নগর সংবাদ।। রাজধানীর পৃথক এলাকা থেকে গৃহকর্মীসহ চারজনের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তারা হলেন- মোহাম্মদপুরের লালমাটিয়ায় গৃহকর্মী ববিতা (১৫), সবুজবাগের কুসুমবাগে রিকশাচালক বিপ্লব গাজী (২৮), যাত্রাবাড়ীতে স্কুলছাত্রী জান্নাতুল ফেরদৌস জেনি (১৭) ও পল্লবী বারনটেক এলাকা থেকে নির্মাণ শ্রমিক হাসান (১৮)। বুধবার (১০ নভেম্বর) স্থানীয় থানার পুলিশ সংবাদ পেয়ে সকালে গৃহকর্মী ববিতা, রিকশাচালক বিপ্লব গাজী, নির্মাণ শ্রমিক হাসান ও বিকেলে স্কুলছাত্রীর জান্নাতুল ফেরদৌসের মরদেহ উদ্ধার করে।
ডিএমপির মোহাম্মদপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) নিশাত জাহান জানান, মৃত গৃহকর্মী ববিতার বাড়ি সুনামগঞ্জ জেলায় হলেও বর্তমানে মোহাম্মদপুরের লালমাটিয়ায় এক বাসায় গৃহকর্মীর কাজ করতেন। বাসার চার তালার ছাদের একটি রুম থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তিনি ওই বাড়ি মালিকের বাসায় গৃহকর্মীর কাজ করতেন। মৃত্যুর কারণ এখনও জানা যায়নি। বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে। প্রাথমিক ধারণা করা হচ্ছে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন তিনি। এদিকে সবুজবাগ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবির দেবনাথ জানান, সবুজবাগ কুসুমবাগ কালীবাড়ি এলাকায় একটি নির্মাণাধীন টিনশেড বাড়ি থেকে বিপ্লব গাজির ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তার গ্রামের বাড়ি যশোরের অভয়নগর উপজেলায়। পেশায় রিকশাচালক ছিল।
থাকতেন সবুজবাগের কুসুমবাগ এলাকায়। আবির দেবনাথ আও জানান, পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানতে পেরেছি, বিপ্লব গাজি মাদকাসক্ত ছিলেন, পাশাপাশি একটু মানসিক সমস্যাও ছিল। এ কারণে তিনি গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করতে পারেন। তবুও বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। যাত্রাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাজহারুল ইসলাম জানান, উত্তর যাত্রাবাড়ী সাজেদা ফিলিং স্টেশনের পেছনে এসএসসি পরীক্ষার্থী জান্নাতুল ফেরদৌস জেনি (১৭) গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে জানতে পেরেছি। তার স্বামীর নাম ইমন। শায়িত অবস্থায় তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছে জেনি তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিল। ঘটনাস্থলে পুলিশ আছে, বিস্তারিত তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। পল্লবী থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মো. মাসুদ রানা জানান, বারনটেক এলাকায় নির্মাণাধীন একটি ভবনে কাজ করার সময় হাসান নামের এক শ্রমিক বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মারা গেছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তার মরদেহ উদ্ধার করেছে। তার বিস্তারিত পরিচয় জানার চেষ্টা করা হচ্ছে। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গৃহকর্মী ববিতা ও নির্মাণ শ্রমিক হাসানের মরদেহ আইনি প্রক্রিয়া শেষে শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে, রিকশা চালক বিপ্লব গাজীর মরদেহ ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের মর্গে আছে। আর জেনির মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মিটফোর্ড হাসপাতালে পাঠানো হবে।