মঙ্গলবার ১৭ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ রাত ১:৩৫
শিরোনামঃ
Logo মাজারে হামলার প্রতিবাদে গ্রেপ্তারের দাবি মাইজভান্ডার দরবার শরীফ Logo ঢাকার যানজট নিরসনে সমাধান খোঁজার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার  Logo পুকুরে গোসল করতে নেমে পানিতে ডুবে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীর মৃত্যু Logo নারায়ণগঞ্জের বন্দরে সজিব কিশোর হত্যা মামলায় দুজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড Logo ভারতে,ধর্ষণমুক্ত সমাজ গড়তে, তিলোত্তমার বিচারের দাবিতে, বিভিন্ন স্কুল কলেজের প্রাক্তনীদের ডাকে মহা মিছিল। Logo ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি কর্তৃক হামলার শিকার হয়ে আতঙ্কে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যানের মৃত্যু Logo বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সাবেক প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট মাহবুব আলীকে গ্রেফতার করে মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) Logo সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সাবেক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূরকে মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ গ্রেফতার করে Logo ঠাকুরগাঁ পীরগঞ্জে নেশাগ্রস্ত বন্ধুর হাতে বন্ধু রাসেল খুন-হত্যাকারী থানায় আত্মসমর্পণ Logo দীপিকা পাড়ুকোন ও রণবীর সিং সন্তানকে দেখতে গেলেন শাহরুখ খান

মুসলমান রোজাদারের জন্য রহমত ও সৌভাগ্য পাওয়ার উপায় কী?

nagarsangbad24
  • প্রকাশিত: মে, ১, ২০২২, ১১:০৫ অপরাহ্ণ
  • ৩৭১ ০৯ বার দেখা হয়েছে

       
 
  

আলহামদুল্লিাহ! রমজানের ৩০ তারাবি শেষ হলো আজ। রমজানের রাতের নামাজ তারাবি একবছর আর পড়া হবে না। আল্লাহ যাদের প্রতি রহমত করবেন তারা আবার বছর ঘুরে আগামী বছর পাবেন রহমত বরকত মাগফেরাতের মাস রমজান। রমজান শেষ হতে চললেও প্রকৃত রোজাদারের প্রতি নাজিল হতে থাকবে রহমত। সৌভাগ্যময় রোজাদারের এ রহমতগুলো পাওয়ার উপায় কী?

রমজানে পাওয়া প্রশিক্ষণগুলো রমজান পরবর্তী সময়ে যথাযথভাবে পালনে এমনিতেই রোজাদারের প্রতি নাজিল হবে রহমত বরকত মাগফেরাত ও নাজাত। কিন্তু এরপরও রোজাদারের জন্য রয়েছে বিশেষ করণীয়। তাহলো-

রমজান মাসের পর শুরু হবে ঈদের মাস শাওয়াল। এ মাসের প্রথম রাত তথা ঈদের রাত ও ঈদুল ফিতর মুমিন মুসলমান রোজাদারের জন্য রহমত ও সৌভাগ্য পাওয়ার অন্যতম উপায়। কেননা শাওয়াল মাসের প্রথম রাত এবং ঈদুল ফিতরের নামাজ পর্যন্ত রোজাদারের জন্য অবিরত রহমত ও সৌভাগ্য নাজিল হতে থাকে।

রমজানের শেষ সময়ের রাত ও দিনগুলোর ফজিলত মর্যাদা এবং সৌভাগ্য কম নয়। তাই ঈদের খুশি ও প্রস্তুতিতে শেষ তারাবি, তাহাজ্জুদ ও রমজানের রহমত বরকত আর অফুরন্ত সৌভাগ্যগুলো কোনোভাবেই হাতছাড়া করা ঠিক হবে না।

যারা কোরআন খতমের মাধ্যমে তারাবি আদায় করেছেন, এটা মহান তাদের জন্য মহান আল্লাহ অনুগ্রহ। আর যারা খতম তারাবি পড়তে পারেনি কিন্তু এমনিতে তারাবি, তাহাজ্জুদ পড়েছে এবং শেষ রাতে সেহরি খেয়েছেন; সময় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ইফতার করেছেন; তাদের জন্য এগুলোও বিশেষ অনুগ্রহ।

