নগর সংবাদ।।৯৯৯ এ ফোন দিয়ে দীর্ঘ দেড় বছর পর যৌ’নপল্লীর অ’ভিশ’প্ত জীবন থেকে মুক্তি পেয়েছেন এক তরুণী (২৫)। নায়িকা বানানোর স্বপ্ন দেখিয়ে পাচারকারী দলের এক সদস্য তাকে দেশের বৃ’হত্তম দৌলতদিয়া যৌ’নপল্লীতে ৬০ হাজার টাকায় ‘বিক্রি করে করে দেন।শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে গোয়ালন্দ থা’না পুলিশের একটি দল যৌ’নপল্লীতে অ’ভিযান চালিয়ে ওই তরুণীকে উ’দ্ধার করে। এ ঘটনায় জড়িত রিতা (২৭) ও তার কথিত স্বামী সোহেল রানাকে (৩০) গ্রে’ফতার করেছে পুলিশ। তাদের বিরু’দ্ধে মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইনে মাম’লার পর শনিবার রাজবাড়ীর আ’দালতে পাঠানো হয়েছে।অ’ভিযুক্তরা পল্লীতে পাচার করে নিয়ে আসার পর ওই তরুণীকে একটি ব’দ্ধ ঘরে আট’কে রেখে তাকে দিয়ে জোরপূর্বক দে’হ ব্যবসা চালিয়ে আসছিল। মাম’লার এজাহার সূত্রে জানা যায়, উ’দ্ধার হওয়া তরুণী চা’পাইনবাবগঞ্জ জেলার গোমস্তাপুর উপজেলার এক দরিদ্র ভ্যানচালকের মেয়ে। চার ভাইবোনের মধ্যে তিনি সবার বড়। ৭ বছর আগে ঢাকার হেমায়েতপুর এলাকায় তার বিয়ে হয়। দরিদ্র স্বামীর সংসারে কিছু একটা করার তাগিদে তিনি উদগ্রীব ছিলেন। এই তরুণীর সঙ্গে মোবাইল ফোনে এক অজ্ঞাত ব্যক্তির পরিচয় হয়। অজ্ঞাত ওই ব্যক্তি তাকে চলচ্চিত্রে অ’ভিনয়ের সুযোগ করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। ২০২০ সালের জানুয়ারি মাসের প্রথম দিকে ওই ব্যক্তি ভুক্তভোগীকে নায়িকা হিসেবে শুটিংয়ের জন্য দ্রুত গোয়ালন্দের দৌলতদিয়ায় আসতে বলেন। তার কথা মতো ভুক্তভোগী তরুণী দৌলতদিয়ায় আসলে ওই ব্যক্তি তাকে যৌ’নপল্লীর রিতা ও সোহেলের নিকট নিয়ে ৬০ হাজার টাকায় ‘বিক্রি করে দেন। এরপর তাকে আবুল-জাহেদার নামে একজনের বাড়িতে আট’কে রেখে জোরপূর্বক দে’হব্যবসা শুরু করানো হয়। ওই তরুণী যাতে কারও সঙ্গে যোগাযোগ করতে না পারেন সে জন্য তার ফোন কেড়ে নেওয়া হয়। এ ছাড়া তাকে সার্বক্ষণিক নজরে রাখতে পাহারাদার নিযুক্ত করা হয়। গৃহবন্দী তরুণীর কাছে বাইরে থেকে খদ্দের নিয়ে আসত রিতা ও সোহেল। উপার্জিত সব টাকা তারা হাতিয়ে নিয়ে তরুণীকে শুধু খাওয়া-পরার খরচ দিত। কখনও সে কাজ করতে রাজি না হলে তার উপর শারীরিক অ’ত্যাচার চালানো ‘হতো। এ অবস্থায় কয়েকবার বের হওয়ার চে’ষ্টা করেও ব্য’র্থ হন তিনি। শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে তরুণীর ঘরে এক খদ্দের পাঠানো হলে তার কাছে তরুণী দুর্দশার কথা খুলে বলেন। খরিদ্দার তরুণীর প্রতি আন্তরিক হন। এ সময় ওই তরুণী তার (খরিদ্দার) মোবাইল ফোন থেকে ৯৯৯-এ ফোন করে উ’দ্ধারের অনুরোধ জানান। এর কিছুক্ষণ পর গোয়ালন্দ থা’না পুলিশ ওই বাড়িতে গিয়ে তাকে বন্দীদশা ‘হতে উ’দ্ধার করে। এ সময় রিতা এবং সোহেল রানাকেও গ্রে’ফতার করে পুলিশ। এ প্রসঙ্গে গোয়ালন্দ ঘাট থা’নার কর্মক’র্তা আব্দুল্লাহ আল তায়াবীর জানান, উ’দ্ধার হওয়া তরুণী বাদী হয়ে শুক্রবার রাতে রিতা ও তার স্বামী সোহেল রানার বিরু’দ্ধে মানবপাচার প্রতিরোধ ও দমন আইনে থা’নায় মাম’লা করেছেন। গ্রে’ফতারকৃত আ’সামিদের শনিবার আ’দালতের মাধ্যমে রাজবাড়ীর কারা’গারে পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়া উ’দ্ধার হওয়া তরুণীকে তার বাবার কাছে পাঠানো হয়েছে।