চট্টগ্রাম চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার ১৪নং দক্ষিণ রাজানগর ইউনিয়নের মানবিক ও সেচ্ছাসেবী মূলক সংগঠন দক্ষিণ রাজানগর ইসলামী সমাজকল্যাণ পরিষদের আয়োজনে তাফসীরুল কোরআন মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার(২০ ডিসেম্বর) বিকালে ১ম অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন শিক্ষক মাওলানা নজির আহমদ তালুকদার। চট্টগ্রাম রেলওয়ে উচ্চ-বিদ্যালয়ে’র সিনিয়র শিক্ষক জানে আলমের সঞ্চালনায় উদ্বোধক ছিলেন শিক্ষক আজিজুল ইসলাম,
প্রধান অতিথি ছিলেন উত্তর রাঙ্গুনিয়া ডিগ্রি কলেজ পরিচালনা কমিটির সভাপতি অধ্যক্ষ মুহাম্মদ আমিরুজ্জামান, প্রধান বক্তা ছিলেন চট উত্তর জেলা জামাতে ইসলামী’র আমীর মুহাম্মদ আলাউদ্দিন সিকদার, বিশেষ অতিথি ছিলেন ডা. এ.টি.এম রেজাউল করিম, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান কাজী এম নুরুল আলম, উপজেলা জামাতে ইসলামী’র আমির মোহাম্মদ হাসান মুরাদ, উপজেলা সেক্রেটারী মাস্টার কামাল উদ্দিন।
২য় অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন দক্ষিণ রাজানগর ওলামা বিভাগের সভাপতি মাওলানা আহমদর রহমান। শিক্ষক মুজিবুর রহমানের সঞ্চালনায় উদ্বোধক ছিলেন ব্যবসায়ী মুহাম্মদ মুছা, ওয়ায়েজিন ছিলেন মাওলানা আব্দুল্লাহ আল মানুন নুরী, মাওলানা মুজিবুর রহমান। ৩য় অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন দক্ষিণ রাজানগর ইসলামী সমাজকল্যাণ পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক গফুর আলী। দক্ষিণ রাজানগর ইসলামী সমাজকল্যাণ পরিষদ ৫নং ওয়ার্ড এর সভাপতি মুহাম্মদ ইউচুপ আলী’র সঞ্চালনায় উদ্বোধক ছিলেন পরিষদের অর্থ সম্পাদক অলি আহমদ, প্রধান মুফাসির ছিলেন যাত্রাবাড়ি ঢাকা বায়তুল মামুর জামে মসজিদের খতিব ইসলামিক আলোচিত বক্তা হাফেজ মাওলানা মনিরুজ্জামান ফারুকী, রাঙ্গুনিয়া জামায়াতে ইসলামি নায়েবে আমীর মাওলানা শওকত হুসাইন। মাহফিলে বত্তরা বলেন_ অশান্ত পৃথিবীতে শান্তির পয়গাম নিয়ে ধরাপৃষ্ঠে ইসলামের আগমন। বিশ্ববাসীর জীবন থেকে চিরকালের জন্য অশান্তিকে বিদায় জানাতে যার আগমন তাতে একমুহূর্তে জন্যও নেই অশান্তির সমর্থন! পবিত্র কোরআনে ভাষায়, আল্লাহ তাআলা বলেন— ‘যখন সে (কলহপ্রিয় মানুষ) প্রস্থান করে তখন সে পৃথিবীতে অশান্তি সৃষ্টির এবং শস্যক্ষেত্র ও জীবজন্তু ধ্বংসের চেষ্টা করে। আর আল্লাহ অশান্তি পছন্দ করেন না।’ (সুরা বাকারাহ : ২০৫)। ‘যমীনে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর তোমরা তাতে বিপর্যয় সৃষ্টি করো না। আর আল্লাহকে ভয় ও আশা নিয়ে ডাকো। নিশ্চয়ই আল্লাহর অনুগ্রহ সৎকর্মপরায়ণদের খুবই নিকটবর্তী।’ (সুরা আরাফ : ৫৬)। এ যেসব কর্মকা- পৃথিবীকে ক্ষতিগ্রস্ত করে, সেগুলো করতে আল্লাহ তাআলা নিষেধ করেছেন। কেননা, শান্ত পরিবেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হলে, তা বান্দাদের জন্য মারাত্মক ক্ষতির কারণ হয়। আল-কোরআন হচ্ছে মানবজাতির একমাত্র মুক্তির পথ, রাসূল (সাঃ) হচ্ছে একমাত্র আলোর পথে দিশারী, সমাজ এবং দেশ সাজাতে কোরআন সুন্নাহ বিকল্প নেই। ফিলিস্থান, কাশ্মীর, চেচনিয়া-বসনিয়া সহ সমগ্র মুসলিম জাহানে মুসলমান ভাই-বোনরা আজকে নির্যাতিত, নিপীড়িত , প্রিয় নবীজির আর্দশে ধারন করে মুসলিম উম্মাকে এগিয়ে যেতে হবে আর সে উম্মার কাজটা বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সুন্দর সমাজ বিনির্মাণে কাজ করে যাচ্ছে। দেশ ও জাতি গঠনের জন্য এবং সৎ লোকের শাসনের জন্য ইসলামী আনন্দোলনের বিকল্প নেই। আর সহজ দিশারী পথের জন্য তাফসীরুল কোরআন মাহফিল হচ্ছে অন্যতম উৎস। এসময় উপস্থিত তাফসীরুল কোরআন মাহফিল বাস্তবায়ন কমিটির আহবায়ক এডভোকেট ফরহাদুল আলম জুয়েল সহ এলাকাবাসী ও সর্বস্তরে জনগণ ।