রহমত পাওয়ার সময়ে রোজাদার যে ভুল করে থাকে-

রমজান পরবর্তী শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা থেকে শুরু করে পরদিন ঈদুল ফিতর আদায় করা পর্যন্ত এ রহমত ও সৌভাগ্য অব্যাহত থাকে। অনেক রোজাদার ঈদের চাঁদ দেখে কেনা-কাটা; আনন্দ-বিনোদনে বা বিভিন্ন কারণে এ রহমত থেকে বঞ্চিত হয়। অনেকের নামাজ ও ইবাদত ছুটে যায়।

তাই এ ভুল যেন না হয়-

নামাজ ফরজ ইবাদত। পুরো রমজানজুড়ে নিয়মিত নামাজ আদায় করার পর রমজান পরবর্তী সময়ে যেন তাতে বিরতি না পড়ে। নামাজ কাজা না হয়। কেননা নামাজ ছেড়ে দেওয়ার পরিণতি বড়ই মারাত্মক। হাদিসে পাকে এসেছে-

‘রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘ইচ্ছাপূর্বক এক ওয়াক্ত ফরজ নামাজও পরিত্যাগ করবে না। কারণ যে ব্যক্তি ইচ্ছাপূর্বক এক ওয়াক্ত ফরজ নামাজ পরিত্যাগ করবে, সে আল্লাহর যিম্মা ও তাঁর রাসুলের (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যিম্মা থেকে বহিস্কৃত হবে (নাউজুবিল্লাহ)। (মুসতাদরাকে হাকেম)

মাসব্যাপী রোজা রাখা এবং তারাবি-তাহাজ্জুদ, সালাতুত তাসবিহ পড়ার পর নামাজ ছুড়ে যাওয়া বা কাজা হওয়ার চেয়ে বড় দুর্ভাগ্য আর কী হতে পারে!

যদি কোনো রোজাদার ব্যক্তি মাসব্যাপী ইবাদতে রহমত ও সৌভাগ্য পাওয়ার পর আবার নামাজ ছেড়ে দেয় তবে তার যিম্মাদারী আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের কাছে থাকেন। আর যার যিম্মাদারি থাকে না, তার ক্ষমা ও শাফাআল পাওয়ার সম্ভাবনা কতটুকু?

মনে রাখতে হবে

মাসব্যাপী রমজানের এ রোজা পালন ও নিয়মিত ফরজ নামাজ, তারাবি, তাহাজ্জুদ আদায় কোনো কাজে আসবে না; যদি পরবর্তী সময়ে নিয়মিত নামাজ আদায় না হয়। তাই আজকের ৩০ তারাবি যারা আদায় করেছেন। তারা আজ রাতও তাহাজ্জুদ, সালাতুত তাসবিহ, নফল নামাজ এবং কোরআন তেলাওয়াত এবং তাওবা-ইসতেগফারসহ আদায় করার সঙ্গে ফজর নামাজ জামাতের সঙ্গে আদায় করবেন। ৩০ রমজান সারাদিন যথাযথ ইবাদত-বন্দেগির সঙ্গে দায়িত্বগুলো পালন করবেন।

বিশেষ করে…

মুমিন মুসলমান শেষ রমজানের রোজা পালন, তারাবি ও তাহাজ্জুদের ইবাদত থেকে কখনো বিরত থাকবে না। কোনো রোজাদার যদি এগুলো থেকে বিরত থাকে তবে নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের গুরুত্বপূর্ণ তিনটি হাদিসের ওপর আমল ছুটে যাবে। তাহলো-

১. হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি বিশ্বাসের সঙ্গে সাওয়াব লাভের আশায় রমজানের রোজা রাখে, তার বিগত জীবনের গোনাহগুলো ক্ষমা করে দেয়া হবে।’ (বুখারি, মুসলিম)

২. হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি বিশ্বাসের সঙ্গে সাওয়াব লাভের আশায় রমজানের রাতের নামাজ (তারাবিহ) পড়ে, তার বিগত জীবনের গোনাহগুলো ক্ষমা করে দেয়া হবে।’ (বুখারি, মুসলিম)

৩. হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি বিশ্বাসের সঙ্গে সাওয়াব লাভের আশায় রমজানে লাইলাতুল কদরে নামাজ পড়ে, তার বিগত জীবনের গোনাহগুলো ক্ষমা করে দেয়া হবে।’ (বুখারি, মুসলিম)

