নগর সংবাদ।।মোবাইল ফোনের কল ড্রপ একটি বড় সমস্যা বলে জানিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তফা জব্বার। তবে এই সমস্যা সমাধানে সরকার যা যা করার দরকার করবে এবং মোবাইল অপারেটরদের কল ড্রপের জন্য ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (৭ জুন) জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে প্রধানবিরোধী দল জাতীয় পার্টির (জাপা) সৈয়দ আবু হোসেনের (বাবলা) এক সম্পূরক প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী এ কথা জানান। এ সময় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করছিলেন।
মন্ত্রী মোস্তফা জব্বার বলেন, মোবাইল ফোনের কল ড্রপ একটি বড় সংকট, বড় সমস্যা। আমিসহ এখানে আমরা যারা আছি- প্রত্যেকেই কল ড্রপের শিকার হই। একবার, দুইবার, এমনকি তিন-চারবার কল করতে হয়। ২০০৯ সালে দেশে ৪ কোটি মোবাইল ফোন ব্যবহার হতো, এখন তা বেড়ে ১৮ কোটি হয়েছে। ২০০৭ সালে ইন্টারনেট ব্যবহারকারী ছিলেন সাড়ে ৭ কোটি, এখন ইন্টারনেট ব্যবহারকারী ১৩ কোটি অতিক্রম করেছে।
তিনি বলেন, সমস্যাগুলোর বিষয়ে আমরা শেকড়ে সন্ধান করে যেটা পেয়েছি সেটা হলো গ্রামীণ ফোনের ব্যবহারকারী ৮ কোটি, রবি ৫ কোটি, বাংলালিংক ৪ কোটি, টেলিটক একটু কম। মোবাইলের যে পরিমাণ বেতার তরঙ্গ নেওয়া দরকার অপারেটররা সে পরিমাণ সরবরাহ নেয়নি। আমরা চাপ দিয়ে তাদের ১৯০ মেগাহার্টজ কেনাতে পেরেছি। আশাকরি তারা চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে এই সমস্যা অনেকটাই কমিয়ে আনতে পারবে। রোল আউটের অনেকটা সমাধান হয়ে যাবে।
তিনি আরও বলেন, প্রযুক্তির প্রসার ঘটেছে। ৩ জি থেকে ৪ জি, এ বছর ৫জিতে আমরা প্রবেশ করেছি। এই যাত্রার সঙ্গে প্রতিষ্ঠানগুলো তালমিলিয়ে চলার সক্ষমতা অর্জন করতে পারছে না। ২০২২ সালের মধ্যে তারা সমস্যা সমাধান করতে না পারলে আমরা জরিমানা করতে পারব। আমরা নির্দেশ দিয়েছি কলড্রপ হলে যাতে যাতে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়।
মন্ত্রী আরও বলেন, আরেকটি বিষয় হলো ইন্টারনেটের ডেটা প্যাকেজ যেটা অব্যবহৃত থেকে যায় সেটি আর ব্যবহার করা যায় না। অব্যবহৃত ডেটা যাতে ব্যবহার করতে দেওয়া হয় সেটা আমরা বলেছি। নির্দেশ না মানলে আমরা টেলিটককে ধরতে পারি, কিন্তু অন্যদেরকে ধরতে পারি না। তারা আদালতের আশ্রয় নেয়। তবে এসব সমস্যা সমাধানে যা যা করার, আমরা করব।