নগর সংবাদ।।যশোরের চৌগাছা উপজেলার এবিসিডি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাহজাহান কবিরকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
স্ত্রীকে সহকারী শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দিতে সনদ জালিয়াতি, নিয়োগ বোর্ডের রেজুলেশন জালিয়াতি, রেজুলেশনে পদের নাম পরিবর্তন, ভুয়া নিয়োগ দেওয়া, তথ্য গোপন করে এমপিওভুক্ত করানোসহ নানা অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ায় রোববার (১২ জুন) সকালে বিদ্যালয়ের অফিসকক্ষে ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সেইসঙ্গে অভিযোগ তদন্তে উপজেলার জেএইচডি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আরিফুল ইসলামকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
জালিয়াতি করে নিয়োগ পাওয়া মোছাম্মাৎ খাদিজা খাতুন প্রধান শিক্ষক শাহজাহান কবীরের স্ত্রী। এছাড়া সুমন মন্ডল নামের আরেক সহকারী শিক্ষককেও একইভাবে নিয়োগ দিয়েছেন ওই প্রধান শিক্ষক।
রোববার বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষিকারা বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতির কাছে একটি লিখিত অঙ্গীকারনামা দিয়ে বলেছেন, ‘আমরা মে-২০২২ সালের এমপিও শিট দেখে জেনেছি মোছাম্মাৎ খাদিজা খাতুন এবং সুমন মন্ডল নামে দুজন শিক্ষক এমপিওভুক্ত হয়েছেন। আমরা আগে কখনও তাদের বিদ্যালয়ে দেখিনি, চিনিওনা এবং শিক্ষক হাজিরা খাতায় তাদের কোনো সই নেই।’
এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ও হাকিমপুর ইউপি চেয়ারম্যান মাসুদুল হাসান বলেন, নিয়োগ ও এমপিওভুক্তির বিষয়টি সম্পূর্ণ জালিয়াতি করে আমার অগোচরে করা হয়েছে। মে-২০২২ মাসের বেতন বিলে সই করতে গেলে বিষয়টি প্রথমে আমার নজরে আসে। পরে খোঁজখবর নিয়ে জানতে পারি সই জালিয়াতি করে তিনি নিজের স্ত্রী এবং অন্য একজনকে নিয়োগ দিয়েছেন এবং এমপিওভুক্তি করিয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, রোববার ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় তাকে সাময়িক অব্যাহতি দিয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এছাড়া জালিয়াতি করে নিয়োগ পাওয়া দুই শিক্ষককের নাম বাদ দিয়ে বেতন বিলে সই করা হয়েছে।