সুতরাং রমজানের শেষ দশকের শেষ সময় তথা ৩০ তারাবির রাত ও দিনে তারাবি-তাহাজ্জুদ-সালাতুত তাসবিহ, তাওবা-ইসতেগফার, কোরআন তেলাওয়াত, জিকির-আজকার, সেহরি ও রোজা রাখাসহ যাবতীয় ইবাদত-বন্দেগিই রহমত বরকত মাগফেরাত ও নাজাত পাওয়ার অন্তর্ভূক্ত।

তাই কোনো রোজাদারেরই উচিত নয়, শেষ সময়ের গুরুত্বপূর্ণ সময়গুলো ঈদের প্রস্তুতি কিংবা অবহেলায় তা থেকে বিরত থাকা। কেননা হতে পারে রমাজনের শেষ সময়ের এ ইবাদত-বন্দেগিই মুমিন মুসলমানের জন্য রমজানের সেরা রহমত তথা অনুগ্রহ।

শাওয়ালের চাঁদ দেখার পরও রহমত ও সৌভাগ্য পেতে ঈদের রাতের ইবাদত-বন্দেগিতে নিজেদের নিয়োজিত রাখা। এ রাতেও আল্লাহর ইবাদত করা। এ রাতে মহান আল্লাহ তাআলা তার বান্দাদের প্রতি বিশেষ অনুগ্রহে ভাণ্ডার খুলে দেন। আল্লাহ তাআলা চাঁদ রাতের কোনো আবেদন বা দোয়া ফেরত দেন না।

তাই এ রাতে কোনো রোজাদার মুমিন মুসলমানের জন্য উৎসব ও আনন্দের মোহে বিনা ইবাদত-বন্দেগিতে কাটিয়ে দেওয়া ঠিক নয়। কোনো মুমিন মুসলমান রোজাদারের যেন এ ভুলটি না হয়। ঈদের চাঁদ দেখেই নবিজীর শেখানো দোয়াটি এভাবে পড়া-

চাঁদ দেখা এবং চাঁদ দেখে দোয়া পড়া সুন্নাতি আমল। নবিজী চাঁদ দেখতে বলতেন এবং চাঁদ দেখতেন। ঈদের নতুন চাঁদ দেখলে তিনি আল্লাহর সন্তুষ্টি ও কল্যাণের জন্য এভাবে দোয়া করতেন-

اَللهُ اَكْبَرُ اَللَّهُمَّ أَهِلَّهُ عَلَيْنَا بِالْأَمْنِ وَ الْاِيْمَانِ وَالسَّلَامَةِ وَ الْاِسْلَامِ وَ التَّوْفِيْقِ لِمَا تُحِبُّ وَ تَرْضَى رَبُّنَا وَ رَبُّكَ الله

উচ্চারণ : আল্লাহু আকবারআল্লাহুম্মা আহিল্লাহু আলাইনা বিল আমনি ওয়াল ঈমানি ওয়াস্সালামাতি ওয়াল ইসলামি ওয়াত্তাওফিকি লিমা তুহিব্বু ওয়া তারদা রাব্বুনা ওয়া রাব্বুকাল্লাহ।

অর্থ : ’আল্লাহ মহান, হে আল্লাহ! এ নতুন চাঁদকে আমাদের নিরাপত্তা, ঈমান, শান্তি ও ইসলামের সঙ্গে উদয় কর। আর তুমি যা ভালোবাস এবং যাতে তুমি সন্তুষ্ট হও, সেটাই আমাদের তাওফিক দাও। আল্লাহ তোমাদের এবং আমাদের প্রতিপালক।’ (তিরমিজি, মিশকাত)

শেষ রমজনেও রোজাদারের যেসব আমল জারি থাকবে 

দুনিয়ায় মানুষের মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গে তার সব আমলের পথ বন্ধ হয়ে যায়, তবে তিনটি আমল অব্যাহত থাকবে। হাদিসের বর্ণনা থেকেই তা প্রমাণিত। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন-

‘মানুষের মৃত্যুর পর তিনটি আমল ব্যতিত সব রকমের আমলই বন্ধ হয়ে যায়। তাহলো-

১. সদকায়ে জারিয়া,

২. উপকারি ইলশ বা জ্ঞান,

৩. এমন সুসন্তান, যে তার জন্য দোয়া করতে থাকে।’ (মুসলিম)

