নগর সংবাদ।।নারায়ণগঞ্জ ৪ আসনের সাংসদ শামীম ওসমান বলেছেন, জেনেই বলছি, কারন আমি ভুক্তভোগী। আগামী কয়েক মাসের মধ্যে বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল রাষ্ট্র করার জন্য দেশের বাহিরে কাজ করছে কিছু মানুষ । বাহিরের দেশ থেকে আসা কিছু শক্তিকে তারা ব্যবহার করছে। দেশের ক্ষতিতে সেসব রাজনীতিবিদ খুশি হয়, যারা আন্দোলনের নামে মানুষ পুড়িয়ে মারে। বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা চালানোর চেষ্টা করা হয় । কারা এই দাঙ্গা চালানোর চেষ্টা করে? টার্গেট তারাই হয় যারা বুঝে বেশি। যারা প্রতিরোধ করে বেশি। ঢাকার খুব কাছেই নারায়ণগঞ্জ। নারায়ণগঞ্জ অতীতেও ভূমিকা রেখেছে, এখনো রাখছে। নারায়ণগঞ্জ ভবিষ্যতে ব্যাপক পরিসরে ভূূমিকা রাখবে। যারা ষড়যন্ত্র করে ভাবছেন সফল হবেন , আমি তাদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই , আমরাও জবাব দেওয়ার জন্য প্রস্তুত আছি। জবাব সামনে খুব কঠিন ভাবে দেওয়া হবে। আমাদের সাথে কেউ কেউ মিলেমিশে আছেন, কারো ছত্র ছায়ায় আছেন। যত গভীর গর্তেই ঢুকেন না কেন গর্তে হাত ঢুকিয়ে বের করা হবে। যেন আগামী দিনের ভবিষ্যতকে আমাদের মতো আফসোস করতে না হয়।
শুক্রবার (১২ আগস্ট) নারায়ণগঞ্জ এলজিইডি এর কার্যালয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন নারায়ণগঞ্জ এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী তাজুল ইসলাম তুহিন।
সংসদ সদস্য শামীম ওসমান বলেছেন, ষড়যন্ত্র করে ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সদস্যদের হত্যা করা হয়েছিল। সেদিন শুধু বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়নি, হত্যা করা হয়েছিল আমাদের স্বপ্ন ও ভবিষ্যৎ কে হত্যা করা হয়েছে। এই বাংলাদেশে মিছিল মিটিং করে আমাদের বড় হওয়ার কথা ছিল না। বঙ্গবন্ধুকে হত্যা না করা হলে, বঙ্গবন্ধু যে স্বপ্ন দেখেছিলেন সেই পূরণ করতে ২০ থেকে ২৫ বছরের হয়তো সময় লাগতো। আমাদের মানব সম্পদ আছে। আমাদের মাটি হল সোনার মাটি। আমাদের মাটির তলে গ্যাস ছিল, তখন বঙ্গবন্ধু এই গ্যাসের বিষয়ে জাপানে আলাপ করেছিলেন। উনার ভিশন (দূরদর্শিতা) ছিল উনার মেয়ের সেই ভিশন আছে তাই বলেই না দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। সমস্যা হলো তখনও ষড়যন্ত্রকারী ছিল, এখনো ষড়যন্ত্রকারী আছে। যারা পাকিস্তানের পরাজয় মেনে নিতে পারেনি, তারা কিন্তু বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করেছে।
তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধুর বিভিন্ন সময়ে আত্মগোপনে যাওয়ার যে একটা জায়গাটা ছিল, সেটাও বায়তুল আমানের মতো ভিন্ন জায়গা ছিল। আমাদের দাদার বাড়ি যেটা। ওইখানে একটা গোপন জায়গা ছিল, সেখানে বঙ্গবন্ধু এসে আত্মগোপনে করতেন। ওইখান থেকে বাবা, বঙ্গবন্ধু সহ সবাই পলায়ন করতেন। এই বায়তুল আমান এ বসেই বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র এবং স্বাধীনতার সংবিধান যে খসড়া এখানে বসেই লেখা হয়। আমার বাড়ি দেখে বলছি না। ইতিহাসকে বিকৃত করা হচ্ছে।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, এলজিইডির সিনিয়র সহকারী প্রকৌশলী মো. হায়দার আলী খান, সহকারী প্রকৌশলী মো. রেজাউল হক, ঝড়া ভৌমিক, নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহ নিজাম, নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান নাজিম উদ্দিন আহমেদ, ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও বক্তাবলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাজী এম শওকত আলী, ফতুল্লা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান লুৎফর রহমান স্বপন, আলীরটেক ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. জাকির হোসেন, মহানগর যুবলীগের সভাপতি শাহাদাৎ হোসেন ভুইয়া সাজনু, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এহসানুল হাসান নিপু প্রমুখ।