সোনারগাঁয়ের মেঘনাঘাট টোলপ্লাজার নিউ টাউন এলাকায় ‘বিসমিল্লাহ বিরিয়ানি’ নামের দোকানটি দিয়েছেন নাজির হোসেন নামে এক ব্যক্তি। সরেজমিনে দেখা যায়, থরে থরে সাজানো সাদা প্যাকেট। পাশেই ডেকভর্তি বিরিয়ানি। দোকানে টানানো একটি কাগজে লেখা ‘বিরিয়ানি প্রতি প্লেট ৩০ টাকা’। অনেকেই দোকানটিতে বসে বিরিয়ানির স্বাদ নিচ্ছেন, অনেকেই আবার সারিবদ্ধ হয়ে, লাইনে দাঁড়িয়ে বাসার জন্য কিনছেন।
সপ্তাহের সাত দিনই বিকেল ৪টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত বসে বিরিয়ানির দোকান। বিরিয়ানি খেতে দোকানটিতে স্বল্প আয় থেকে শুরু করে বিভিন্ন পেশার মানুষ ছুটে আসছেন। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে দোকানটিতে ক্রেতাদের চাপ কয়েকগুণ বেড়েছে। দোকানে বসে বিরিয়ানি খেলে দাম ৩০ টাকা এবং পার্সেল নিলে ৪০ টাকা রাখা হয়।
বন্ধুদের সঙ্গে নিয়ে দোকানটিতে বিরিয়ানি খেতে এসেছেন সিয়াম হোসেন নামের এক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। তিনি জানান, ফেসবুকে দেখে তিনি বন্ধুদের নিয়ে এসেছেন। বর্তমানে জিনিসপত্রের যে দাম এ সময় ৩০ টাকায় সকালের নাশতাই হয় না। ওই জায়গায় গরুর মাংসের বিরিয়ানি পাওয়া অনেকটা আশ্চর্যের বিষয়।
রফিকুল ইসলাম পেশায় চাকরিজীবী। বলেন, প্রায়ই অফিস ছুটির পর তার এখানে আসা হয়। দাম অনেক কম হলেও বিরিয়ানির স্বাদ অতুলনীয়। খাবারের মান খুবই ভালো। অল্প টাকায় মানুষ ভালো খাবার পাচ্ছে বলে আমি মনে করি।
দিদারুল আলম নামের আরেক ব্যক্তি বলেন, প্রায়ই এখানে আসি বিরিয়ানি খেতে। আমার মতো অনেকেই বিভিন্ন স্থান থেকে এখানে বিরিয়ানি খেতে আসেন।
দোকানটির মালিক নাজির হোসেন বলেন, দীর্ঘদিন ধরে আমি এ ব্যবসা করে আসছি। কিন্তু প্রথম দিকে ক্রেতার চাপ কম থাকলেও কয়েকদিন ধরে তা বেড়েছে। এই মূল্যে বিরিয়ানি বিক্রি করে আমার লাভ কম হয়। এরপরও আমি চাই কম দামে যেন সবাই বিরিয়ানির স্বাদ পায়।
তিনি আরও বলেন, বিরিয়ানিতে আমি পোলাওর চাল, খুদ, ছোলা বুট, গরুর মাথার মাংস, তেল ও বিভিন্ন মসলা ব্যবহার করি। আমি এবং আমার স্ত্রী দুজনে মিলে রান্না করি। তাই বিরিয়ানি রান্না করতে আমার খরচ তুলনামূলক কম পড়ে
বর্তমান ব্যবসার অবস্থা উল্লেখ করে নাজির বলেন, আগে দৈনিক ২০০-৩০০ প্লেট বিরিয়ানি বিক্রি হতো। এখন ৩৫০-৪০০ প্লেট বিক্রি হয়। শীতকালে বিরিয়ানির চাহিদা আরও বেড়ে যায়। তখন বিক্রিও কয়েকগুণ বেশি হয়। বর্তমানে ১০-১২ হাজার টাকা আয় হয়।