ঢাকা প্রতিনিধি।। রাজধানীতে পৃথক ঘটনায় ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। পুলিশ তাদের মরদেহ উদ্ধার করেছে। এরা হলেন মুগদার দক্ষিণ মুগদাপাড়ার মিতু রানী দাস (২৮), খিলগাঁও মেরাদিয়ার আতাউর রহমান (৩৮) ও সবুজবাগ আহমেদবাগের আয়েশা বেগম (২৫)। বুধবার (২৯ নভেম্বর) ভোর ৪টা থেকে বেলা ১১টার মধ্যে এসব ঘটনা ঘটে। তাদের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। চাঁদপুর সদর উপজেলার নাজির পাড়া গ্রামের নারায়ণ চন্দ্র দাসের মেয়ে মিতু রানী দাস। দক্ষিণ মুগদাপাড়া নুরজাহান ভিলার চতুর্থ তলায় থাকতেন তিনি। মুগদা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শেখ এনামুল করিম জানান, মিতু রানীর স্বামী সঞ্জিত চন্দ্র দাস কুয়েত প্রবাসী। মিতু তার একমাত্র মেয়ে এবং শাশুড়ির সঙ্গে ওই বাসায় থাকতেন। সকাল সাড়ে ৭টার দিকে তার শাশুড়ি তার মেয়েকে নিয়ে স্কুলে যান। এরপর ৮টার দিকে বাসায় ফিরে রুমের দরজা ভেতর থেকে বন্ধ দেখতে পান। তখন মিতুকে ডাকাডাকি করেও কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে থানায় খবর দেন। খবর পেয়ে বাসায় গিয়ে দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে দেখা যায়, ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলছেন মিতু। এটি আত্মহত্যা বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা গেলেও এর কারণ সম্পর্কে এখনও কিছু জানা যায়নি বলে জানান এসআই এনামুল করিম। এদিকে খিলগাঁও মেরাদিয়া ভূইয়াপাড়ার একটি বাসা থেকে উদ্ধার করা হয় আতাউরের মরদেহ। তার বাড়ি পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার বকুলবাড়ী গ্রামে। বাবার নাম সোবহান মোল্লা। পেশায় পিকআপ ভ্যান চালক তিনি। খিলগাঁও থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. শাহিন আলম জানান, খবর বেলা ১১টার দিকে ভুইয়াপাড়ার বাসায় ফ্যানের সঙ্গে গলায় গামছা প্যাঁচানো ঝুলন্ত অবস্থায় আতাউরের মরদেহ পাওয়া যায়। পারিবারিক কলহের কারণে তিনি আত্মহত্যা করেছেন বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। মৃত আতাউরের ছেলে নাঈমুল ইসলাম জানান, ৩ দিন আগে তার বাবা এবং মায়ের সঙ্গে ঝগড়া হয়। তখন তার মাকে বাবা মারধর করেন। এজন্য গত পরশু দুপুরে মা-ছেলে বাসা থেকে গ্রামের বাড়িতে চলে যান। এরপর থেকে বাসায় একাই ছিলেন তার বাবা আতাউর। আজ সকালে তার মৃত্যু খবর শুনতে পান তারা। অপরদিকে, সবুজবাগের আহমেদাবাগ বাসা থেকে উদ্ধার হয় আয়েশা বেগমের মরদেহ। তার বাবার নাম বিল্লাল হোসেন। তার বাড়ি বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার হাওলাদার বাড়ি গ্রামে। সবুজবাগ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রবিনা আউয়াল জানান, আজ ভোর ৪টার দিকে আহমেদাবাগের বাড়ির নিচতলায় ফ্যানের সঙ্গে ওড়না প্যাঁচানো গলায় ফাঁস দেওয়া আয়েশার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পারিবারিক কলহের কারণে তিনি আত্মহত্যা করেছেন বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।