ম্যানগ্রোভের উদ্যোগে, সপ্তম তম অ্যানুয়েল আর্ট গ্রুপ প্রদর্শনী শুভ সূচনা হলো।
কলকাতা থেকে সম্পা দাস ও সমরেশ রায়
আজ 29 আগস্ট মঙ্গলবার, ঠিক বিকেল পাঁচটায়, সুন্দরবন ম্যানগ্রোভ এর উদ্যোগে অ্যাকাডেমি অফ ফাইন আর্টস এর সাউথ গ্যালারীতে, একটি সুন্দর ও মনোময় গ্রুপ প্রদর্শনীর আয়োজন করেন।। এই প্রদর্শনীতে ১৯ জন শিল্পী অংশগ্রহণ করেন এবং তাদের ছবি এই প্রদর্শনীতে প্রদর্শিত হয়। সুন্দরবন থেকে উঠে আসা এই ম্যানগ্রোভ গ্রুপ শুধু প্রদর্শনী করেই চুপ থাকেন না, তারা সারা বছর সেবা মূলক কাজে মানুষের পাশে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন।
শুধু তাই নয়, অসহায় শিল্পীদের পাশে, অসহায় পরিবারের শিশুদের পাশে ও বিভিন্ন শিল্পী দুলারোগ্য রোগের পাশে সর্বদাই সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন, এমনকি ক্যান্সারে আক্রান্ত শিল্পীর ছবি এই প্রদর্শনীতে তুলে ধরেন এবং তার চিকিৎসার দায়ভার নেন। শিল্পীকে সুস্থ করে পুনরায় এই শিল্প জগতে ফিরিয়ে আনায় এই ম্যানগ্ৰভের উদ্দেশ্য, এমনকি সুন্দরবনের এই ম্যানগ্রোভ গাছকেও তারা বাঁচিয়ে রাখার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন, তাই এই প্রদর্শনীর মধ্যে বেশির ভাগটাই সুন্দরবনের মানুষের ইতিবৃত্ত এবং সেখানকার পরিবেশ তুলে ধরেছেন। এই প্রদর্শনী ২৯ শে আগস্ট থেকে ৪ঠা সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলবে, প্রতিদিন দুপুর বারোটা থেকে রাত্রি আটটা, প্রতিটি শিল্পী-প্রেমী মানুষের জন্য ও দর্শকদের জন্য খোলা থাকবে।।
এই প্রদর্শনী শুভ সূচনা করেন প্রদীপ প্রজ্জালনের মধ্য দিয়ে, প্রফেসর সুবিমলেন্দু বিকাশ সিনহা, অরুন কুমার চক্রবর্তী , তপন কুমার দেবনাথ, মহানন্দা গোমস্থা, স্বপন কুমার মন্ডল, অরূপ কুমার মন্ডল সহ, উপস্থিত অন্যান্য অতিথিবৃন্দরা এবং ম্যান গ্রোভের সকল সদস্যবৃন্দরা, এরপর সকল অতিথিদের একে একে উত্তরীয় ও ব্যাচ পড়িয়ে এবং হাতে পুষ্পস্তবক দিয়ে সম্মানিত করেন। এই প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণ করেন, সুদুর আন্দামান থেকে শিল্পী মহানন্দা গোমস্তা,এছাড়া খোকন রাউত, নগেন সরদার, রজত বরণ মহাপাত্র ,শঙ্কর হালদার, বৈদ্যনাথ বলদে, দেবাশীষ হালদার, মনি মোহন হালদার, রাজী মন্ডল, দীপাঞ্জন রায়, তুহিন শুভ্র প্রধান ,অমিত কুমার দাস, সঞ্জয় বৈতাল, সুশান্ত বড়াল,
বিশ্বজিৎ মন্ডল, বিশ্বজিৎ পারুই , বিভিন্ন জেলা থেকে এই প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণ করেন, এবং এই ধরনের সংস্থার পাশে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন, এই সংস্থা অর্থাৎ ম্যানগ্রোভের কর্ণধার , স্বপন কুমার মন্ডল ও অরূপ কুমার মন্ডল জানান, আমাদের এই প্রদর্শনী করার উদ্দেশ্যে হলো, শিল্পীদের পাশে থাকা, এবং শিল্প জগৎকে বাঁচিয়ে রাখায় আমাদের উদ্দেশ্য, তার সাথে সাথে একটি শিল্পী ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েও আজকে আমাদের এই প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণ করেছেন , দুরারোগ্য ক্যান্সার তাকে দুর্বল করে দিলেও, চারটি ছবি তৈরি করেছেন, দুরারোগ্য ক্যান্সারে সমস্ত বল কেড়ে নিলেও, তিনি কিন্তু মনের জোরে সুন্দরবনের চিত্রকে তুলে ধরে এই প্রদর্শনীতে ছবি প্রদর্শীত করেছেন, আমরা তার চিকিৎসার সমস্ত ব্যয়ভার নিয়েছি, আমরা চাই সেই শিল্পী আবার সুস্থ হয়ে এই শিল্প জগতে ফিরে আসুক, তাই এই প্রদর্শনীর মাধ্যমে আমরা যে সকল ছবি বিক্রি করতে পারব , সেই পয়সা দিয়ে একটা শিল্পীর চিকিৎসায় সম্পূর্ণ খরচা করব,
আমরা এই সকল পয়সা দিয়ে তার কেমো দেওয়ার ব্যবস্থা করবো, এখনো কিছু টাকার প্রয়োজন ,কয়েকটি কেমো বাকী আছে। তাই এই প্রদর্শনীর মাধ্যমে যদি ছবি বিক্রি হয় সেই পয়সা, সেই শিল্পীর সুস্থতা কামনা করে এবং তাকে সুস্থ করে তোলাই হবে আমাদের সংকল্প। এছাড়াও আমরা বিভিন্ন দুস্থ পরিবারের ছোট ছোট শিশুদের নিয়ে কিছু কাজ করছি, এবং যারা আমাদের পাশে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন প্রদর্শনীর মাধ্যমে তাদের কাছেও আমরা চির কৃতজ্ঞ, এমন কি সুদূর আন্দামান থেকে শিল্পী আমাদের সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে এই প্রদর্শনীতে তার ছবি প্রদর্শিত করেছেন ,আমরা তাহার কাছেও কৃতজ্ঞ, আমাদের ডাকে সাড়া দেওয়ায়, আপনারা আসুন এবং এই ধরনের শিল্পী ও শিশুদের পাশে দাঁড়ান, সুন্দরবনের অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়ান।।।