নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে ইউএস বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভুল চিকিৎসায় এক নবজাতকের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) দুপুরে উপজেলার কর্ণগোপ এলাকায় ইউএস বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ভেতরে এই ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় নিহত নবজাতকের স্বজনদের সঙ্গে তুলকালাম ঘটনা ঘটেছে। ঘটনার ভিডিওচিত্র ধারণ করতে গেলে দৈনিক কালবেলার স্থানীয় প্রতিনিধিকে বেধড়ক মারধর ও লাঞ্ছিত করা হয়েছে।
সেইসঙ্গে হাসপাতালের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের হামলায় ৯ জন আহত হয়েছেন। ঘটনার পর থেকে হাসপাতাল এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। নবজাতকের বাবা শাহীন মিয়া বলেন, আমি আমার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী মাহফুজা আক্তারকে ইউএস বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দিয়ে আসছিলাম। গত বৃহস্পতিবার রাতে প্রসবের সময় হলে ডা. সাবিহা শিমুল আমার স্ত্রীকে ইনজেকশন দেন। এরপর এই হাসপাতালে চিকিৎসা হবে না বলে জানিয়ে দেন। পরে ঢাকার মগবাজারে আদ্বদীন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানকার কর্তব্যরত ডাক্তার নবজাতক মারা গেছেন বলে ঘোষণা করেন।
এদিকে মঙ্গলবার দুপুরে এ ঘটনার বিষয়ে জানতে শিশুটির পরিবার ও স্বজনরা হাসপাতালে যান। একপর্যায়ে হাসপাতালের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা স্বজনদের ওপর চড়াও হন। এ সময় উভয়পক্ষের মধ্যে তুলকালাম ঘটনা ঘটে। হাসপাতালের লোকজনের হামলায় নবজাতকের স্বজন সানোয়ার সিকদার, আনোয়ার সিকদার, মাহমুদা আক্তার, আম্বিয়া খাতুন, আক্তার হোসেন, শাহীন মিয়াসহ ৯ জন আহত হন। এ ঘটনার ভিডিওচিত্র ধারণ করতে গেলে দৈনিক কালবেলার রূপগঞ্জ প্রতিনিধি জাহাঙ্গীর মাহমুদকে হাসপাতালের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা বেধড়ক মারধর ও লাঞ্ছিত করেন।
একপর্যায়ে তার মোবাইল কেড়ে নিয়ে ফ্লোরে ছুড়ে ফেলেন। খবর পেয়ে জাহাঙ্গীর মাহমুদের সহকর্মী রুবেল সিকদার তাকে রক্ষা করেন। স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, ইউএস বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রায়শ ভুল চিকিৎসায় মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। এছাড়া চিকিৎসার সময় ডাক্তারদের অবহেলা ও গাফলতির অভিযোগও রয়েছে। এ ব্যাপারে হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবদুল্লাহ আল মামুনের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দীপক চন্দ্র সাহা বলেন, এ ধরনের ঘটনার ব্যাপারে আমার জানা ছিল না। আপনাদের মাধ্যমে শুনলাম। কেউ অভিযোগ করলে এই ঘটনায় ব্যবস্থা নেওয়া হবে