নগর সংবাদ।। ৪৫ দিন বয়সী মেয়ে শিশুকে গলাটিপে হত্যা করে পুকুরের পানিতে নিক্ষেপ করার অভিযোগ উঠেছে গর্ভধারিনী মায়ের বিরুদ্ধে। ঘটনার সাতদিন পর পুলিশ এ হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করে অভিযুক্ত মা সিমা বেগমকে (২৬) গ্রেফতার করেছে।
তিনি জানান, গৌরনদীর কমলাপুর গ্রামের দেলোয়ার হোসেনের স্ত্রী সিমা বেগম তার শিশু কন্যা রুকাইয়াকে নিয়ে খাঞ্জাপুর ইউনিয়নের বাদুরতলা উমেদআলী গ্রামে বাবার বাড়িতে বেড়াতে আসেন। ১৬ ফেব্রুয়ারি বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে সিমার বাবা মৃত আব্দুল হালিম আকনের ঘর থেকে রুকাইয়া নিখোঁজ হয়। পরে অনেক খোঁজাখুজির পর বাড়ির পুকুর থেকে রুকাইয়ার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
এসআই হারুন অর রশিদ আরও জানান, স্থানীয় গ্রাম পুলিশের মাধ্যমে খবর পেয়ে তাৎক্ষনিক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়। তদন্তে পুরো বিষয়টি রহস্যজনক বলে মনে হয়। পরবর্তীতে শিশুর মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ঘটনার পর থেকে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আফজাল হোসেনের নির্দেশে পুরো ঘটনাটি গভীরভাবে তদন্ত করা হয়। একপর্যায়ে শিশুটিকে হত্যার বিষয়টি স্পষ্ট হলে ঘটনাটি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অবহিত করা হয়।
পরবর্তীতে সোমবার (২১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে জেলা পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের সহকারী সুপার ইকবাল হোসাইন ওই শিশুর গর্ভধারীনি মা সিমা বেগমকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে আসেন। জিজ্ঞাসাবাদে সিমা বেগম তার কন্যা রুকাইয়াকে গলাটিপে হত্যার দায় স্বীকার করে জানান, তার কাছে জিন আসে। যখন জিন আসে, তখন তিনি পৃথীবির সব কিছু ভুলে যান। যা কিছু হয়েছে তার (জিন) নির্দেশে হয়েছে।
গৌরনদী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আফজাল হোসেন বলেন, এ ঘটনায় নিহত শিশুর বাবা দেলোয়ার হোসেন অজ্ঞাত ব্যক্তিকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছিলেন। সে হত্যা মামলায় সিমা বেগমকে গ্রেফতার দেখিয়ে মঙ্গলবার দুপুরে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।