নরসিংদীর মাধবদীতে মেঘনা নদীতে গোসলে নেমে নিখোঁজ ইমন মিয়া (১৫) নামে এক কিশোরের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
রোববার দুপুর ১টায় মাধবদী থানার পাইকারচর ইউনিয়নের চর ভাসানিয়া এলাকার মেঘনা নদী থেকে তার ভাসমান মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল।
নিখোঁজ ইমন মিয়া মাধবদী পৌর এলাকার উত্তর বিরামপুরের বাসিন্দা মো. কামাল মিয়ার ছেলে।
নৌ পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, তিন কিশোর একসঙ্গে মাধবদীতে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে ইলেকট্রিক্যাল কাজ শেখার প্রশিক্ষণ নেওয়ার কাজ করে। শনিবার (১৩ মে) সকালে তারা নৌকাযোগে ভঙ্গারচরের মেঘনা বাজার এলাকায় ঘুরতে যায়। এসময় তারা নদীতে ঘোরাঘুরি শেষে নৌকা থামিয়ে নদীতে গোসলের উদ্দেশে নামে।
এ সময় তিনজন নদীতে গোসল করার সময় নদীর তীব্র স্রোতে তলিয়ে যেতে থাকে। এ সময় মেঘনায় চলন্ত একটি নৌকার মাঝি তাদের ডুবে যেতে দেখে একটি ফুটবল ছুড়ে মারলে ফুটবল ধরে ভেসে থাকা আব্দুল্লাহ ও সিয়ামকে তারা উদ্ধার করেন। আর নদীর স্রোতে তলিয়ে যায় ইমন মিয়া। পরে খবর পেয়ে নৌ পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের একটি দল ঘটনাস্থলে এসে উদ্ধার অভিযান শুরু করে। তারা দীর্ঘসময় খোঁজাখুঁজি করেও ইমনের কোনো সন্ধান পায়নি। পরে বিকেল সাড়ে ৫টায় টঙ্গী থেকে ফায়ার সার্ভিসের ৬ সদস্যের ডুবুরি দল এসে উদ্ধার অভিযান শুরু করে। তারা দীর্ঘসময় খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় অভিযান বন্ধ করা হয়।
আজকে সকালে আবার উদ্ধার অভিযান শুরু হয়। দুপুর পর্যন্ত খোঁজাখুঁজি করে ও তার কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। পরে দুপুর ১টার দিকে ঘটনাস্থলের কিছু দূরে চর ভাসানিয়া এলাকার মেঘনা নদীতে একটি মরদেহ ভেসে উঠে। পরে ঘটনাস্থলে গিয়ে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা মরদেহটি উদ্ধার করে। পরে পরিবার মরদেহটি নিখোঁজ ইমনের বলে শনাক্ত করে।
ভঙ্গারচর নৌ পুলিশ ফাঁড়ির পুলিশ পরিদর্শক তরিকুল ইসলাম বলেন, উদ্ধার অভিযান চলাকালে মরদেহ ভেসে উঠলে আমরা তা উদ্ধার করি। পরে তা ময়নাতদন্তের জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। এ ঘটনায় পরিবারের সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।