সদকায়ে জারিয়া

যার অর্থ এমন ধরনের জনকল্যাণকর কাজ ব্যয় হয়, যার সুফল বহু দিন পর্যন্ত চলতে থাকে। মানুষ এ কাজে উপকার পেয়ে থাকে। যেমন- পুকুর কাটা, কুপ খনন করা বা পরিস্কার পানির ব্যবস্থা করা, মুসাফিরদের জন্য সরাইখানা তৈরি করা, রাস্তার পাশে ছায়াদানকারী বৃক্ষ রোপন করা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থা করে যাওয়া, রাস্তাঘাট নির্মাণ বা ব্রিজ-কালর্ভাট তৈরি করা

উপকারি জ্ঞান

এমন জ্ঞানমূলক বই-পুস্তক লেখা, যার মাধ্যমে লোকেরা সঠিক পথের সন্ধান লাভ করবে। কল্যাণের পথে পরিচালিত হবে। দুনিয়া ও পরকালের যাবতীয় জ্ঞান লাভে জীবন সাজাতে পারবে। কিংবা মৃতব্যক্তি কাউকে এমন কিছু শেখায় যে তার ফলেও সে প্রতিদান পেতে থাকবে।

নেক সন্তান

তৃতীয় যে কাজটির জন্য মৃত্যুর পরও সে প্রতিদান পেতে থাকবে তা হল তার নেক সন্তান। যাকে সে প্রথম থেকেই সুশিক্ষা প্রদান করেছে এবং তার চেষ্টার ফলেই সে আল্লাহভীরু ও দ্বীনদার হতে পেরেছে। যতদিন পর্যন্ত এমন নেক সন্তান দুনিয়ায় জীবিত থাকবে ততদিন পর্যন্ত তার কৃত সৎকাজের ছওয়াব সেও পেতে থাকবে। এমনকি সে সন্তান বাবা-মার কথা স্মরণ করে আল্লাহর কাছে দু’হাত তুলে বলবে-

رَّبِّ ارْحَمْهُمَا كَمَا رَبَّيَانِي صَغِيرًا

উচ্চারণ : ‘রাব্বির হামহুমা কামা রাব্বায়ানি সাগিরা।’

অর্থ : ‘হে আমার প্রভু! তাদের উভয়ের প্রতি রহম কর, যেমন তারা আমাকে শৈশবকালে লালন-পালন করেছেন।’ (সুরা বনি ইসরাঈল : আয়াত ২৪)

সুতরাং রমজানের আমলগুলো যেন এমন হয় যে, রমজান পরবর্তী সময়ে সঠিকভাবে জীবন পরিচালনায় সহায়ক হয়। এমনকি মৃত্যুর পরও যেন তা আমাদের জন্য সাদকায়ে জারিয়ার অন্তর্ভূক্ত হয়

উল্লেখিত আমলগুলোই নয়; বছরজুড়ে এ কাজগুলো করে যাওয়া প্রত্যেক রোজাদারের একান্ত কাজ। তাহলো-

১. আগের চেয়ে আরও বেশি বাবা-মার সেবায় নিয়োজিত হব।

২. প্রতিবেশির খোঁজ-খবর রাখব।

৩. অসহায়দের ঘরে ঈদের উপহার পৌঁছে দেব।

৪. বিপদ-আপদে অন্যের পাশে দাঁড়াব।

৫. অহংকার-দম্ভ পরিহার করব।

৬. সব পাপ কাজ থেকে নিজেকে দূরে রাখব।

৭. ব্যবসা-বাণিজ্যে সততা অবলম্বন করব।

৮. অন্যের সম্পদ অধিগ্রহণ থেকে দূরে থাকব।

৯. সর্বাবস্থায় মিথ্যা পরিহার করব।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে ৩০ তারাবি, নফল নামাজসহ দিনের বেলা যথাযথভাবে রোজাপালন করে শেষ দিনের সৌভাগ্যের রহমত পাওয়ার তাওফিক দান করুন। রমজানের শেষ সময়ের প্রতিটি মুহূর্ত ইবাদত-বন্দেগিতে অতিবাহিত করে রমজনের বরকত মাগফেরাত নাজাত পাওয়ার তাওফিক দান করুন। বিগত জীবনের গোনাহ থেমে মুক্তির তাওফিক দান করুন। আমিন।

এ বিভাগের আরও খবর...

পুরাতন খবর

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩১৪১৫
১৬১৭১৮১৯২০২১২২
২৩২৪২৫২৬২৭২৮২৯
৩০  

Archive Calendar

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩১৪১৫
১৬১৭১৮১৯২০২১২২
২৩২৪২৫২৬২৭২৮২৯
৩০  
© ২০২১ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | নগর সংবাদ
Design & Developed BY:
ThemesCell