েছে সিআইডি। বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থা থেকে প্রাপ্ত তথ্য পর্যালোচনা ও বিশ্লেষণ করে প্রাথমিকভাবে সিআইডি এই অস্বাভাবিক লেনদেনের তথ্য পেয়েছে। এ ঘটনায় মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে অর্থ পাচার সংক্রান্ত অনুসন্ধান কার্যক্রম শুরু করেছে সংস্থাটি। রোববার (২১ ডিসেম্বর) রাতে সিআইডির অতিরিক্ত বিশেষ পুলিশ সুপার (মিডিয়া) আবু তালেব এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, ওসমান হাদি হত্যাকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে দাউদ খান ওরফে রাহুল এখনো গ্রেফতার না হলেও মামলার আলামত গোপন ও অভিযুক্তকে পালাতে সহায়তার অভিযোগে তার পরিবারের সদস্যসহ একাধিক সহযোগীকে গ্রেফতার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। গ্রেফতার অভিযানের সময় উদ্ধার বিভিন্ন ব্যাংকের চেকবইয়ের তথ্য সিআইডি গুরুত্ব নিয়ে পর্যালোচনা ও বিশ্লেষণ শুরু করে। এতে দেখা যায়, অভিযুক্ত ও তার স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বেশকিছু চেক বইয়ে বিভিন্ন পরিমাণ অর্থের কথা উল্লেখ রয়েছে। চূড়ান্ত লেনদেন সম্পন্ন না হওয়া এসব রেকর্ডের সমষ্টিগত মূল্য প্রায় ২১৮ কোটি টাকা। তবে সিআইডির প্রাথমিক বিশ্লেষণে দেখা যায়, অভিযুক্ত এবং তার সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন ব্যাংক হিসাবে ১২৭ কোটি টাকার বেশি অস্বাভাবিক লেনদেন সংঘটিত হয়েছে, যা মানি লন্ডারিং, সংঘবদ্ধ অপরাধ এবং সন্ত্রাসী কার্যক্রম সংক্রান্ত অর্থায়নের সঙ্গে সম্পৃক্ত হতে পারে। অতিরিক্ত বিশেষ পুলিশ সুপার আবু তালেব আরও জানান, বিষয়টি আমলে নিয়ে সিআইডি মানি লন্ডারিং বিষয়ে পৃথক অনুসন্ধান কার্যক্রম শুরু করেছে। মূল অভিযুক্ত ও তার স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি এবং প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন ব্যাংক অ্যাকাউন্টে থাকা প্রায় ৬৫ লাখ টাকা রাষ্ট্রের অনুকূলে দ্রুততম সময়ে যেনো বাজেয়াপ্ত করা যায় সেজন্যও যথাযথ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করছে সিআইডি। পাশাপাশি এসব অর্থের মূল সরবরাহকারী ব্যক্তি/প্রতিষ্ঠান চিহ্নিত করার জন্য সিআইডির অনুসন্ধান অব্যাহত রয়েছে। হত্যাকাণ্ডের পেছনে পরিকল্পনা, অর্থায়ন ও অস্ত্র সরবরাহে কোনো সংঘবদ্ধ এবং শক্তিশালী নেটওয়ার্ক সক্রিয় ছিল কি না সে বিষয়েও সিআইডির একাধিক টিম কাজ করছে। অন্যান্য সংস্থার পাশাপাশি মূলহোতাকে গ্রেফতার এবং পুরো অপরাধচক্র উন্মোচনে সিআইডির তদন্ত ও অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলেও জানিয়েছেন সিআইডির এই কর্মকর্তা।

