ছেলের আবদার পূরণ করতে পারেননি বাবা-মা। তবে কথা দিয়েছিলেন কয়েকদিন পর মোবাইল ফোন কিনে দেবার।
রোববার (১০ জুলাই) দিনগত রাতে ফতুল্লা মডেল থানার পশ্চিম দেওভোগ ফারুকের বাড়ির দ্বিতীয় তলায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত রাকিব হাসান অন্তর ফতুল্লা মডেল থানার পশ্চিম দেওভোগে ভাড়াটিয়া মো. মহসীনের ছেলে।
মামলায় উল্লেখ করা হয়, নিহত কিশোর রাকিব হাসান অন্তর উত্তর নরসিংপুরস্থ জাজেজ ডাইং কারখানায় হেলপার হিসেবে কাজ করে আসছিল। ৭-৮ দিন আগে একটি টাচ মোবাইল ফোন কিনে দেওয়ার জন্য বাবা- মায়ের নিকট আবদার করেছিল। তখন বাদী ও তার স্ত্রী নিহত রাকিব হাসান অন্তরকে বলে যে সবে মাত্র ঈদ শেষ হয়েছে হাতে টাকা নেই। কয়েকদিন পর মোবাইল ফোন কিনে দিব। রোববার সকাল নয়টার দিকে বাদীর স্ত্রী তার বোনের বাড়িতে বেড়াতে যায়। বাদী একই সময়ে নিজ কর্মস্থলে চলে যায়। নিহত রাকিব হাসান অন্তর সারাদিনই বাসায় ছিল। মোবাইল ফোন কিনে না দেওয়ার রাগে ও ক্ষোভে বিকেল ৫টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার মধ্যে ঘরের সিলিং ফ্যানের সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে। রাত আটটার দিকে বাদী বাসায় ফিরে এসে দেখতে পায় গলায় ফাঁস লাগানো ছেলে রাকিব হাসান অন্তরের ঝুলন্ত মরদেহ।
ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূরে আজম মিয়া জানায়, বাবা-মায়ের সঙ্গে অভিমান করে আত্মহত্যা করেছে। এ বিষয়ে নিহতের বাবা বাদী হয়ে থানায় অপমৃত্যু মামলা দায়ের করেছেন।