নগর সংবাদ।।ময়মনসিংহের ত্রিশালে ট্রাকচাপায় মায়ের পেট ফেটে জন্ম নেওয়া শিশু ও তার দুই ভাইবোনের সহায়তার জন্য খোলা ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ৪৩ হাজার টাকা জমা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৯ জুলাই) দুপুর আড়াইটার দিকে ত্রিশাল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আক্তারুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘দুপুরের পরে ব্যাংক স্টেটম্যান্ট নিয়েছি। সেখান দেখা যায়, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলার পর থেকে ৪৩ হাজার টাকা জমা পড়েছে। আশা করছি, আরও টাকা জমা পড়বে।’
এরআগে সোমবার (১৮ জুলাই) বিকেলে সোনালী ব্যাংকের ত্রিশাল শাখায় রত্না আক্তার রহিমার নবজাতক ও অপর দুই সন্তানের সহায়তায় ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলা হয়। ওই ব্যাংক হিসাব নবজাতকের দাদা মোস্তাফিজুর রহমান বাবলু, তার স্ত্রী সুফিয়া বেগম এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আক্তারুজ্জামান পরিচালনা করতে পারবেন।
নবজাতকটির দাদা মোস্তাফিজুর রহমান বাবলু বলেন, ‘ওই নবজাতক ছাড়াও এবাদত (৮) ও জান্নাত আক্তার (১০) নামে আমার আরও দুই নাতি আছে। ওদের জন্য প্রশাসন একটি অ্যাকাউন্ট খুলে দিয়েছে। দেশবাসী যদি সহায়তা করে তাহলে আমার নাতিদের মানুষের মতো মানুষ করে তুলবো।’
শনিবার (১৬ জুলাই) দুপুরের দিকে উপজেলার রাইমনি গ্রামের ফকির বাড়ির মোস্তাফিজুর রহমান বাবলুর ছেলে জাহাঙ্গীর আলম (৪০) তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী রত্না বেগম (৩০) ও মেয়ে সানজিদাকে (৬) নিয়ে আল্ট্রাসনোগ্রাফি করাতে ত্রিশালে আসেন। পৌর শহরের খান ডায়াগনস্টিক সেন্টারের সামনে রাস্তা পারাপারের সময় ময়মনসিংহগামী একটি ট্রাক তাদের চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই জাহাঙ্গীর আলম ও স্ত্রী রত্না বেগম মারা যান। মেয়ে সানজিদা আক্তার গুরুতর আহত হয়। এ সময় ট্রাকচাপায় রত্না বেগমের পেট ফেটে কন্যাশিশুর জন্ম হয়।
পরে আহত সানজিদা ও নবজাতককে নিয়ে ত্রিশাল উপজেলা স্বাস্থ কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক সানজিদাকে মৃত ঘোষণা করে নবজাতক শিশুটিকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন। তবে, অতিরিক্ত যানজটের কারণে নবজাতককে চুরখাই কমিউনিটি বেজড মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে সেখান থেকে ময়মনসিংহ মহনগরীর চরপাড়া এলাকায় লাবিব হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ওই নবজাতক বর্তমানে ওই হাসপাতালেই আছে।
রত্না আক্তার রহিমার নবজাতক ও অপর দুই সন্তানের সহায়তা হিসাব নম্বর 3324101028728।