গাইবান্ধার মেয়ে ঐশী চন্দ্র দাস। ভর্তি হয়েছেন (১৮তম ব্যাচ) জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকর্ম বিভাগে।
বিধান চন্দ্র দাস বলেন, মেয়েকে ওরিয়েন্টেশন ক্লাসে পৌঁছে দিতে গত শুক্রবার (১ সেপ্টেম্বর) ঢাকায় এসেছি। ঢাকায় ভাইয়ের বাসায় ছিলাম। আজ মেয়ের ওরিয়েন্টেশন ক্লাস। তাই মেয়েকে নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে এসেছি। এ অনুভূতি অন্যরকম। যা ভাষায় প্রকাশ করা যায় না। ইচ্ছা ছিল মেয়েকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াবো। ওখানে হয়নি। কিন্তু জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে সুযোগ হয়েছে। এটাও কম নয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশটি আমার অনেক সুন্দর লেগেছে। আশাকরি এখান থেকে আমার মেয়ে ভালো কিছু করবে।
এদিকে বাবার সঙ্গে প্রথম দিন বিশ্ববিদ্যালয়ে আসতে পেরে আনন্দিত ঐশী চন্দ্র দাসও।
ঐশী জানান, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে আমার ও বাবার প্রথম দিন। বাবাকে নিয়ে ক্লাস রুম, বিভাগ, বিশ্ববিদ্যালয় ঘুরলাম। ছবি তুললাম একসঙ্গে। ইচ্ছা আছে ভালো কিছু করে বাবাকে নিয়ে আবার ছবি তুলবো।
প্রথম দিনে কোনো বন্ধু হয়েছে কিনা প্রশ্নে ঐশী জানান, প্রথম দিন বাবার সঙ্গে ঘুরলাম। এখনো সেভাবে বন্ধু হয়নি। তবে হয়ে যাবে।
শুধু ঐশীই নয়, বাবা-মায়ের স্বপ্নপূরণ করতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের এসেছে তিন হাজারের অধিক শিক্ষার্থী।
জাহিদ হাসান নামে বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেক নবীন শিক্ষার্থী জানান, ছোটবেলা থেকে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার ইচ্ছা ছিল। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পেয়েছি। অনেক আশা নিয়ে ঢাকা শহরে এসেছি। স্বপ্নটাকে ছুঁয়ে দেখতে চাই। বাবা-মায়ের স্বপ্ন প্রথম শ্রেণির কর্মকর্তা হওয়ার। তাদের স্বপ্ন পূরণ করতে এসেছি।
এদিকে ১৮তম ব্যাচের ক্লাস শুরুর দিনই ক্যাম্পাসে ছিল নানা অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে নতুন ব্যাচের শিক্ষার্থীদের নবীন বরণ। এছাড়া নানা বিভাগ, বাসে ছাত্রদের কমিটি, জেলা ছাত্রকল্যাণগুলো বিভিন্ন আয়োজনে ও সাজসজ্জায় নবীনদের বরণ করে নিয়েছে। নতুন ক্লাসরুম ও সহপাঠীদের সঙ্গে পরিচিত হতে পেরে উল্লসিত নবীন শিক্ষার্থীরাও।
এ বিষয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও ছাত্রকল্যাণ পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. আইনুল ইসলাম বলেন, বিভাগগুলো তাদের নিজস্ব আয়োজনে শিক্ষার্থীদের বরণ করে নিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যে সময় নির্ধারণ করা হয়েছে ঠিক সময়ে শিক্ষার্থীরা তাদের নিজ নিজ বিভাগগুলোতে উপস্থিত ছিলেন। বিভাগ থেকে শিক্ষার্থীদের ক্লাসসহ যাবতীয় বিষয়ের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। নতুন শিক্ষার্থীরা যেন র্যাগিং বা অপ্রীতিকর কোনো ঘটনার শিকার না হয় এদিকে আমরা সর্বাত্মক লক্ষ্য রাখবো।