কঠিন বাস্তবতা ও সত্য কথা হলো ‘মৃত্যু সুনিশ্চিত’। সবাইকে মৃত্যুর স্বাদ নিতে হবে। মানুষ মারা গেলে উপস্থিত ব্যক্তিদের জন্য ৬টি কাজ দ্রুততার সঙ্গে করা জরুরি। যে কাজগুলো মৃতব্যক্তির জন্য বিভিন্ন দিক থেকেই উপকারী। কাজ ৬টি কী?
সৃষ্টির সেরা জীব মানুষ। মর্যাদার দিক থেকে সেরা সৃষ্টি হওয়ার কারণেই মৃত্যুর পর মৃতব্যক্তির সম্মান, মর্যাদা ও কল্যাণের জন্য দ্রুত ৬টি কাজ করা জরুরি। তাহলো-
১. মৃত্যুর সময় অনেকের চোখ খোলা থাকে। তাই কারো মৃত্যু হলে যারা উপস্থিত থাকবে তাদের উচিত, মৃতব্যক্তির চোখ দুইটি বন্ধ করে দেওয়া। হাদিসের নির্দেশনাও এমন-
হজরত আবু সালামা রাদিয়াল্লাহু আনহু যখন মৃত্যুবরণ করেন, তখন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁর চোখ দুটি বন্ধ করে দেন। আর বলেন, যখন জান বা রূহ কবজ করা হয়, তখন মানুষের দৃষ্টি (চোখ) তার অনুসরণ করে।’ (মুসলিম)
২. মৃতব্যক্তির কোনো অঙ্গ আঁকা-বাকা থাকলে শরীরের জোড়াগুলো নরম থাকতে থাকতেই (শক্ত হওয়ার আগে) সে অঙ্গগুলো ঠিক বা সোজা করে দেওয়া। তা হতে পারে- হাত, পা, মাথা ইত্যাদি।
৩. মৃতব্যক্তির যদি স্বাস্থ্যবান হয়; পেট বড় হয় তবে মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গে পেটের ওপর ভারি জাতীয় কিছু রাখা, যাতে মৃতব্যক্তির পেট ফুলে না যায়।
৪. মৃতব্যক্তিকে উন্মুক্ত না রাখা। কাপড় বা চাদর দিয়ে মাথা থেকে পা পর্যন্ত ঢেকে দেওয়া জরুরি।
৫. মৃত্যুর পর যতদ্রুত সম্ভব মৃতব্যক্তিকে গোসল দেওয়ার মাধ্যমে পবিত্র করে নেওয়াও আবশ্যক।
৬. মৃত্যুর পর দেরি না করে দ্রুততার সঙ্গে গোসলের পর কাফন পরিয়ে জানাজা দেওয়া। জানাজার পর পরই দাফন সম্পন্ন করা।
মানুষের মৃত্যুর পর এ কাজগুলো করা খুবই জরুরি। মৃত্যুর সময় যারা কাছে উপস্থিত থাকবে; এ কাজগুলো দ্রুততার সঙ্গে সম্পন্ন করা তাদের একান্ত দায়িত্ব ও কর্তব্য।
মনে রাখা জরুরি
মানুষের মৃত্যুর পর জানাজায় অংশগ্রহণ করা এক কিরাত সাওয়াবের কাজ। আর জানাজা সম্পন্ন করে দাফন পর্যন্ত থাকা দুই কিরাত সাওয়াবের কাজ। আর এক কিরাত হলো উহুদ পাহাড় সমান। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হাদিসে পাকে জানাজায় অংশগ্রহণের ব্যাপারে জোর তাগিদ দিয়েছেন এবং এ ফজিলত বর্ণনা করেছেন।
সুতারং মানুষের উচিত, যে কেউ মারা গেলে যথাযথ মর্যাদার সঙ্গে উল্লেখিত কাজগুলো করে সাওয়াব ও কল্যাণের কাজে অংশগ্রহণ করা।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহর জীবত ও উপস্থিত থাকা ব্যক্তিদের উল্লেখিত ৬টি কাজ দ্রুততার সঙ্গে সম্পন্ন করার তাওফিক দান করুন। আমিন।