শরিফ ওসমান হাদি হত্যাকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত শুটার ফয়সাল করিম মাসুদ সহ সংশ্লিষ্টদের ব্যাংক হিসাবে ১২৭ কোটি টাকার ‘লেনদেন’ ঢাকা প্রতিনিধি।। ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত ফয়সাল করিম মাসুদ ও তার স্বার্থ সংশ্লিষ্টদের ব্যাংক হিসাব লেনদেন বিশ্লেষণে ১২৭ কোটি টাকার বেশি অস্বাভাবিক লেনদেনের তথ্য পেয়েছে সিআইডি। বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থা থেকে প্রাপ্ত তথ্য পর্যালোচনা ও বিশ্লেষণ করে প্রাথমিকভাবে সিআইডি এই অস্বাভাবিক লেনদেনের তথ্য পেয়েছে। এ ঘটনায় মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে অর্থ পাচার সংক্রান্ত অনুসন্ধান কার্যক্রম শুরু করেছে সংস্থাটি। ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত ফয়সাল করিম মাসুদ ও তার স্বার্থ সংশ্লিষ্টদের ব্যাংক হিসাব লেনদেন বিশ্লেষণে ১২৭ কোটি টাকার বেশি অস্বাভাবিক লেনদেনের তথ্য পেয়েছে সিআইডি। বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থা থেকে প্রাপ্ত তথ্য পর্যালোচনা ও বিশ্লেষণ করে প্রাথমিকভাবে সিআইডি এই অস্বাভাবিক লেনদেনের তথ্য পেয়েছে। এ ঘটনায় মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে অর্থ পাচার সংক্রান্ত অনুসন্ধান কার্যক্রম শুরু করেছে সংস্থাটি। রোববার (২১ ডিসেম্বর) রাতে সিআইডির অতিরিক্ত বিশেষ পুলিশ সুপার (মিডিয়া) আবু তালেব এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, ওসমান হাদি হত্যাকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে দাউদ খান ওরফে রাহুল এখনো গ্রেফতার না হলেও মামলার আলামত গোপন ও অভিযুক্তকে পালাতে সহায়তার অভিযোগে তার পরিবারের সদস্যসহ একাধিক সহযোগীকে গ্রেফতার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। গ্রেফতার অভিযানের সময় উদ্ধার বিভিন্ন ব্যাংকের চেকবইয়ের তথ্য সিআইডি গুরুত্ব নিয়ে পর্যালোচনা ও বিশ্লেষণ শুরু করে। এতে দেখা যায়, অভিযুক্ত ও তার স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বেশকিছু চেক বইয়ে বিভিন্ন পরিমাণ অর্থের কথা উল্লেখ রয়েছে। চূড়ান্ত লেনদেন সম্পন্ন না হওয়া এসব রেকর্ডের সমষ্টিগত মূল্য প্রায় ২১৮ কোটি টাকা। তবে সিআইডির প্রাথমিক বিশ্লেষণে দেখা যায়, অভিযুক্ত এবং তার সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন ব্যাংক হিসাবে ১২৭ কোটি টাকার বেশি অস্বাভাবিক লেনদেন সংঘটিত হয়েছে, যা মানি লন্ডারিং, সংঘবদ্ধ অপরাধ এবং সন্ত্রাসী কার্যক্রম সংক্রান্ত অর্থায়নের সঙ্গে সম্পৃক্ত হতে পারে। অতিরিক্ত বিশেষ পুলিশ সুপার আবু তালেব আরও জানান, বিষয়টি আমলে নিয়ে সিআইডি মানি লন্ডারিং বিষয়ে পৃথক অনুসন্ধান কার্যক্রম শুরু করেছে। মূল অভিযুক্ত ও তার স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি এবং প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন ব্যাংক অ্যাকাউন্টে থাকা প্রায় ৬৫ লাখ টাকা রাষ্ট্রের অনুকূলে দ্রুততম সময়ে যেনো বাজেয়াপ্ত করা যায় সেজন্যও যথাযথ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করছে সিআইডি। পাশাপাশি এসব অর্থের মূল সরবরাহকারী ব্যক্তি/প্রতিষ্ঠান চিহ্নিত করার জন্য সিআইডির অনুসন্ধান অব্যাহত রয়েছে। হত্যাকাণ্ডের পেছনে পরিকল্পনা, অর্থায়ন ও অস্ত্র সরবরাহে কোনো সংঘবদ্ধ এবং শক্তিশালী নেটওয়ার্ক সক্রিয় ছিল কি না সে বিষয়েও সিআইডির একাধিক টিম কাজ করছে। অন্যান্য সংস্থার পাশাপাশি মূলহোতাকে গ্রেফতার এবং পুরো অপরাধচক্র উন্মোচনে সিআইডির তদন্ত ও অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলেও জানিয়েছেন সিআইডির এই কর্মকর্তা।

পুরাতন খবর

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
১০১১১৩
১৫১৬১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭
৩০৩১  

Archive Calendar

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
১০১১১৩
১৫১৬১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭
৩০৩১  
© ২০২১ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | নগর সংবাদ
Design & Developed BY:
ThemesCell